বেসরকারি ডিপোতে আরও দুটি পণ্য খালাসে বাধ্যবাধকতা by মাসুদ মিলাদ
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া পোশাকশিল্পের দুই ধরনের কাঁচামাল আজ রোববার থেকে বাধ্যতামূলকভাবে বেসরকারি কনটেইনার ডিপো থেকে খালাস করতে হবে। এই দুই ধরনের কাঁচামাল হচ্ছে ফেব্রিকস (নিট ও ওভেন) এবং অ্যাক্রেলিক ইয়ার্ন। শতভাগ রপ্তানিমুখী যেসব প্রতিষ্ঠান এই দুই ধরনের মালামাল আমদানি করবে, তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর রাজস্ব বোর্ডের এক আদেশে এই দুটি পণ্য বন্দর থেকে
নির্দিষ্ট বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে স্থানান্তর এবং খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ২৯ ডিসেম্বর বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এক নোটিশে রোববার থেকে এই আদেশ অনুসরণ করতে ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দেন।
আগের নিয়মানুযায়ী, আমদানি হওয়া এই দুটি পণ্য বন্দর থেকে কনটেইনার খুলে ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানে বোঝাই করে পোশাকশিল্প কারখানায় নেওয়া হতো। এতে বন্দরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতো।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) গোলাম ছরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, নতুন নিয়মের কারণে বন্দরের পরিচালন কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বাড়বে। কারণ, নতুন করে যে দুটি পণ্যবাহী কনটেইনার বেসরকারি ডিপোতে খালাসের বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে, সেগুলোর সংখ্যা বছরে কমপক্ষে এক লাখ কনটেইনার হতে পারে।
বন্দর ও কাস্টম হাউস সূত্র জানায়. এর আগে দুই দফায় মোট ১৭টি কনটেইনার ভর্তি পণ্য বেসরকারি ডিপো থেকে খালাসের বাধ্যবাধকতা করা হয়। এই ১৭টি পণ্যের মধ্যে রয়েছে: চাল, ডাল, গম, সরিষা, ছোলা, পশুখাদ্য, লোহার স্ক্র্যাপ, তুলা, পুরোনো সংবাদপত্র (ওয়েস্ট পেপার), হার্ডকোক, কার্বনব্যাক, মার্বেলচিপস, বলক্লে, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও সার।
বিকডার সচিব রুহুল আমিন সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ২০১১ সালে বন্দর দিয়ে এই ১৭টি পণ্যভর্তি কনটেইনার আমদানি হয় ৭৯ হাজার ৬৫৭টি (প্রতিটি ২০ ফুট দীর্ঘ)। এগুলো সবই বন্দর থেকে আইসিডিতে স্থানান্তর করে কনটেইনার খুলে খালাস করা হয়।
বন্দরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১১ সালে বন্দর দিয়ে একক আমদানিকারকের পণ্যভর্তি কনটেইনার (এফসিএল) পরিবহন করা হয় ছয় লাখ ২৬ হাজার ৮১৬টি। এর মধ্যে বেসরকারি ডিপোতে নিয়ে খালাস হয়েছে সাড়ে ৭৯ হাজার, যা মোট কনটেইনারের ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ।
একই সময়ে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন করা হয় চার লাখ ১৩ হাজার ৩০৬টি। এর মধ্যে বেসরকারি ডিপো থেকে কনটেইনার পরিবহন হয় তিন লাখ ৬৫ হাজার ৯৬২টি, যা মোট রপ্তানি কনটেইনারের ৮৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে চট্টগ্রামে অনুমোদনপ্রাপ্ত ১৮টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপো রয়েছে। এসব ডিপোতে আমদানি পণ্য খালাস, রপ্তানি পণ্য কনটেইনারে বোঝাই এবং খালি কনটেইনার সংরক্ষণ করা হয়।
তবে নতুন নিয়মের কারণে পোশাকশিল্প মালিকদের ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। যদিও বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) হিসাবে বিজিএমইএর খরচ বাড়বে না।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পোশাকশিল্পের এই দুটি কাঁচামাল আমদানি হয় বেশি। কিন্তু নতুন নিয়মের কারণে সরাসরি বন্দর থেকে পণ্য খালাসের সুযোগ না থাকায় খরচ বাড়বে।’ বন্দর থেকে নামানোর পর পণ্যভর্তি কনটেইনার বেসরকারি ডিপোতে স্থানান্তর করতে বাড়তি খরচ হবে বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে বিকডার সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান প্রথম আলোকে বলেন, বিজিএমএইএর খরচ বাড়ার কোনো কারণ নেই। কারণ বন্দরের চেয়ে বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনার রাখা এবং খালাসের ভাড়া অনেক কম।
আগের নিয়মানুযায়ী, আমদানি হওয়া এই দুটি পণ্য বন্দর থেকে কনটেইনার খুলে ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানে বোঝাই করে পোশাকশিল্প কারখানায় নেওয়া হতো। এতে বন্দরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতো।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) গোলাম ছরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, নতুন নিয়মের কারণে বন্দরের পরিচালন কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বাড়বে। কারণ, নতুন করে যে দুটি পণ্যবাহী কনটেইনার বেসরকারি ডিপোতে খালাসের বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে, সেগুলোর সংখ্যা বছরে কমপক্ষে এক লাখ কনটেইনার হতে পারে।
বন্দর ও কাস্টম হাউস সূত্র জানায়. এর আগে দুই দফায় মোট ১৭টি কনটেইনার ভর্তি পণ্য বেসরকারি ডিপো থেকে খালাসের বাধ্যবাধকতা করা হয়। এই ১৭টি পণ্যের মধ্যে রয়েছে: চাল, ডাল, গম, সরিষা, ছোলা, পশুখাদ্য, লোহার স্ক্র্যাপ, তুলা, পুরোনো সংবাদপত্র (ওয়েস্ট পেপার), হার্ডকোক, কার্বনব্যাক, মার্বেলচিপস, বলক্লে, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও সার।
বিকডার সচিব রুহুল আমিন সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ২০১১ সালে বন্দর দিয়ে এই ১৭টি পণ্যভর্তি কনটেইনার আমদানি হয় ৭৯ হাজার ৬৫৭টি (প্রতিটি ২০ ফুট দীর্ঘ)। এগুলো সবই বন্দর থেকে আইসিডিতে স্থানান্তর করে কনটেইনার খুলে খালাস করা হয়।
বন্দরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১১ সালে বন্দর দিয়ে একক আমদানিকারকের পণ্যভর্তি কনটেইনার (এফসিএল) পরিবহন করা হয় ছয় লাখ ২৬ হাজার ৮১৬টি। এর মধ্যে বেসরকারি ডিপোতে নিয়ে খালাস হয়েছে সাড়ে ৭৯ হাজার, যা মোট কনটেইনারের ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ।
একই সময়ে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন করা হয় চার লাখ ১৩ হাজার ৩০৬টি। এর মধ্যে বেসরকারি ডিপো থেকে কনটেইনার পরিবহন হয় তিন লাখ ৬৫ হাজার ৯৬২টি, যা মোট রপ্তানি কনটেইনারের ৮৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে চট্টগ্রামে অনুমোদনপ্রাপ্ত ১৮টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপো রয়েছে। এসব ডিপোতে আমদানি পণ্য খালাস, রপ্তানি পণ্য কনটেইনারে বোঝাই এবং খালি কনটেইনার সংরক্ষণ করা হয়।
তবে নতুন নিয়মের কারণে পোশাকশিল্প মালিকদের ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। যদিও বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) হিসাবে বিজিএমইএর খরচ বাড়বে না।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পোশাকশিল্পের এই দুটি কাঁচামাল আমদানি হয় বেশি। কিন্তু নতুন নিয়মের কারণে সরাসরি বন্দর থেকে পণ্য খালাসের সুযোগ না থাকায় খরচ বাড়বে।’ বন্দর থেকে নামানোর পর পণ্যভর্তি কনটেইনার বেসরকারি ডিপোতে স্থানান্তর করতে বাড়তি খরচ হবে বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে বিকডার সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান প্রথম আলোকে বলেন, বিজিএমএইএর খরচ বাড়ার কোনো কারণ নেই। কারণ বন্দরের চেয়ে বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনার রাখা এবং খালাসের ভাড়া অনেক কম।
No comments