ভুল সংশোধনের এখনই সময়-প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণটি আলোচনার দাবি রাখে। রাজনৈতিক বিবেচনায় কেউ একে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারেন, আবার কেউ প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে পারেন। কিন্তু আমরা মনে করি, ভাষণটি বিচার করতে হবে বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন, ‘সর্বক্ষেত্রে শতভাগ সাফল্য দাবি করব না। তবে দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করিনি। ভবিষ্যতেও করব না।’ প্রধানমন্ত্রীর এই প্রত্যয়ে মানুষ
তখনই আশ্বস্ত হবে, যখন তাঁর প্রচেষ্টার সুফল পাবে। আর সেটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে না; নির্ভর করে তিনি যাঁদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন, যাঁদের উপদেষ্টা বানিয়েছেন, তাঁদের সম্মিলিত সততা ও দক্ষতার ওপর। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে শিক্ষা, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুৎ খাতে যে সাফল্যের কথা বলেছেন, অনেকেই তাঁর সঙ্গে দ্বিমত করবেন না। তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য গুটি কয়েক খাতের অগ্রগতিই যথেষ্ট নয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিন বছর আগে এই সরকার ‘পর্বতপ্রমাণ সমস্যা’ নিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। তাঁর এ বক্তব্যের নিশ্চয়ই সত্যতা রয়েছে। অতীতের শাসকেরা ব্যর্থ হয়েছেন বলেই জনগণ মহাজোটকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় এনেছে। তিন বছর পর নিশ্চয়ই তারা সেই পর্বতের ভার কতটা লাঘব হয়েছে, তা দেখতে চাইবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে প্রথম যে পাঁচ অগ্রাধিকার ছিল, তার মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সাময়িক সমাধান ও দারিদ্র্যের হার হ্রাস পাওয়া ছাড়া অন্যান্য খাতে অর্জন খুবই সীমিত। যোগাযোগব্যবস্থার বেহাল অবস্থার দায় অতীত সরকারের ওপর চাপানো ঠিক হবে না।
প্রধানমন্ত্রী দেশ-শাসনে বিরোধী দলের কোনো সহযোগিতা পাননি বলে উল্লেখ করেছেন। বিরোধী দলের লাগাতার সংসদ বর্জনেরও সমালোচনা করেছেন তিনি। কিন্তু সরকারি দলও যে এ ব্যাপারে আন্তরিক উদ্যোগ নিয়েছে, তা বলা যাবে না। গত তিনটি মেয়াদে বিরোধী দল লাগাতার সংসদ বর্জন করেছে, বর্তমান সংসদে তারই ধারাবাহিকতা চলছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, সরকার কোনো কাজে তাঁদের সহযোগিতা চায়নি। তাঁর বক্তব্যের পক্ষে যেমন জোরালো যুক্তি আছে, তেমনি বিরোধী দল সরকারের কোনো কাজে সহযোগিতার মনোভাব দেখিয়েছে তারও প্রমাণ তিনি দেখাতে পারবেন না। উভয় পক্ষের আচরণে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে, জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি ঘটেনি।
আশা করব, প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মিলে দেশ পরিচালনার যে আহ্বান জানিয়েছেন, সরকারের আচরণেও তার প্রতিফলন ঘটবে। একই সঙ্গে বিরোধী দলের কাছেও প্রত্যাশা, সবকিছু রাজপথে ফয়সালার পথ পরিহার করে তারা সংসদে গিয়ে তাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উন্নয়নের যে চিত্র তুলে ধরেছেন, তা জনগণকে আশ্বস্ত করবে না; যদি না তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন সহনীয় হয়, যদি না দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া থামানো যায়, যদি না সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভুলগুলো সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মেয়াদের চতুর্থ বছরে এসে সরকারকে ভুলের বৃত্তে বন্দী থাকলে চলবে না। ভুলগুলো সংশোধনের এখনই সময়।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিন বছর আগে এই সরকার ‘পর্বতপ্রমাণ সমস্যা’ নিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। তাঁর এ বক্তব্যের নিশ্চয়ই সত্যতা রয়েছে। অতীতের শাসকেরা ব্যর্থ হয়েছেন বলেই জনগণ মহাজোটকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় এনেছে। তিন বছর পর নিশ্চয়ই তারা সেই পর্বতের ভার কতটা লাঘব হয়েছে, তা দেখতে চাইবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে প্রথম যে পাঁচ অগ্রাধিকার ছিল, তার মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সাময়িক সমাধান ও দারিদ্র্যের হার হ্রাস পাওয়া ছাড়া অন্যান্য খাতে অর্জন খুবই সীমিত। যোগাযোগব্যবস্থার বেহাল অবস্থার দায় অতীত সরকারের ওপর চাপানো ঠিক হবে না।
প্রধানমন্ত্রী দেশ-শাসনে বিরোধী দলের কোনো সহযোগিতা পাননি বলে উল্লেখ করেছেন। বিরোধী দলের লাগাতার সংসদ বর্জনেরও সমালোচনা করেছেন তিনি। কিন্তু সরকারি দলও যে এ ব্যাপারে আন্তরিক উদ্যোগ নিয়েছে, তা বলা যাবে না। গত তিনটি মেয়াদে বিরোধী দল লাগাতার সংসদ বর্জন করেছে, বর্তমান সংসদে তারই ধারাবাহিকতা চলছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, সরকার কোনো কাজে তাঁদের সহযোগিতা চায়নি। তাঁর বক্তব্যের পক্ষে যেমন জোরালো যুক্তি আছে, তেমনি বিরোধী দল সরকারের কোনো কাজে সহযোগিতার মনোভাব দেখিয়েছে তারও প্রমাণ তিনি দেখাতে পারবেন না। উভয় পক্ষের আচরণে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে, জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি ঘটেনি।
আশা করব, প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মিলে দেশ পরিচালনার যে আহ্বান জানিয়েছেন, সরকারের আচরণেও তার প্রতিফলন ঘটবে। একই সঙ্গে বিরোধী দলের কাছেও প্রত্যাশা, সবকিছু রাজপথে ফয়সালার পথ পরিহার করে তারা সংসদে গিয়ে তাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উন্নয়নের যে চিত্র তুলে ধরেছেন, তা জনগণকে আশ্বস্ত করবে না; যদি না তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন সহনীয় হয়, যদি না দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া থামানো যায়, যদি না সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভুলগুলো সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মেয়াদের চতুর্থ বছরে এসে সরকারকে ভুলের বৃত্তে বন্দী থাকলে চলবে না। ভুলগুলো সংশোধনের এখনই সময়।
No comments