কাঠগড়ায় কোচ এমেকা

চ্চবাচ্য ও খেলোয়াড়দের অবরুদ্ধ করে রাখা ঘটনার পেছনে ক্লাবের অন্তর্দ্বন্দ্বের ভূমিকা আছে_ এমন ইঙ্গিত মিলেছে'
দুই ম্যাচই প্রশস্ত করে দিয়েছে বিদায়ের পথ। মোহামেডানের ফেডারেশন কাপ ভাগ্য ঝুলছে চিকন সুতোয়! 'করো, নয়তো মরো' অবস্থায় শেষ গ্রুপ ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে জয়ই একমাত্র বিকল্প। অন্যথায় গত আসরের মতো ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্বেই থেমে যাবে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির দৌড়। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে ক্লাব কর্মকর্তারা বাস্তবতা উপলব্ধি


করছেন। তাতে দায়ভার চাপছে দলের নাইজেরিয়ান কোচ এমেকা ইউজিগোর কাঁধে। বিজেএমসির পর কক্স সিটি_ দুটি ম্যাচেই গোলশূন্য মোহামেডান। প্রথম ম্যাচে ড্র করায় সংগ্রহে এক পয়েন্ট। দুই ম্যাচে বিদেশি খেলোয়াড়দের যে প্রদর্শনী, তাতে দায় তো এমেকাই নেবেন! গতকাল ক্লাবের পরিচালক সারওয়ার হোসেন যা বলেন সেটার অর্থ দাঁড়ায়, কোচের ওপর শতভাগ আস্থা রাখাটাই কাল হয়েছে তাদের জন্য। 'বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহে ক্লাব পুরোপুরি এমেকার ওপর নির্ভর করেছে, এটি বড় ভুল। খেলোয়াড় চূড়ান্ত করার আগে তাদের মান খতিয়ে দেখা উচিত ছিল। ভুল কিন্তু এখানেও হয়েছে।'_ বলেছেন তিনি।
কমলাপুর স্টেডিয়ামে সমর্থকদের ক্ষোভের বিষয়টি অবশ্য ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছেন তিনি। এ সম্পর্কে সারওয়ার কলেন, 'মোহামেডানের মতো ক্লাবের রুগ্ণ নৈপুণ্যের পর তো এমন হবেই। আমি বলব এটি দলের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।' উচ্চবাচ্য ও খেলোয়াড়দের অবরুদ্ধ করে রাখা ঘটনার পেছনে ক্লাবের অন্তর্দ্বন্দ্বের ভূমিকা আছে_ এমন ইঙ্গিতই দিলেন এ পরিচালক। তবে কথোপকথনে সমর্থকদের আশ্বস্ত করার মতো কোনো বার্তা ছিল না।
নির্মাণ কাজের টুকটাক শব্দ, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে নির্মাণ সামগ্রী_ গতকাল বিকেল ৩টায় এমনই ছিল ক্লাবের চিত্র। বিমর্ষ কয়েক কর্মচারীর মুখাবয়বে ফেডারেশন কাপ হতাশার ছাপ স্পষ্ট। নির্মাণ কাজের তদারকিতে নিয়োজিত ছিলেন সারোয়ার। খানিক বাদে পাওয়া গেল স্থায়ী কমিটির সদস্য মোস্তাকুর রহমানকে। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ তার কণ্ঠেও, 'এখনকার খেলোয়াড়দের কমিটমেন্ট নেই। তাছাড়া যে বিদেশি সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের মান স্থানীয়দের চেয়েও খারাপ! নইলে নিচু সারির লীগে খেলা কক্স সিটির কাছে হারবে কেন মোহামেডান?' চাইলে চিত্রটা বদলে ফেলা সম্ভব নয়। লীগের মধ্যবর্তী দলবদল কার্যক্রম শুরুর আগ পর্যন্ত এ দল নিয়েই খেলতে বাধ্য ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। এ সম্পর্কে সারওয়ার বলেছেন, 'কোচের ওপর আস্থা রেখেছি, এখনও রাখতে হচ্ছে। এ পর্যায়ে এসে আমার মনে হচ্ছে বিকল্প দল গড়া জরুরি। উদীয়মানদের সমন্বয়ে অচিরেই বিকল্প একটি দল তৈরির কাজ শুরু করব আমরা।' গতরাতে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির কর্মকর্তাদের সভায় মিলিত হওয়ার কথা ছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সেখানে আলোচনা হওয়ার কথা।

No comments

Powered by Blogger.