জুয়েল বটে! by আনোয়ার হোসেন
একটি ছাত্র সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি_ এমনটি ভাবা যায়? যে মেয়েটি লাঞ্ছিত, তিনি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করতে গিয়েছিলেন। মেয়েটির বিয়ে হয়েছে এবং যখন তাকে জোরপূর্বক ছাত্রলীগের সাতক্ষীরা জেলার দুই শীর্ষ 'নেতা' ছিনিয়ে নিয়ে যায়, তখন ছিলেন স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে। এমন অপরাধমূলক ঘটনার পর তাদের শাস্তি হয়েছে অতিশয় লঘু_ সংগঠন থেকে বহিষ্কার।
সাধারণ সম্পাদক পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে, কিন্তু সভাপতি পালিয়ে রয়েছে। কোথায় গেছে সে? তার কি নিরাপদ আশ্রয় মিলেছে কোনো মন্ত্রী কিংবা এমপির বাসায়? সাধারণ সম্পাদক এখনও রিমান্ডে নেই, কারণ জেলার পুলিশ প্রশাসন এখন বড়ই বিপদে। তারা এই দুই নেতাকে এতদিন পৃষ্ঠাপোষকতা দিয়েছে। তাদের নানা অপকর্ম উপেক্ষা করেছে। কারণ তাদের প্রতি জোরালো সমর্থন রয়েছে জেলার এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির_ ঢাকায় যার খুঁটি বেশ শক্ত। জেলার ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের দুই প্রধান নেতার একজনের নাম জুয়েল, আরেকজনের নাম পলাশ_ কী বাহারি নাম! এদের মতো ব্যক্তিদের হেনস্তা করা সহজ নয়। কখন কী বিপদ নেমে আসে, কে জানে!
ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গলা ফাটিয়ে ভাষণ দিয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। অনুষ্ঠানও নিশ্চিতভাবেই ছিল জমকালো। এ জন্য অর্থ সংগ্রহে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যারা সরকারি কাজের টেন্ডার পেতে এ ধরনের 'ছাত্রনেতাদের' লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করে, তারা অনেক টাকা এ জন্য ব্যবহার করতেই পারে। এটাও এক ধরনের বিনিয়োগ। তারপরও আছে চাঁদাবাজি_ সরকারি দলের জেলার শীর্ষনেতারা টাকা চাইলে তা না দিলে খবর আছে না?
ঘটনাটি অসত্য এবং ছাত্রলীগের সুনামহানির জন্য সাজানো হয়েছে_ এমন কথা এখন পর্যন্ত কেউ বলেনি। কিন্তু বিস্মিত হবো না, যদি ঢাকা থেকে জুয়েল জামিন পেয়ে যায়। হয়তো 'লুকিয়ে আদালত অঙ্গনে' গিয়ে জামিন নিয়ে নিরাপদে সরে যাবে, এমন খবর মিলতে পারে একদিন। পুলিশ হয়তো বলবে, আমরা জেনেছি সে নিরাপদে চলে যাওয়ার পর। তাকে ধরার জন্য পুলিশ কত তৎপর, সেটাও জানিয়ে দেওয়া হবে এ সুযোগে আরেকবার।
ছাত্রলীগ তাদের বহিষ্কার করেছে। পুলিশ একজনকে ধরেছে, আরেকজনকে খুঁজছে। জেলা আওয়ামী লীগে বিভক্তি_ মন্ত্রী গ্রুপ বনাম বিপক্ষ। ধরা পড়েছে যারা, তারা এক পক্ষের। অন্যরা ন্যায়-নীতির জন্য যতটা না ব্যাকুল, তার চেয়ে বেশি তুষ্ট_ বিপক্ষ বিপদে পড়েছে বলে। এখন তারা চাইবে, জেলা ছাত্র সংগঠন তাদের লোক নিয়ে যেন গঠন করা হয়। যদি ছাত্রদলের নেতা বা কর্মী কেউ এমন কাণ্ড করত, পুলিশ তাদের না পেলে পরিবারের সদস্যদের হেনস্তা করত। আদালতের রায় নিয়ে মালামাল ক্রোক করাও অসম্ভব ছিল না। কিন্তু সাতক্ষীরায় এত বড় অপরাধের পরও পুলিশ বলছে_ সভাপতির খোঁজ চলছে। তবে সে পলাতক। তাদের ধরতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলতে থাকুক। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের 'ভাবমূর্তি' কোথায় গেল, সেটা নিয়ে তাদের ভাবনা নেই। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও বলবেন, আমরা তো শাস্তি দিয়েছি_ তারা আর সংগঠনের কেউ নয়। কিন্তু বাস্তবে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার লোকের অভাব হবে না। এমনকি তারা যদি আর দলে ঠাঁই না পায়, তাহলে বিরোধী দল তাদের বরণ করে নিতে কুণ্ঠিত হবে না। এমন অনেক নজির আমাদের এ দুর্ভাগা দেশে রয়েছে বৈকি! এটাও বিস্ময়ের হবে না যদি কখনও শোনেন যে তারা নতুন দলে যোগ দিয়েছে এবং সেই দল ক্ষমতায় আসার পর জুয়েল-পলাশের মামলা 'রাজনৈতিক হয়রানিমূলক' হিসেবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গলা ফাটিয়ে ভাষণ দিয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। অনুষ্ঠানও নিশ্চিতভাবেই ছিল জমকালো। এ জন্য অর্থ সংগ্রহে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যারা সরকারি কাজের টেন্ডার পেতে এ ধরনের 'ছাত্রনেতাদের' লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করে, তারা অনেক টাকা এ জন্য ব্যবহার করতেই পারে। এটাও এক ধরনের বিনিয়োগ। তারপরও আছে চাঁদাবাজি_ সরকারি দলের জেলার শীর্ষনেতারা টাকা চাইলে তা না দিলে খবর আছে না?
ঘটনাটি অসত্য এবং ছাত্রলীগের সুনামহানির জন্য সাজানো হয়েছে_ এমন কথা এখন পর্যন্ত কেউ বলেনি। কিন্তু বিস্মিত হবো না, যদি ঢাকা থেকে জুয়েল জামিন পেয়ে যায়। হয়তো 'লুকিয়ে আদালত অঙ্গনে' গিয়ে জামিন নিয়ে নিরাপদে সরে যাবে, এমন খবর মিলতে পারে একদিন। পুলিশ হয়তো বলবে, আমরা জেনেছি সে নিরাপদে চলে যাওয়ার পর। তাকে ধরার জন্য পুলিশ কত তৎপর, সেটাও জানিয়ে দেওয়া হবে এ সুযোগে আরেকবার।
ছাত্রলীগ তাদের বহিষ্কার করেছে। পুলিশ একজনকে ধরেছে, আরেকজনকে খুঁজছে। জেলা আওয়ামী লীগে বিভক্তি_ মন্ত্রী গ্রুপ বনাম বিপক্ষ। ধরা পড়েছে যারা, তারা এক পক্ষের। অন্যরা ন্যায়-নীতির জন্য যতটা না ব্যাকুল, তার চেয়ে বেশি তুষ্ট_ বিপক্ষ বিপদে পড়েছে বলে। এখন তারা চাইবে, জেলা ছাত্র সংগঠন তাদের লোক নিয়ে যেন গঠন করা হয়। যদি ছাত্রদলের নেতা বা কর্মী কেউ এমন কাণ্ড করত, পুলিশ তাদের না পেলে পরিবারের সদস্যদের হেনস্তা করত। আদালতের রায় নিয়ে মালামাল ক্রোক করাও অসম্ভব ছিল না। কিন্তু সাতক্ষীরায় এত বড় অপরাধের পরও পুলিশ বলছে_ সভাপতির খোঁজ চলছে। তবে সে পলাতক। তাদের ধরতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলতে থাকুক। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের 'ভাবমূর্তি' কোথায় গেল, সেটা নিয়ে তাদের ভাবনা নেই। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও বলবেন, আমরা তো শাস্তি দিয়েছি_ তারা আর সংগঠনের কেউ নয়। কিন্তু বাস্তবে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার লোকের অভাব হবে না। এমনকি তারা যদি আর দলে ঠাঁই না পায়, তাহলে বিরোধী দল তাদের বরণ করে নিতে কুণ্ঠিত হবে না। এমন অনেক নজির আমাদের এ দুর্ভাগা দেশে রয়েছে বৈকি! এটাও বিস্ময়ের হবে না যদি কখনও শোনেন যে তারা নতুন দলে যোগ দিয়েছে এবং সেই দল ক্ষমতায় আসার পর জুয়েল-পলাশের মামলা 'রাজনৈতিক হয়রানিমূলক' হিসেবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
No comments