রিয়া হত্যার নেপথ্যে মায়ের পরকীয়া!
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু রিয়াকে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে পরকীয়া। রিয়ার মা রোজিনা আক্তারের সঙ্গে সুলতান নামে এক ব্যক্তির প্রেম রয়েছে। পরে তাদের মধ্যকার জটিলতার জের ধরে সুলতানই রিয়াকে হত্যা করে। সন্দেহভাজন ছয়জনের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড পর্যালোচনা ও তদন্তের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। শাহবাগ থানার পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশও (ডিবি) এ ঘটনার অনুসন্ধান করছে। গতকাল শনিবার
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিয়ার মা রোজিনা আক্তার ও বাবা নুরুল ইসলামকে আটক করে ডিবি। মঙ্গলবার সকালে মায়ের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে নিখোঁজ হয় ইশরাত জাহান রিয়া। পরে দুপুরে নিউক্লিয়ার মেডিসিন ও আল্ট্রাসাউন্ড কেন্দ্রের তৃতীয় তলার সিঁড়িতে তার লাশ পাওয়া যায়। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের ধারণা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রিয়ার বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
শাহবাগ থানার এসআই জসীম উদ্দিন সমকালকে বলেন, ঘটনার পরপরই সন্দেহভাজন ছয়জনকে চিহ্নিত করে রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা শুরু হয়। পরে তাদের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। কললিস্টে দেখা যায়, সুলতানের সঙ্গে রোজিনার নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা হতো। ঘটনার দিনও রিয়া নিখোঁজ হওয়ার আগে পর্যন্ত বেশ ক'বার তাদের মধ্যে কথোপকথন হয়েছে; কিন্তু তারপর দু'জনের মধ্যে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রোজিনা প্রথমে দাবি করেন, তিনি সুলতান নামে কাউকে চেনেন না। পরে এ সংক্রান্ত প্রমাণ হাজির করা হলে তিনি চুপ করে থাকেন। এসআই জসীম বলেন, সুলতানের সঙ্গে রোজিনার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। রোজিনা তাবলিগ জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত। এ সূত্রে সুলতানের ভাবির সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে সুলতানের সঙ্গে তার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। তবে রোজিনা প্রথমে দাবি করেন, সুলতান তাকে প্রায়ই ফোন করে বিরক্ত করতেন। তার সঙ্গে দেখা করতে চাইতেন; কিন্তু তিনি কখনও দেখা করেননি।
তদন্ত সূত্র জানায়, রিয়া হত্যায় সুলতান জড়িত এটা মোটামুটিভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কেন এ হত্যাকাণ্ড তা এখনও জানা যায়নি। সুলতান-রোজিনার সম্পর্কে কোনো জটিলতার জের ধরে রিয়াকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আয়া সেলিনা বেগমেরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। প্রথমে ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের পর যাচাই-বাছাই করে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
ডিবি সূত্র জানায়, রিয়া হত্যায় সুলতানের সংশ্লিষ্টতা এবং পরকীয়া সম্পর্কিত তথ্য জানার পর নুরুল-রোজিনা দম্পতিকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরে তাদের গ্রেফতার দেখানো হতে পারে।
শাহবাগ থানার এসআই জসীম উদ্দিন সমকালকে বলেন, ঘটনার পরপরই সন্দেহভাজন ছয়জনকে চিহ্নিত করে রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা শুরু হয়। পরে তাদের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। কললিস্টে দেখা যায়, সুলতানের সঙ্গে রোজিনার নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা হতো। ঘটনার দিনও রিয়া নিখোঁজ হওয়ার আগে পর্যন্ত বেশ ক'বার তাদের মধ্যে কথোপকথন হয়েছে; কিন্তু তারপর দু'জনের মধ্যে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রোজিনা প্রথমে দাবি করেন, তিনি সুলতান নামে কাউকে চেনেন না। পরে এ সংক্রান্ত প্রমাণ হাজির করা হলে তিনি চুপ করে থাকেন। এসআই জসীম বলেন, সুলতানের সঙ্গে রোজিনার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। রোজিনা তাবলিগ জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত। এ সূত্রে সুলতানের ভাবির সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে সুলতানের সঙ্গে তার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। তবে রোজিনা প্রথমে দাবি করেন, সুলতান তাকে প্রায়ই ফোন করে বিরক্ত করতেন। তার সঙ্গে দেখা করতে চাইতেন; কিন্তু তিনি কখনও দেখা করেননি।
তদন্ত সূত্র জানায়, রিয়া হত্যায় সুলতান জড়িত এটা মোটামুটিভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কেন এ হত্যাকাণ্ড তা এখনও জানা যায়নি। সুলতান-রোজিনার সম্পর্কে কোনো জটিলতার জের ধরে রিয়াকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আয়া সেলিনা বেগমেরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। প্রথমে ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের পর যাচাই-বাছাই করে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
ডিবি সূত্র জানায়, রিয়া হত্যায় সুলতানের সংশ্লিষ্টতা এবং পরকীয়া সম্পর্কিত তথ্য জানার পর নুরুল-রোজিনা দম্পতিকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরে তাদের গ্রেফতার দেখানো হতে পারে।
No comments