রাজস্ব আদায়ে শ্লথগতি দুশ্চিন্তায় সরকার by আবু কাওসার
অভ্যন্তরীণ আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস রাজস্ব আদায় নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে সরকারের। গত অর্থবছর যে হারে আদায় বেড়েছিল চলতি অর্থবছর সে হারে বাড়ছে না। সরকারের আয় কম হলেও ব্যয় বেড়েই চলেছে। মূলত রাজস্ব আদায়ে শ্লথগতির কারণে উদ্বেগটা বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় অর্থনীতিতে যেসব ঝুঁকির আশঙ্কা করা হয়েছে, রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় সে ঝুঁকি আরও বাড়ছে। দুশ্চিন্তায় পড়েছে সরকার। রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি
অর্থবছরের (২০১১-১২) নভেম্বর পর্যন্ত আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১৭ শতাংশ। যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ শতকরা হিসাবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ ভাগ আদায় কম হয়েছে। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ মনে করেন, প্রবৃদ্ধি কমে গেলেও বছর শেষে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
চলতি অর্থবছর ১ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আয় হিসেবে জোগান দেওয়ার কথা প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ। এর অর্থ হচ্ছে, ১০০ টাকা আয়ের লক্ষ্য স্থির করে ব্যয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ১০৫ টাকা। এখন নির্ধারিত আয় কম হলে ঘাটতি আর ও বেড়ে যাবে। এমনিতেই ভর্তুকিসহ বিভিন্ন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতি চাপে আছে। উপরন্তু রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ায় ব্যাংক থেকে রেকর্ড ঋণ নেওয়া বেড়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতিতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ সমকালকে বলেন, রাজস্ব আদায় ও বৈদেশিক সাহায্য কমার কারণে ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। এ প্রবণতা সরকারের জন্য অবশ্যই দুশ্চিন্তার কারণ_ এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য রাজস্ব আদায় কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। জানা গেছে, গত অর্থবছরে ৭৯ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে এবং প্রবৃদ্ধির হার ২৮ শতাংশ, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরেও বিশাল লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতায় এ সাফল্য ধরে রাখার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. জায়দ বখত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। এটা দীর্ঘস্থায়ী হলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হবে।
অভ্যন্তরীণভাবে আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট_ এ দুটি উৎস থেকে বেশির ভাগ রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। অন্যদিকে পণ্য আমদানির মাধ্যমেও বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায় হয়। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এ তিনটি খাতের রাজস্ব আদায় গত অর্থবছরের চেয়ে কমে গেছে। সবচেয়ে আদায় কমে গেছে স্থানীয়ভাবে মূল্য সংযোজন কর থেকে। ভ্যাট আদায় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত ভ্যাট আদায় বেড়েছে মাত্র ১৩ শতাংশ। অথচ গত অর্থবছরের একই সময় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২৬ শতাংশের বেশি। উৎপাদন কমে যাওয়ায় গ্যাসফিল্ডগুলো থেকে সন্তোষজনক ভ্যাট পাচ্ছে না সরকার। এনবিআর সদস্য (ভ্যাট) ফরিদ উদ্দীন সমকালকে বলেন, অর্থনীতি চাঙ্গা থাকলে রাজস্ব আদায় এমনিতেই ভালো হয়; কিন্তু এবারের বাস্তবতা ভিন্ন। বিশ্বমন্দার কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এটি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়_ এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। কয়েক হাজার রাজস্ব সংক্রান্ত মামলা ঝুলে আছে দীর্ঘসময় ধরে। দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে শিগগির বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) আইন কার্যকর করা হচ্ছে। এর ফলে আশা করা যাচ্ছে, আদায় বাড়বে।
আয়কর খাত বরাবরই গত কয়েক বছর ধরে ভালো করে আসছে; কিন্তু চলতি অর্থবছরে প্রত্যক্ষ বা আয়কর আদায়ে ছন্দপতন ঘটেছে। চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর খাতে আদায় বেড়েছে ২৫ শতাংশ হারে। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছিল ৩৫ থেকে ৩৮ শতাংশ। গত অর্থবছরে আয়কর খাতে উচ্চ প্রবৃদ্ধির অন্যতম কারণ ছিল চাঙ্গা শেয়ারবাজার। ব্যাপক লেনদেন হওয়ায় এ খাত থেকে বড় অঙ্কের কর আদায় হয়েছিল। এ বছর চিত্র ভিন্ন। এনবিআরের একটি সূত্র জানায়, লেনদেন দৈনিক ১ হাজার কোটি টাকা হবে_ এ হিসাব বিবেচনা করে চলতি বাজেটে শেয়ারবাজারে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে; কিন্তু এখন লেনদেন তলানিতে নেমে আসায় সে আশা গুড়ে বালিতে পরিণত হয়েছে। এনবিআরের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য আমিনুর রহমান মনে করেন, জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। এডিপি বাস্তবায়নও ভালো নয়। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে আয়কর আদায়ে। অর্থনীতির যে অবস্থা এ প্রবণতা চলতে থাকলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত নাও হতে পারে বলে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
অন্যদিকে আমদানি বাড়লেও সেভাবে বাড়েনি রাজস্ব আদায়। এনবিআর সূত্র জানায়, আমদানি খাতে বেশি রাজস্ব আসে গাড়ি আমদানি বাবদ; কিন্তু এ বছর গাড়ি আমদানি অর্ধেকে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে গাড়ির দাম বৃদ্ধি, টাকার মান পতন ইত্যাদি কারণে দেশি বাজারে এখন গাড়ির ব্যবহার কমে গেছে। ভোজ্যতেল আমদানি থেকে বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায় হলেও এ পণ্যের কর হার কমানোর ফলে তা আদায় কমে গেছে।
চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩১ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে আগের মাসের কাছাকাছি। সে হিসাবে অর্থবছরের ছয় মাসে সাড়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হতে পারে। এটি মোট লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ। অর্থবছরের অর্ধেক সময় পার হওয়ায় বাকি সময়ে সিংহভাগ ভাগ রাজস্ব আদায় করতে হবে। একদিকে অর্থনৈতিক মন্দা, তার ওপর রাজনৈতিক অস্থিরতা_ এ কঠোর বাস্তবতায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
চলতি অর্থবছর ১ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আয় হিসেবে জোগান দেওয়ার কথা প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ। এর অর্থ হচ্ছে, ১০০ টাকা আয়ের লক্ষ্য স্থির করে ব্যয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ১০৫ টাকা। এখন নির্ধারিত আয় কম হলে ঘাটতি আর ও বেড়ে যাবে। এমনিতেই ভর্তুকিসহ বিভিন্ন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতি চাপে আছে। উপরন্তু রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ায় ব্যাংক থেকে রেকর্ড ঋণ নেওয়া বেড়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতিতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ সমকালকে বলেন, রাজস্ব আদায় ও বৈদেশিক সাহায্য কমার কারণে ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। এ প্রবণতা সরকারের জন্য অবশ্যই দুশ্চিন্তার কারণ_ এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য রাজস্ব আদায় কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। জানা গেছে, গত অর্থবছরে ৭৯ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে এবং প্রবৃদ্ধির হার ২৮ শতাংশ, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরেও বিশাল লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতায় এ সাফল্য ধরে রাখার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. জায়দ বখত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। এটা দীর্ঘস্থায়ী হলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হবে।
অভ্যন্তরীণভাবে আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট_ এ দুটি উৎস থেকে বেশির ভাগ রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। অন্যদিকে পণ্য আমদানির মাধ্যমেও বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায় হয়। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এ তিনটি খাতের রাজস্ব আদায় গত অর্থবছরের চেয়ে কমে গেছে। সবচেয়ে আদায় কমে গেছে স্থানীয়ভাবে মূল্য সংযোজন কর থেকে। ভ্যাট আদায় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত ভ্যাট আদায় বেড়েছে মাত্র ১৩ শতাংশ। অথচ গত অর্থবছরের একই সময় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২৬ শতাংশের বেশি। উৎপাদন কমে যাওয়ায় গ্যাসফিল্ডগুলো থেকে সন্তোষজনক ভ্যাট পাচ্ছে না সরকার। এনবিআর সদস্য (ভ্যাট) ফরিদ উদ্দীন সমকালকে বলেন, অর্থনীতি চাঙ্গা থাকলে রাজস্ব আদায় এমনিতেই ভালো হয়; কিন্তু এবারের বাস্তবতা ভিন্ন। বিশ্বমন্দার কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এটি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়_ এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। কয়েক হাজার রাজস্ব সংক্রান্ত মামলা ঝুলে আছে দীর্ঘসময় ধরে। দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে শিগগির বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) আইন কার্যকর করা হচ্ছে। এর ফলে আশা করা যাচ্ছে, আদায় বাড়বে।
আয়কর খাত বরাবরই গত কয়েক বছর ধরে ভালো করে আসছে; কিন্তু চলতি অর্থবছরে প্রত্যক্ষ বা আয়কর আদায়ে ছন্দপতন ঘটেছে। চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর খাতে আদায় বেড়েছে ২৫ শতাংশ হারে। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছিল ৩৫ থেকে ৩৮ শতাংশ। গত অর্থবছরে আয়কর খাতে উচ্চ প্রবৃদ্ধির অন্যতম কারণ ছিল চাঙ্গা শেয়ারবাজার। ব্যাপক লেনদেন হওয়ায় এ খাত থেকে বড় অঙ্কের কর আদায় হয়েছিল। এ বছর চিত্র ভিন্ন। এনবিআরের একটি সূত্র জানায়, লেনদেন দৈনিক ১ হাজার কোটি টাকা হবে_ এ হিসাব বিবেচনা করে চলতি বাজেটে শেয়ারবাজারে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে; কিন্তু এখন লেনদেন তলানিতে নেমে আসায় সে আশা গুড়ে বালিতে পরিণত হয়েছে। এনবিআরের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য আমিনুর রহমান মনে করেন, জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। এডিপি বাস্তবায়নও ভালো নয়। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে আয়কর আদায়ে। অর্থনীতির যে অবস্থা এ প্রবণতা চলতে থাকলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত নাও হতে পারে বলে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
অন্যদিকে আমদানি বাড়লেও সেভাবে বাড়েনি রাজস্ব আদায়। এনবিআর সূত্র জানায়, আমদানি খাতে বেশি রাজস্ব আসে গাড়ি আমদানি বাবদ; কিন্তু এ বছর গাড়ি আমদানি অর্ধেকে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে গাড়ির দাম বৃদ্ধি, টাকার মান পতন ইত্যাদি কারণে দেশি বাজারে এখন গাড়ির ব্যবহার কমে গেছে। ভোজ্যতেল আমদানি থেকে বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায় হলেও এ পণ্যের কর হার কমানোর ফলে তা আদায় কমে গেছে।
চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩১ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে আগের মাসের কাছাকাছি। সে হিসাবে অর্থবছরের ছয় মাসে সাড়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হতে পারে। এটি মোট লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ। অর্থবছরের অর্ধেক সময় পার হওয়ায় বাকি সময়ে সিংহভাগ ভাগ রাজস্ব আদায় করতে হবে। একদিকে অর্থনৈতিক মন্দা, তার ওপর রাজনৈতিক অস্থিরতা_ এ কঠোর বাস্তবতায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
No comments