বিশেষ সাক্ষাৎকার-কৃষিক্ষেত্রে সরকারের নীতি সুফল দিয়েছে by মাহবুব হোসেন
মাহবুব হোসেনের জন্ম ১৯৪৫ সালের ২ জানুয়ারি নানাবাড়ি নদীয়ার কৃষ্ণনগরে। তিনি বড় হয়েছেন দাদাবাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। ১৯৬৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৭ সালে ব্রিটেনের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বর্তমানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের মহাপরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন তিনি যুক্ত ছিলেন
আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে। বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তা, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ কে এম জাকারিয়া
প্রথম আলো অর্থনৈতিক বিবেচনায় বর্তমান সরকারের গত তিন বছর কেমন গেল?
মাহবুব হোসেন আন্তর্জাতিকভাবে দেখলে বিশ্ব গত তিন বছর অর্থনৈতিক সংকট, খাদ্য সংকট ও জ্বালানি সংকটের মধ্য দিয়ে গেছে। এ সংকটগুলোর কারণে বিশ্বের অনেক দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো করেছে। প্রবৃদ্ধি ৫.৫-এর নিচে নামেনি। অথচ এ সময় অনেক দেশের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ছিল। গত বছর আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৭ শতাংশ। বিশ্ব অর্থনীতি এ সময় যে সংকট মোকাবিলা করেছে, সে তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি এ সময় যথেষ্ট ভালো করেছে।
প্রথম আলো এর পেছনে কী কারণ রয়েছে বলে মনে করেন? সরকারের কার্যকর অর্থনৈতিক নীতি না অন্য কোনো ফ্যাক্টর?
মাহবুব হোসেন আমাদের অর্থনীতির তিনটি দিক রয়েছে। কৃষি, তৈরি পোশাক শিল্প ও প্রবাসী শ্রমিকদের আয়। বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও আমাদের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে ভালো করেছে এই তিনটি ক্ষেত্রের কোনোটিই ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ার কারণে। শুধু কৃষি ক্ষেত্রেই সরকারের কার্যকর নীতি সুফল দিয়েছে। আর অন্য দুটি ক্ষেত্রে সরকারের কোনো কার্যকর নীতি না থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
প্রথম আলো কৃষি ক্ষেত্রে সাফল্যের বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?
মাহবুব হোসেন মূল ব্যাপারটি হচ্ছে কৃষি উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি। স্বাধীনতার ৪০ বছরে এ ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি অনেক বেশি। শুরুর দিকে বিষয়টি এমন ছিল যে কৃষি ভালো করলেও কৃষক ভালো ছিলেন না। বর্তমানে সে পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা গেছে। প্রকৃতপক্ষে নব্বইয়ের দশক থেকে কৃষি ভালো করতে শুরু করেছে। বর্তমানে কৃষক উৎপাদনের বিপরীতে ভালো দাম পাচ্ছেন। সরকারের নীতি এ ক্ষেত্রে অনুকূল ভূমিকা পালন করছে। আগে কৃষি উৎপাদনের ফল শুধু শহুরে ভোক্তারা পেত, এখন কৃষক তা পাচ্ছেন। গত তিন বছর আমরা কৃষকের মুখে হাসি দেখতে পেয়েছি। অন্য ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়েছে। কৃষকের আয় বাড়ায় শিল্প পণ্যে অভ্যন্তরীণ বাজার বাড়ছে। কৃষক তাঁদের জীবনযাপনের জন্য পণ্য কিনছেন। ফলে স্থানীয় শিল্পেও এর প্রভাব পড়ছে।
প্রথম আলো আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একটা মন্দাভাব থাকা সত্ত্বেও আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প ও প্রবাসী শ্রমিকের আয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়ল না কেন?
মাহবুব হোসেন এটা ঠিক যে আমাদের এই দুটি খাত বিশ্ব বাজারের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের মোট রপ্তানি আয়ের চার ভাগের তিন ভাগ আয় করে তৈরি পোশাক শিল্প খাত। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিতেও আমরা দেখলাম, গত বছর এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪০ শতাংশ। এর মূল কারণটি হচ্ছে আমরা যে তৈরি পোশাক উৎপাদন করি, তা মূলত কম দামের পোশাক। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দামি পোশাকের বাজার পড়ে গেছে। যাঁরা দামি পোশাক কিনতে অভ্যস্ত, তাঁরা কম দামি পোশাক কেনার দিকে ঝুঁকেছেন। এই পরিস্থিতির সুফল পেয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প। তবে রপ্তানি আয়ের জন্য এই যে একটি শিল্পের ওপর এত বড় নির্ভরশীলতা, এর বিপদ রয়েছে। বর্তমানে হয়তো ভালো করছে, কিন্তু সব সময় যে তা বজায় থাকবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের দিকে সরকারকে নজর দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের নীতি সহায়তা ও সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু তেমন উদ্যোগ দেখা যায়নি।
প্রথম আলো আর প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে?
মাহবুব হোসেন ২০০৮ সালে বিদেশে শ্রমিক রপ্তানির বিষয়টি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। সে বছর প্রায় নয় লাখ শ্রমিক বিদেশ গিয়েছিল। এখন সেটা কমেছে। ২০১০ সালে গেছে চার লাখ শ্রমিক। ২০১১ সালে এটা আবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি। আমাদের দেশের শ্রমবাজারে প্রতিবছর ১৩ লাখ নতুন শ্রমিক যুক্ত হয়। যদিও শ্রমিক পাঠানোর বর্তমান হার বিবেচনায় নেই, তবে বলা যায়, নতুন শ্রমশক্তির প্রায় ৪০ শতাংশ দেশের বাইরে কর্মসংস্থান করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে দেশের শ্রমবাজারের ওপর চাপ কমছে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে যে মুদ্রা আসছে, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলে খরচ হচ্ছে। সেখানকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চাঙা হয়ে উঠছে। আর বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিতে সাধারণত দেশে অর্থ পাঠানের পরিমাণ বেড়ে যায়। এসব কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার তাৎক্ষণিক প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতে দেখা যায়নি। প্রবাসীরা বর্তমানে মাসে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার পাঠাচ্ছে, যা প্রায় রপ্তানি আয়ের সমান। আমাদের অর্থনীতির এই যে মূল তিনটি দিকের কথা বললাম, একমাত্র কৃষি ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে সরকারের নীতি কোনো ভূমিকা পালন করেনি। শিল্প বা জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব কার্যকর নীতি বা পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে সরকার কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেনি। কৃষি ছাড়া অন্য দুটি ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সরকারের নীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রথম আলো কৃষি ক্ষেত্রে কোন ধরনের নীতি সবচেয়ে কাজে দিয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
মাহবুব হোসেন কৃষি ক্ষেত্রে সরকারের নীতির যে দিকটির প্রতি আমি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই তা হলো, সরকার কৃষি উপকরণের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে। আগে সার বা বীজের মতো কৃষি উপকরণের জন্য কৃষককে লাইন দিতে হতো। সেই পরিস্থিতি এখন নেই। কৃষক যেকোনো সময় তাঁর চাহিদামতো কৃষি উপকরণ কিনতে পারছেন। এটা খুবই ইতিবাচক। আমি বলব, কৃষিমন্ত্রী উপকরণ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে খুবই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি কৃষি ক্ষেত্রে ক্রমাগত ভর্তুকি বাড়িয়েছেন। বাজেটে বরাদ্দ না থাকলেও যখন যা প্রয়োজন, তা করার চেষ্টা করেছেন।
প্রথম আলো কিন্তু অব্যাহত এই ভর্তুকি চূড়ান্ত বিচারে কৃষি খাতের জন্য কতটা মঙ্গলজনক? আর সরকারের কৃষিনীতির সীমাবদ্ধতা কোথায়?
মাহবুব হোসেন বতর্মান সরকারের কৃষিনীতির সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, ভর্তুকির পরিমাণ অনেক বেশি। কৃষি খাতের যে বাজেট, এর প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ব্যয় হয় ভর্তুকির পেছনে। দীর্ঘ মেয়াদে চিন্তা করলে এ ধারা থেকে সরে আসতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রের অন্যদিকে জোর দিতে হবে। আমাদের জমির পরিমাণ কমছে, পানির প্রাপ্ততাও কমে আসছে। এই বাস্তবতায় ফলন বাড়াতে হলে নতুন প্রযুক্তির দিকে নজর দিতে হবে। সরকার বর্তমানে কৃষি ক্ষেত্রে যে নীতি অবলম্বন করছে, তাতে দীর্ঘ মেয়াদের ফল পাওয়ার দিকে নজর কম। আশি ও নব্বইয়ের দশকে কৃষি ক্ষেত্রে দক্ষ গবেষকেরা ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে নতুন গবেষক সৃষ্টির বা সামগ্রিকভাবে কৃষি গবেষণার ক্ষেত্রে সরকারের মনোযোগ কম। কৃষি শিক্ষার গুণগত মান কমেছে। কৃষি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান হয়েছে, কিন্তু ল্যাব-সুবিধা ও পর্যাপ্ত খামার-সুবিধা নেই। এসব দিকে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে।
প্রথম আলো আপনি কি কৃষি খাতে ভর্তুকি কমানোর পক্ষে?
মাহবুব হোসেন বর্তমানে যে পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়া হয়, তা আরও কমিয়ে কাজটি করা যায়। কৃষি ক্ষেত্রে সবার জন্য ও সব অঞ্চলে ঢালাওভাবে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। বড় ও মাঝারি কৃষকেরাও এ সুবিধা পাচ্ছেন। আসলে সুধিধাটা পাওয়া উচিত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের। আমি মনে করি, টার্গেট করে ভর্তুকি দেওয়া হলে সুফল পাওয়া যাবে এবং অনেক অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। এই অর্থ কৃষি ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন, গবেষণা, কৃষি শিক্ষার মানোন্নয়ন, সেচ অবকাঠামো উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে কাজে লাগানো যেতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদের কথা চিন্তা করলে এগুলো খুবই জরুরি।
প্রথম আলো ডিজেলের দাম বৃদ্ধি কৃষি খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন কি?
মাহবুব হেসেন সরকার যে পরিকল্পনা করছে তাতে মনে হয়, জ্বালানি খাতের ভর্তুকি পর্যায়ক্রমে সমন্বয় করা হবে। এটা নিয়মিত করা হলে এখন যত চাপ পড়ছে, ততটা মনে হতো না। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে, তাতে সন্দেহ নেই। এখন কৃষক যদি ভালো দাম পান, তাতে সমস্যা নেই।
প্রথম আলো কিন্তু এখন কৃষিপণ্যের দাম নিম্নমুখী। প্রথম আলোর এক জনমত জরিপেও দেখা যাচ্ছে, কৃষিপণ্যের দাম কম হওয়ায় কৃষক অসন্তুষ্ট।
মাহবুব হোসেন এখন কৃষিপণ্যের দাম নিম্নমুখী। এই প্রবণতা যদি সাময়িক হয়, তবে কোনো সমস্যা নেই। পরে দাম বাড়লে কৃষক তা পুষিয়ে নেবেন। কৃষিপণ্যের দাম কম থাকলে সামনের কৃষি উৎপাদনের ওপর এর প্রভাব পড়ে। কৃষিপণ্যের কম দামের কারণে আপনি কৃষকের অসন্তুষ্টির কথা বললেন। এ কারণে কৃষক ফসল চাষে মনোযোগ কম দিতে পারেন বা পরিচর্যার ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ফলে সামগ্রিকভাবে ফলন কম হওয়ার একটি আশঙ্কা থাকে। আমার ধারণা, ধানের দাম বাড়তে শুরু করবে। থাইল্যান্ডে বন্যার কারণে সেখানকার উৎপাদনের ওপর নিশ্চিতভাবেই প্রভাব পড়বে। দেশটি চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ চালের সরবরাহকারী। আন্তর্জাতিক বাজারে চালের সরবরাহ কমলে চালের দাম বাড়বে ও বাংলাদেশের বাজারে এর প্রভাব পড়বে এবং চালের দাম বাড়বে। ফলে দাম নিয়ে কৃষকের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। ডিজেলের দাম বাড়ার যে প্রভাব, সেটা সাময়িক বলেই মনে হয়। আমাদের বোরো উৎপাদন সেচ তথা জ্বালানি-নির্ভর। ডিজেলের দাম যে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে উৎপাদন ব্যয় চার শতাংশ বাড়বে। আমার মনে হয়, এটার চেয়েও কৃষিশ্রমিকের মজুরির বিষয়টি বড় হয়ে দেখা দেবে। কারণ, কৃষিশ্রমিকের মজুরি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
প্রথম আলো সরকার জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহারের যে নীতি নিয়েছে, তাতে সামনে দাম আরও বাড়বে, আর এর প্রভাব পড়বে সব ধরনের দ্রব্যমূল্যের ওপর। সাধারণ জনগণ এ চাপ সামলাবে কীভাবে?
মাহবুব হোসেন আসলে বিষয়টিকে সামগ্রিক অর্থনীতির বিবেচনায় দেখতে হবে। প্রবৃদ্ধি যদি ৬.৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে রাখা যায়, তবে মাথাপিছু আয় ৫ থেকে ৫.৫ শতাংশ হারে বাড়বে। এই হারে আয় বাড়লে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বাড়বে। জাতীয় আয় যদি বাড়ে এবং সমবণ্টনের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়, তবে ভোক্তার উচ্চ মূল্য দেওয়ার ক্ষমতা বাড়বে। খাদ্যের দাম বাড়লে যার যার জায়গা থেকে তারা দাম বাড়িয়ে দেয়। অর্থনীতিতে সমন্বয়ের একটি ব্যবস্থা আছে।
প্রথম আলো কিন্তু মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় করে তো সবার আয় বাড়ে না
মাহবুব হোসেন আসলে শিল্প শ্রমিক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এটা বেশি সত্য। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় করে তাঁদের আয় বাড়ানো কঠিন। জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এ দুটি গোষ্ঠীই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই দুটি গোষ্ঠীর জন্য সরকারের কিছু করতে হবে। এখন যেভাবে কয়েক বছর পর পর বেতন কমিশন গঠন করে বেতন বাড়ানো হয়, সেই প্রক্রিয়া থেকে সরে এসে বার্ষিক বেতন সমন্বয় করা যায় কি না, তা দেখতে হবে এবং নিয়মিত ভিত্তিতে তা করতে হবে।
প্রথম আলো আপনাকে ধন্যবাদ।
মাহবুব হোসেন ধন্যবাদ।
No comments