অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তার করুন, শাস্তি দিন-সাতক্ষীরার ঘটনা

সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ একটি ভালো কাজ করেছে। এক কলেজছাত্রী ও নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল যারা, সরকারপন্থী ছাত্রসংগঠনের নেতা বলে তাদের ছাড় দেয়নি পুলিশ; মামলার দুই আসামির একজনকে গ্রেপ্তার করেছে, অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছে। সাতক্ষীরা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার বিবরণ ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। একটি জেলা


কমিটির প্রধান দুই নেতার এহেন অপকীর্তি যেকোনো ছাত্রসংগঠনের মানমর্যাদা ধুলায় লুটিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট শুধু নয়, এর চেয়েও বেশি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ওই দুজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে এবং তাঁদের নেতৃত্বাধীন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল করে যথাযথ পদক্ষেপই নিয়েছে। এটি ছাত্রলীগের একটি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। এই দৃষ্টান্ত সব ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হলে ছাত্রলীগের নাম করে বা তার ছত্রছায়ায় থেকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার উৎসাহে নিশ্চয়ই ভাটা পড়বে। শুধু নারীর প্রতি সহিংসতার মতো জঘন্য অপরাধই নয়, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসসহ সব ধরনের অপরাধের ব্যাপারেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের এমন কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত।
মামলার অন্য আসামি সাতক্ষীরা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি জুয়েল হাসান এখনো গ্রেপ্তার হননি। সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেছেন, তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আমরা আশা করি, পুলিশের এই চেষ্টা শিগগিরই সফল হবে। এ মামলায় এটা নিশ্চিত করা দরকার যে, দুই আসামি সরকারি দলের কোনো অংশের বা স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের কোনো পৃষ্ঠপোষকতা যেন না পায়; পুলিশের ওপর যেন কোনো প্রভাব খাটানোর সুযোগ না থাকে, মামলার বাদীদের যেন কেউ ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে না পারে। আইন যাতে নিজস্ব গতিতে চলতে পারে এবং অপরাধীদের বিচার ও শাস্তি হয়, সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।

No comments

Powered by Blogger.