র ঙ বে র ঙ-শব্দাবলীর স্টুডিও থিয়েটার
বিজয়ের চলি্লশ বছর এবং শব্দাবলীর স্টুডিও থিয়েটারের ২০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আজ থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা জাতীয় নাট্যশালায় শুরু হচ্ছে নাট্যোৎসব। উৎসব দুটি পর্বে বিভক্ত। ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় উদ্বোধনী পর্ব পাঁচ দিন ও বরিশালে স্টুডিও থিয়েটার মঞ্চে সমাপনী পর্ব পাঁচ দিন। দক্ষিণাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র ও নাট্য সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী নগরী বরিশালে ১৯৭৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর শব্দাবলীর জন্ম। শৌখিন থিয়েটার চর্চা নয় শব্দাবলীর লক্ষ্য নাটকে পেশাদারিত্ব।
১৯৯১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শব্দাবলী স্টুডিও থিয়েটারের যাত্রা শুরু। নিজস্ব পরিসরে নাটকের আনুষঙ্গিক উপকরণ লাইট, সেট, মিউজিক, আসন ব্যবস্থায় সপ্তাহে একদিন নাটকের প্রদর্শনী হচ্ছে। বিশ বছরে স্টুডিও থিয়েটারে ২২ প্রযোজনার ৮১২টি প্রদর্শনী হয়েছে।
শব্দাবলীর নিজস্ব কার্যালয়টি উপযোগী করে প্রতিষ্ঠা করা হয় স্টুডিও থিয়েটার। সৈয়দ দুলালের নির্দেশনায় মনোজ মিত্রের 'মেষ ও রাক্ষস' নাটক মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে স্টুডিও থিয়েটারের যাত্রা শুরু। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমিনুল ইসলাম দুর্জয় ও পংকজ নাথ ১৯৯৪ সালে নির্মাণ করেন মলিয়েরের লা তার্তুফ অবলম্বনে 'তিনি মুক্তিদাতা'। সাজেদুর রহমান চঞ্চল আরও একটি নাটক ব্রেটলড্ ব্রেখ্টের 'সেনোরা কারারের রাইফেল' প্রযোজনার কর্মশালা করান। পরে এসটি কলরিয়েডসের বিখ্যাত কবিতা 'দ্য রাইম অব দ্য এনসিয়েন্ট ম্যারিনার' অবলম্বনে নির্মাণ করেন 'একজন নাবিক ও একটি শংখচিল'। ১৯৯৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক ড. ইস্রাফিল সাহিন সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত নাটক পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় নির্দেশনা দিয়েছেন। ১৯৯৮ সালে শান্তনু বিশ্বাসের 'ইনফরমার' নাটকটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছেন শব্দাবলীর খোকন মুখার্জি ও শহীদুল ইসলাম। ২০০৬ সালের প্রযোজনা নীল ময়ূরের যৌবন ইতিমধেই দর্শক নন্দিত। প্রথিতযশা লেখক সেলিনা হোসেনের নীল ময়ূরের যৌবনের নাট্যরূপ দিয়েছেন সুনন্দ বাশার এবং নির্দেশনা সৈয়দ দুলাল। এরপর হাজাম সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকা নিয়ে সম্প্রতিক প্রযোজনা 'কালাকাল', ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস থেকে নাট্যরূপ দিয়েছেন শব্দাবলীর কর্মী অনিমেশ সাহা লিটু এবং নির্দেশনা সৈয়দ দুলাল। কালাকাল নাটকের পরে ২০০৮ সালে অনিমেশ সাহা লিটুর রচনা ও নির্দেশনায় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা রাখাইন জনগোষ্ঠীর জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে প্রযোজনা করেছে 'জাঙ্গল দাহন'। এ ছাড়াও শব্দাবলীর তরুণ নাট্যকার ও নির্দেশকরা নিরীক্ষাধর্মী কাজ করে যাচ্ছেন একই ধারাবাহিকতায়।
সৈয়দ দুলাল
শব্দাবলীর নিজস্ব কার্যালয়টি উপযোগী করে প্রতিষ্ঠা করা হয় স্টুডিও থিয়েটার। সৈয়দ দুলালের নির্দেশনায় মনোজ মিত্রের 'মেষ ও রাক্ষস' নাটক মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে স্টুডিও থিয়েটারের যাত্রা শুরু। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমিনুল ইসলাম দুর্জয় ও পংকজ নাথ ১৯৯৪ সালে নির্মাণ করেন মলিয়েরের লা তার্তুফ অবলম্বনে 'তিনি মুক্তিদাতা'। সাজেদুর রহমান চঞ্চল আরও একটি নাটক ব্রেটলড্ ব্রেখ্টের 'সেনোরা কারারের রাইফেল' প্রযোজনার কর্মশালা করান। পরে এসটি কলরিয়েডসের বিখ্যাত কবিতা 'দ্য রাইম অব দ্য এনসিয়েন্ট ম্যারিনার' অবলম্বনে নির্মাণ করেন 'একজন নাবিক ও একটি শংখচিল'। ১৯৯৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক ড. ইস্রাফিল সাহিন সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত নাটক পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় নির্দেশনা দিয়েছেন। ১৯৯৮ সালে শান্তনু বিশ্বাসের 'ইনফরমার' নাটকটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছেন শব্দাবলীর খোকন মুখার্জি ও শহীদুল ইসলাম। ২০০৬ সালের প্রযোজনা নীল ময়ূরের যৌবন ইতিমধেই দর্শক নন্দিত। প্রথিতযশা লেখক সেলিনা হোসেনের নীল ময়ূরের যৌবনের নাট্যরূপ দিয়েছেন সুনন্দ বাশার এবং নির্দেশনা সৈয়দ দুলাল। এরপর হাজাম সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকা নিয়ে সম্প্রতিক প্রযোজনা 'কালাকাল', ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস থেকে নাট্যরূপ দিয়েছেন শব্দাবলীর কর্মী অনিমেশ সাহা লিটু এবং নির্দেশনা সৈয়দ দুলাল। কালাকাল নাটকের পরে ২০০৮ সালে অনিমেশ সাহা লিটুর রচনা ও নির্দেশনায় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা রাখাইন জনগোষ্ঠীর জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে প্রযোজনা করেছে 'জাঙ্গল দাহন'। এ ছাড়াও শব্দাবলীর তরুণ নাট্যকার ও নির্দেশকরা নিরীক্ষাধর্মী কাজ করে যাচ্ছেন একই ধারাবাহিকতায়।
সৈয়দ দুলাল
No comments