অবশেষে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক ধারা
অবশেষে ধারাবাহিক দরপতন রোধে নেওয়া নানামুখী উদ্যোগ দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জে গতকাল শেয়ারের দাম, মূল্যসূচক, লেনদেনসহ সব ক্ষেত্রেই ছিল ইতিবাচক ধারা।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বা ১৩৩ পয়েন্ট বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছে পৌনে ৩ শতাংশ বা ৪৪৫ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯৫ শতাংশেরই দাম বেড়েছে। আর সিএসইতে বেড়েছে ৯২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের কিছু পদক্ষেপের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফেরার আভাস পাওয়ায় গত দুই দিনের বাজারে তারই কিছুটা প্রতিফলন ঘটেছে।
এ ছাড়া অব্যাংকিং খাতের আর্থিক প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের প্রাতিষ্ঠানিক ঘোষণাও বাজারে কিছুটা হলে গতি সঞ্চার করেছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ গত শনিবার অভিহিত মূল্যে একটির বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাজারের ধারাবাহিক দরপতন বন্ধে ঈদের ছুটির পর থেকে বেশ তৎপর হয়ে ওঠে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একের পর এক বৈঠক করে সংস্থাটি। এসব বৈঠকের সুপারিশের ভিত্তিতে বাজারবান্ধব বেশ কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। এমনকি পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সুপারিশে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর একক গ্রাহক ঋণসীমা ও অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগসীমা সমন্বয়ের সময় এক বছর বাড়িয়ে দেয়।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি ডিএসই, সিএসই, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ (আইসিবি) সংশ্লিষ্ট সবাই ছিল বেশ তৎপর।
সর্বশেষ গত বুধবার দরপতন রোধে এগিয়ে আসেন তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সংগঠন বিএপিএলসির সভাপতি সালমান এফ রহমান বাজার থেকে নিজ কোম্পানির শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণার পরদিন বৃহস্পতিবার সালমানসহ আরও দুই কোম্পানির পরিচালক তাঁদের কোম্পানির শেয়ারের ক্রয় আদেশ দেন।
এর আগে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এসইসি। একই সঙ্গে সাধারণ শেয়ারধারীদের মধ্যে কোনো কোম্পানির ৫ শতাংশ বা এর বেশি শেয়ার থাকলে তা-ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়।
এসব ঘোষণার পর বৃহস্পতিবারই ডিএসইর মূল্যসূচকে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শেয়ারের দামের ঊর্ধ্বগতি দিয়ে ঢাকার বাজারে লেনদেন শুরু হয়। তবে সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচকে কিছুটা উত্থান-পতন চলে। এরপর সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। দিনশেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৭৮৫ পয়েন্টে।
ডিএসইতে গতকাল ২৫৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২৪৫টিরই দাম বেড়েছে আর কমেছে ১৩টির। দিনশেষে ঢাকার বাজারে ৩৬৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ৬৫ কোটি টাকা বেশি। সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক গতকাল বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে। চট্টগ্রামের বাজারে লেনদেন হওয়া ১৮৬টি কোম্পানির মধ্যে ১৭১টিরই দাম বেড়েছে; কমেছে ১০টির আর অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটির দাম। দিনশেষে সিএসইতে প্রায় ৫৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে আট কোটি টাকা বেশি।
বাজার-পরিস্থিতি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধারাবাহিক দরপতনের ফলে মৌলভিত্তিসম্পন্ন অনেক কোম্পানির দাম এমন এক পর্যায়ে নেমে এসেছিল, যা নতুন বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার মতো। আশা করছি, এ অবস্থায় ধীরে ধীরে বাজারে বিনিয়োগ বাড়ার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। বাজারে টেকসই প্রবৃদ্ধিই আমাদের সবার কাম্য। এ জন্য আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বা ১৩৩ পয়েন্ট বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছে পৌনে ৩ শতাংশ বা ৪৪৫ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯৫ শতাংশেরই দাম বেড়েছে। আর সিএসইতে বেড়েছে ৯২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের কিছু পদক্ষেপের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফেরার আভাস পাওয়ায় গত দুই দিনের বাজারে তারই কিছুটা প্রতিফলন ঘটেছে।
এ ছাড়া অব্যাংকিং খাতের আর্থিক প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের প্রাতিষ্ঠানিক ঘোষণাও বাজারে কিছুটা হলে গতি সঞ্চার করেছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ গত শনিবার অভিহিত মূল্যে একটির বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাজারের ধারাবাহিক দরপতন বন্ধে ঈদের ছুটির পর থেকে বেশ তৎপর হয়ে ওঠে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একের পর এক বৈঠক করে সংস্থাটি। এসব বৈঠকের সুপারিশের ভিত্তিতে বাজারবান্ধব বেশ কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। এমনকি পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সুপারিশে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর একক গ্রাহক ঋণসীমা ও অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগসীমা সমন্বয়ের সময় এক বছর বাড়িয়ে দেয়।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি ডিএসই, সিএসই, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ (আইসিবি) সংশ্লিষ্ট সবাই ছিল বেশ তৎপর।
সর্বশেষ গত বুধবার দরপতন রোধে এগিয়ে আসেন তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সংগঠন বিএপিএলসির সভাপতি সালমান এফ রহমান বাজার থেকে নিজ কোম্পানির শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণার পরদিন বৃহস্পতিবার সালমানসহ আরও দুই কোম্পানির পরিচালক তাঁদের কোম্পানির শেয়ারের ক্রয় আদেশ দেন।
এর আগে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এসইসি। একই সঙ্গে সাধারণ শেয়ারধারীদের মধ্যে কোনো কোম্পানির ৫ শতাংশ বা এর বেশি শেয়ার থাকলে তা-ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়।
এসব ঘোষণার পর বৃহস্পতিবারই ডিএসইর মূল্যসূচকে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শেয়ারের দামের ঊর্ধ্বগতি দিয়ে ঢাকার বাজারে লেনদেন শুরু হয়। তবে সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচকে কিছুটা উত্থান-পতন চলে। এরপর সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। দিনশেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৭৮৫ পয়েন্টে।
ডিএসইতে গতকাল ২৫৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২৪৫টিরই দাম বেড়েছে আর কমেছে ১৩টির। দিনশেষে ঢাকার বাজারে ৩৬৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ৬৫ কোটি টাকা বেশি। সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক গতকাল বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে। চট্টগ্রামের বাজারে লেনদেন হওয়া ১৮৬টি কোম্পানির মধ্যে ১৭১টিরই দাম বেড়েছে; কমেছে ১০টির আর অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটির দাম। দিনশেষে সিএসইতে প্রায় ৫৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে আট কোটি টাকা বেশি।
বাজার-পরিস্থিতি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধারাবাহিক দরপতনের ফলে মৌলভিত্তিসম্পন্ন অনেক কোম্পানির দাম এমন এক পর্যায়ে নেমে এসেছিল, যা নতুন বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার মতো। আশা করছি, এ অবস্থায় ধীরে ধীরে বাজারে বিনিয়োগ বাড়ার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। বাজারে টেকসই প্রবৃদ্ধিই আমাদের সবার কাম্য। এ জন্য আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
No comments