সোনাবরুর ছবি বাঁধাই করে রাখবে বন্ধুরা by সোহেল হাফিজ
অকালে হারিয়ে যাওয়া প্রিয় সহপাঠী সোনাবরুর কবরের পাশে একটি রক্তজবা গাছ রোপণ করে গতকাল সোমবার আবারও ভালোবাসা জানিয়েছে জাকিরতবক রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। সহপাঠীরা ঠিক করেছে, সোনাবরুর একটি বড় ছবি বাঁধাই করে রাখবে বিদ্যালয়ে। সুজিয়া জানায়, মেধাবী সোনাবরু ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী। তাই সে ঠিক করেছে, যদি পঞ্চম শ্রেণীতে বৃত্তি পায়, তাহলে ওই বৃত্তির টাকা দিয়ে সে প্রিয় বান্ধবীর কবর বাঁধাই করে দেবে।
অন্যদিকে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী চাল বা অর্থ সাহায্য তুলে তা দিয়ে দরিদ্র মা আকলিমা বেগম ও তাঁর পরিবারকে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রামবাসী। এ লক্ষ্যে তারা গতকাল সকাল থেকে চাল সংগ্রহের কাজও শুরু করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি। জাকিরতবক রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোনাবরুর জন্য দোয়া অনুষ্ঠান ও তার পরিবারকে সহায়তা দিতে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে একটি জরুরি সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'এ স্কুলের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা সোনাবরুদের মতোই। তাই জরুরি সভার মাধ্যমে সোনাবরুর জন্য দু-এক দিনের মধ্যেই একটি দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ওই অনুষ্ঠানে সব অভিভাবকের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা হবে, যাতে তাঁরা তাঁদের শিশুদের খাদ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হন।' জাকিরতবক গ্রামের সোনাবরু (১০) দারিদ্র্য মানতে না পেরে গত বুধবার আত্মহত্যা করে। চতুর্থ শ্রেণীর এ ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও গতকাল বিকেল পর্যন্ত জাকিরতবকে পা দেননি বরগুনার কোনো রাজনৈতিক নেতা। সোনাবরুদের দরিদ্র পরিবারকে সামান্য সমবেদনা জানাতে আসেনি বরগুনার কোনো বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), সংগঠক বা বিশিষ্টজন।
সোনাবরুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেলে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাদের বাড়ি গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগতভাবে সোনাবরুর মা আকলিমা বেগমকে ৫০০ টাকা সহায়তা দেন। তিনি বলেন, 'তাদের দারিদ্র্য ছিল, তবে অভাবের কারণে ক্ষুধার জ্বালায় যে সে আত্মহত্যা করেছে, তা ঠিক নয়। তার মা বাড়িতে ছিলেন না। স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে সে তার মাকে না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে।' সোনাবরু একটু জেদি স্বভাবের ছিল বলে জানতে পেরেছেন উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, 'তার মা এর আগেও ভাতের অভাব হলে আশপাশের বাড়ি থেকে তা সংগ্রহ করে ছেলেমেয়েদের খাওয়াতেন। ওই দিনও যদি মা আকলিমা বেগম আশপাশের বাড়ি থেকে সোনাবরুর জন্য খাবার সংগ্রহ করে রেখে যেতেন, তাহলে হয়তো এমনটি ঘটত না।'
সোনাবরুর পরিবারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাঁদের সবার সমবেদনার প্রতি সম্মান জানিয়ে সোনাবরুর মায়ের একটি ব্যাংক হিসাব নম্বর, সোনাবরুর বিদ্যালয় জাকিরতবক রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া হলো, যাতে আগ্রহীরা তাঁদের সহযোগিতা পাঠাতে পারেন এবং জেনে নিতে পারেন তাঁদের সর্বশেষ পরিস্থিতি। মোসা. আকলিমা বেগম, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ২৭৯৪, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, আয়লা বাজার শাখা, বরগুনা। প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আবদুল্লাহ আল মামুনের মোবাইল ফোন নম্বর যথাক্রমে_০১৭২১৬৮৬৪৮০ ও ০১৭১২৭৭৯৮৫১।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'এ স্কুলের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা সোনাবরুদের মতোই। তাই জরুরি সভার মাধ্যমে সোনাবরুর জন্য দু-এক দিনের মধ্যেই একটি দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ওই অনুষ্ঠানে সব অভিভাবকের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা হবে, যাতে তাঁরা তাঁদের শিশুদের খাদ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হন।' জাকিরতবক গ্রামের সোনাবরু (১০) দারিদ্র্য মানতে না পেরে গত বুধবার আত্মহত্যা করে। চতুর্থ শ্রেণীর এ ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও গতকাল বিকেল পর্যন্ত জাকিরতবকে পা দেননি বরগুনার কোনো রাজনৈতিক নেতা। সোনাবরুদের দরিদ্র পরিবারকে সামান্য সমবেদনা জানাতে আসেনি বরগুনার কোনো বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), সংগঠক বা বিশিষ্টজন।
সোনাবরুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেলে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাদের বাড়ি গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগতভাবে সোনাবরুর মা আকলিমা বেগমকে ৫০০ টাকা সহায়তা দেন। তিনি বলেন, 'তাদের দারিদ্র্য ছিল, তবে অভাবের কারণে ক্ষুধার জ্বালায় যে সে আত্মহত্যা করেছে, তা ঠিক নয়। তার মা বাড়িতে ছিলেন না। স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে সে তার মাকে না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে।' সোনাবরু একটু জেদি স্বভাবের ছিল বলে জানতে পেরেছেন উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, 'তার মা এর আগেও ভাতের অভাব হলে আশপাশের বাড়ি থেকে তা সংগ্রহ করে ছেলেমেয়েদের খাওয়াতেন। ওই দিনও যদি মা আকলিমা বেগম আশপাশের বাড়ি থেকে সোনাবরুর জন্য খাবার সংগ্রহ করে রেখে যেতেন, তাহলে হয়তো এমনটি ঘটত না।'
সোনাবরুর পরিবারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাঁদের সবার সমবেদনার প্রতি সম্মান জানিয়ে সোনাবরুর মায়ের একটি ব্যাংক হিসাব নম্বর, সোনাবরুর বিদ্যালয় জাকিরতবক রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া হলো, যাতে আগ্রহীরা তাঁদের সহযোগিতা পাঠাতে পারেন এবং জেনে নিতে পারেন তাঁদের সর্বশেষ পরিস্থিতি। মোসা. আকলিমা বেগম, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ২৭৯৪, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, আয়লা বাজার শাখা, বরগুনা। প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আবদুল্লাহ আল মামুনের মোবাইল ফোন নম্বর যথাক্রমে_০১৭২১৬৮৬৪৮০ ও ০১৭১২৭৭৯৮৫১।
No comments