পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণায় ক্ষোভ ও হতাশা
রাশিয়ার আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের এমন ঘোষণায় দেশটির অনেকেই হতাশা ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
খোদ ক্ষমতাসীন দলের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাও কোনো রাখডাক না রেখে বলেছেন, এ রকমটা হলে নতুন সরকারে আর থাকতে চাই না। আর বিরোধী দল বলেছে, এটা হবে রাশিয়ার জন্য বড় বিপর্যয়।
২০১২ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের উচিত আবার ছয় বছর মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়া—গত শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা এসব কথা বললেন।
মেদভেদেভ বলেন, ২০১২ সালের মার্চে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়াবেন এবং এর পরিবর্তে সরকারপ্রধান হিসেবে (প্রধানমন্ত্রী) দায়িত্ব পালন করবেন। মেদভেদেভ ২০০৮ সালে পুতিনের কাছ থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড রাশিয়ার বার্ষিক সম্মেলনে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ ঘোষণার পর কে হচ্ছেন রাশিয়ার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, তা নিয়ে যে গুঞ্জন চলছিল তার অবসান ঘটল। জবাবে প্রধানমন্ত্রী পুতিন বলেন, মেদভেদেভের এ প্রস্তাব তাঁর (পুতিন) জন্য খুবই সম্মানের।
মেদভেদেভ ও পুতিনের মধ্যকার এমন সমঝোতায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বর্তমান অর্থমন্ত্রী আলেক্সি কুদরিন ঘোষণা দিয়েছেন, মেদভেদেভ সরকারে দায়িত্ব পালনের তাঁর কোনো ইচ্ছা নেই।
ক্রেমলিনের অর্থনীতিবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা আরকাদি দিভরকোভিচ বললেন, ‘এতে আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই।’ তিনি বরং মেদভেদেভকে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘খেলার মাঠে পরিবর্তন আনার এটাই হচ্ছে উৎকৃষ্ট সময়।’
২০০০ সাল থেকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা কুদরিন আরও বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অনেক বিষয়ে তাঁর মতানৈক্য রয়েছে। কুদরিন বলেছেন, ‘নতুন সরকারে আমি আর নিজেকে দেখতে চাই না। এটা এমন নয় যে কেউ আমাকে এ ব্যাপারে প্রস্তাব দেয়নি। আমাদের মধ্যে যে মতপার্থক্য আছে সেসব কারণে নতুন সরকারে আমি আর দায়িত্ব পালন করতে পারব না।’
তবে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এসব অসন্তোষ ও বিরোধিতার তোয়াক্কা না করে খোলাখুলিভাবে বলে দিয়েছেন, ‘কেউ এই দুজনের (মেদভেদেভ ও পুতিন) কৌশলের সঙ্গে মতপোষণ না করলে সে দল ছেড়ে চলে যেতে পারে।’
উদারপন্থী বিরোধী দল পিপলস ফ্রিডম পার্টির অন্যতম শীর্ষ নেতা সাবেক মন্ত্রী বরিস নেমতসভ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, পুতিন ফের নির্বাচিত হলে মস্কোয় বিমান ওঠানামা ও অভিবাসন বেড়ে যাবে। ফলে রাশিয়ার অর্থনীতি আরও বেশি তেল রপ্তানিনির্ভর হয়ে পড়বে।
পুতিনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত করার এই তৎপরতার প্রতিবাদে গতকাল রোববার বিকেলে মস্কোয় বিরোধী দলের একটি সমাবেশ করার কথা। কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত এ সমাবেশে কয়েক শ লোক জড়ো হলে সেটাই হবে দলটির এক বড় বিস্ময়।
বর্তমানে বিরোধী দলের ভঙ্গুর অবস্থা ও গণমাধ্যমের ওপর ক্রেমলিনের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে আগামী নির্বাচনে পুতিনের বিজয়কে দেখা হচ্ছে শুধুই সময়ের ব্যাপার হিসেবে। নির্বাচিত হলে এবারও টানা দুই মেয়াদে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাঁর ক্ষমতায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
খোদ ক্ষমতাসীন দলের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাও কোনো রাখডাক না রেখে বলেছেন, এ রকমটা হলে নতুন সরকারে আর থাকতে চাই না। আর বিরোধী দল বলেছে, এটা হবে রাশিয়ার জন্য বড় বিপর্যয়।
২০১২ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের উচিত আবার ছয় বছর মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়া—গত শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা এসব কথা বললেন।
মেদভেদেভ বলেন, ২০১২ সালের মার্চে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়াবেন এবং এর পরিবর্তে সরকারপ্রধান হিসেবে (প্রধানমন্ত্রী) দায়িত্ব পালন করবেন। মেদভেদেভ ২০০৮ সালে পুতিনের কাছ থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড রাশিয়ার বার্ষিক সম্মেলনে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ ঘোষণার পর কে হচ্ছেন রাশিয়ার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, তা নিয়ে যে গুঞ্জন চলছিল তার অবসান ঘটল। জবাবে প্রধানমন্ত্রী পুতিন বলেন, মেদভেদেভের এ প্রস্তাব তাঁর (পুতিন) জন্য খুবই সম্মানের।
মেদভেদেভ ও পুতিনের মধ্যকার এমন সমঝোতায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বর্তমান অর্থমন্ত্রী আলেক্সি কুদরিন ঘোষণা দিয়েছেন, মেদভেদেভ সরকারে দায়িত্ব পালনের তাঁর কোনো ইচ্ছা নেই।
ক্রেমলিনের অর্থনীতিবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা আরকাদি দিভরকোভিচ বললেন, ‘এতে আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই।’ তিনি বরং মেদভেদেভকে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘খেলার মাঠে পরিবর্তন আনার এটাই হচ্ছে উৎকৃষ্ট সময়।’
২০০০ সাল থেকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা কুদরিন আরও বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অনেক বিষয়ে তাঁর মতানৈক্য রয়েছে। কুদরিন বলেছেন, ‘নতুন সরকারে আমি আর নিজেকে দেখতে চাই না। এটা এমন নয় যে কেউ আমাকে এ ব্যাপারে প্রস্তাব দেয়নি। আমাদের মধ্যে যে মতপার্থক্য আছে সেসব কারণে নতুন সরকারে আমি আর দায়িত্ব পালন করতে পারব না।’
তবে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এসব অসন্তোষ ও বিরোধিতার তোয়াক্কা না করে খোলাখুলিভাবে বলে দিয়েছেন, ‘কেউ এই দুজনের (মেদভেদেভ ও পুতিন) কৌশলের সঙ্গে মতপোষণ না করলে সে দল ছেড়ে চলে যেতে পারে।’
উদারপন্থী বিরোধী দল পিপলস ফ্রিডম পার্টির অন্যতম শীর্ষ নেতা সাবেক মন্ত্রী বরিস নেমতসভ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, পুতিন ফের নির্বাচিত হলে মস্কোয় বিমান ওঠানামা ও অভিবাসন বেড়ে যাবে। ফলে রাশিয়ার অর্থনীতি আরও বেশি তেল রপ্তানিনির্ভর হয়ে পড়বে।
পুতিনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত করার এই তৎপরতার প্রতিবাদে গতকাল রোববার বিকেলে মস্কোয় বিরোধী দলের একটি সমাবেশ করার কথা। কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত এ সমাবেশে কয়েক শ লোক জড়ো হলে সেটাই হবে দলটির এক বড় বিস্ময়।
বর্তমানে বিরোধী দলের ভঙ্গুর অবস্থা ও গণমাধ্যমের ওপর ক্রেমলিনের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে আগামী নির্বাচনে পুতিনের বিজয়কে দেখা হচ্ছে শুধুই সময়ের ব্যাপার হিসেবে। নির্বাচিত হলে এবারও টানা দুই মেয়াদে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাঁর ক্ষমতায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
No comments