সাতের বর্ণিল ক্যানভাস by শাশ্বতী মজুমদার
ঢাকা চারুকলার সাতজন বন্ধুর আঁকা ছবি নিয়ে একটি প্রদর্শনী চলছে জয়নুল গ্যালারিতে। প্রদর্শনীর নাম ‘সেভেন ফ্রম উইথ ইন আউট ওয়ার্ড’। (২০০৯ সালে নিউইয়র্কে ফ্র্যাংক লয়েড রাইটের ‘ফ্রম উইথ ইন আউট ওয়ার্ড’ নামে বিখ্যাত একটি প্রদর্শনী হয়েছিল।) প্রদর্শনীতে শিল্পীদের সাম্প্রতিক সময়ে আঁকা ৩৪টি শিল্পকর্ম ঠাঁই পেয়েছে। শিল্পীদের প্রত্যেকের কাজের বিষয়গত বৈচিত্র্য থাকলেও তাঁদের প্রত্যেকেরই কাজের রঙের ঔজ্জ্বল্য ও বর্ণিল ভাব বেশ উল্লেখযোগ্য।
শিল্পী অস্মিতা আলম শাম্মী ‘কম্পোজিশন’ শিরোনামে জলরঙে পেইন্টিং করেছেন। লাল, হলুদ, নীল রঙের কম্পোজিশনে জল রঙের এফেক্ট নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কালো শার্প লাইনের জ্যামিতিক ঋজুতা ছবিতে এনেছে তীব্র গতি।
‘স্টোরি অব এমব্রায়ো’ শিরোনামে পেইন্টিং করেছেন শিল্পী চিন্ময়ী শিকদার। ভ্রূণের জন্মবৃত্তান্ত তাঁর ছবির বিষয়। লাল, নীল, হলুদ ও বেগুনি রঙের উজ্জ্বল ব্যবহারে গর্ভের ভ্রূণ নিষিক্ত হওয়ার ঘটনাকে তিনি আনন্দঘন পরিবেশে রূপান্তরিত করেছেন। শিল্পী কল্পনার মাতৃগর্ভ সঞ্চারের সৌন্দর্যের সার্থক রূপায়ণ করেছেন।
শিল্পী কান্তিদেব অধিকারীর ছবিতে দেখা যায় জীবনে বেঁচে থাকার লড়াই। পুরোনো দেয়ালের গায়ে অতিকষ্টে গজিয়ে ওঠা অসংখ্য লতা, গুল্ম ও ফার্ন তাঁর ছবির বিষয়। সবুজ ও হলুদ উদ্ভিদের সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে স্যাঁতসেঁতে দেয়ালের রঙের টেক্সচারের কম্পোজিশনে শিল্পীর মুন্সিয়ানার ছাপ স্পষ্ট। অ্যাক্রিলিকে করা ছবিগুলোর শিরোনাম ‘লাইফ ইজ নট সো ইজি’।
মো. ইকবাল হায়দারের কল্পনার জগৎ মিথলজি ও রহস্যকে ঘিরে। পুঁজিবাদ ও ধর্মীয় গোঁড়ামি, শিল্প, সমাজ ও মানুষের দুর্ভাগ্যকে বয়ে নিয়ে আসছে। নৈরাশ্যবাদী এই শিল্পী তাই কোথাও শান্তি খুঁজে পান না। তাঁর ছবি তাঁর চিন্তারই প্রতিচ্ছবি। এচিং একুয়াটিন্ট লিথোগ্রাফে করা তাঁর ছবির শিরোনাম ‘নিম্ফ’। তাঁর ছবিতে দেখা যায়, ব্যাকগ্রাউন্ডে গাঢ় রহস্যময় নীলে ঘেরা বিভিন্ন প্রতীকী বস্তু এবং ফোর গ্রাউন্ডে ডানাওয়ালা এক নারী-অবয়ব।
শিল্পী মেহেদী হাসানের ছবির শিরোনাম ‘কম্পোজিশন’। উজ্জ্বল লাল, হলুদ ও সবুজ রঙের কম্পোজিশনগুলো বোল্ড এবং আকর্ষণীয় অ্যাক্রিলিকে করা ছবিগুলো মানবসৃষ্ট পরিবেশ দূষণের থিমের ওপর আঁকা হয়েছে।
জীবনকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে চান শিল্পী পীযূষ কান্তি দাশ। তিনি মনে করেন, জীবন একটি দেয়ালের মতো। এই দেয়ালের আড়ালের সত্যটাই তিনি উদ্ঘাটন করতে চেয়েছেন তাঁর ছবির মাধ্যমে। তাঁর ‘দ্য হিডেন এজেন্ডা’ ছবিতে দেখা যায়, মসৃণ দেয়ালের ওপাশে এবড়োখেবড়ো রংবেরঙের ভাঙা অংশ। শিল্পী সওল হাচ্ছার জলরঙে ফুটে ওঠে বাংলার পাহাড়, নদী ও বনের দৃশ্য।
‘স্টোরি অব এমব্রায়ো’ শিরোনামে পেইন্টিং করেছেন শিল্পী চিন্ময়ী শিকদার। ভ্রূণের জন্মবৃত্তান্ত তাঁর ছবির বিষয়। লাল, নীল, হলুদ ও বেগুনি রঙের উজ্জ্বল ব্যবহারে গর্ভের ভ্রূণ নিষিক্ত হওয়ার ঘটনাকে তিনি আনন্দঘন পরিবেশে রূপান্তরিত করেছেন। শিল্পী কল্পনার মাতৃগর্ভ সঞ্চারের সৌন্দর্যের সার্থক রূপায়ণ করেছেন।
শিল্পী কান্তিদেব অধিকারীর ছবিতে দেখা যায় জীবনে বেঁচে থাকার লড়াই। পুরোনো দেয়ালের গায়ে অতিকষ্টে গজিয়ে ওঠা অসংখ্য লতা, গুল্ম ও ফার্ন তাঁর ছবির বিষয়। সবুজ ও হলুদ উদ্ভিদের সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে স্যাঁতসেঁতে দেয়ালের রঙের টেক্সচারের কম্পোজিশনে শিল্পীর মুন্সিয়ানার ছাপ স্পষ্ট। অ্যাক্রিলিকে করা ছবিগুলোর শিরোনাম ‘লাইফ ইজ নট সো ইজি’।
মো. ইকবাল হায়দারের কল্পনার জগৎ মিথলজি ও রহস্যকে ঘিরে। পুঁজিবাদ ও ধর্মীয় গোঁড়ামি, শিল্প, সমাজ ও মানুষের দুর্ভাগ্যকে বয়ে নিয়ে আসছে। নৈরাশ্যবাদী এই শিল্পী তাই কোথাও শান্তি খুঁজে পান না। তাঁর ছবি তাঁর চিন্তারই প্রতিচ্ছবি। এচিং একুয়াটিন্ট লিথোগ্রাফে করা তাঁর ছবির শিরোনাম ‘নিম্ফ’। তাঁর ছবিতে দেখা যায়, ব্যাকগ্রাউন্ডে গাঢ় রহস্যময় নীলে ঘেরা বিভিন্ন প্রতীকী বস্তু এবং ফোর গ্রাউন্ডে ডানাওয়ালা এক নারী-অবয়ব।
শিল্পী মেহেদী হাসানের ছবির শিরোনাম ‘কম্পোজিশন’। উজ্জ্বল লাল, হলুদ ও সবুজ রঙের কম্পোজিশনগুলো বোল্ড এবং আকর্ষণীয় অ্যাক্রিলিকে করা ছবিগুলো মানবসৃষ্ট পরিবেশ দূষণের থিমের ওপর আঁকা হয়েছে।
জীবনকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে চান শিল্পী পীযূষ কান্তি দাশ। তিনি মনে করেন, জীবন একটি দেয়ালের মতো। এই দেয়ালের আড়ালের সত্যটাই তিনি উদ্ঘাটন করতে চেয়েছেন তাঁর ছবির মাধ্যমে। তাঁর ‘দ্য হিডেন এজেন্ডা’ ছবিতে দেখা যায়, মসৃণ দেয়ালের ওপাশে এবড়োখেবড়ো রংবেরঙের ভাঙা অংশ। শিল্পী সওল হাচ্ছার জলরঙে ফুটে ওঠে বাংলার পাহাড়, নদী ও বনের দৃশ্য।
No comments