দুই সন্তানের বেশি নিলে কারাগারে
এটা হবে খুবই কঠিন একটা আইন। তিন সন্তান নিলেই শাস্তি। ঠিকানা হবে কারাগার। আইনটির সবচেয়ে খারাপ দিক হলো, ওই ব্যক্তিকে বলা হবে ‘আইনতভাবে অযোগ্য মানুষ’।
‘কেরালা উইমেনস কোড বিল, ২০১১’-এ এমনই একটি ধারা হয়েছে। ১২ সদস্যের একটি কমিশন সম্প্রতি বিলটি কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করেছে। বিলটি পাস হলে তৃতীয় সন্তানের বাবাকে নির্ঘাত যেতে হবে কারাগারে।
কেরালা রাজ্যের শিশুদের কল্যাণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জনসংখ্যা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ খসড়া বিলটি তৈরি করা হয়েছে।
নারী ও শিশুকল্যাণ এবং অধিকারবিষয়ক এ কমিশন মনে করে, ১০ হাজার রুপি জরিমানা ও তিন মাসের কারাদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো কিছুই তৃতীয় সন্তানপ্রত্যাশী বাবাদের ঠেকাতে পারবে না।
নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় একটি আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের নির্দেশে গত বছরের ৭ আগস্ট কমিশনটি গঠন করা হয়।
বিলটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী, পারিবারিক এ আইন লঙ্ঘন করা হলে তা আইনত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সরকারের কাছ থেকে মা-বাবা কোনো ধরনের সহযোগিতা পাবে না।
প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর এ পরিকল্পনাকে নিরুৎসাহিত করা উচিত হবে না। আর করলে তাদের কর্মকাণ্ড অবশ্যই গভর্নরকে তিরস্কার করতে হবে। এতে আরও বলা হয়, ‘কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ধর্ম, অঞ্চল, সম্প্রদায়, বর্ণ, প্রথা অথবা অন্য কোনো কারণে অতিরিক্ত সন্তান নিতে পারবে না। শিশুদের কোনো ধরনের অধিকার অথবা দাবি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।’
এ ছাড়া বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো নারী ১৯ বছর বয়সের পর বিয়ে করলে এবং ২০ বছর বয়সের পর প্রথম সন্তান নিলে তাঁকে পাঁচ হাজার রুপি প্রণোদনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী দম্পতিদের ক্ষেত্রে যাঁরা ২০ বছর পর বিয়ে করবেন এবং স্ত্রীর ২১ বছর পর সন্তান নেবেন, তাঁদেরও পাঁচ হাজার রুপি দেওয়া হবে।
‘কেরালা উইমেনস কোড বিল, ২০১১’-এ এমনই একটি ধারা হয়েছে। ১২ সদস্যের একটি কমিশন সম্প্রতি বিলটি কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করেছে। বিলটি পাস হলে তৃতীয় সন্তানের বাবাকে নির্ঘাত যেতে হবে কারাগারে।
কেরালা রাজ্যের শিশুদের কল্যাণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জনসংখ্যা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ খসড়া বিলটি তৈরি করা হয়েছে।
নারী ও শিশুকল্যাণ এবং অধিকারবিষয়ক এ কমিশন মনে করে, ১০ হাজার রুপি জরিমানা ও তিন মাসের কারাদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো কিছুই তৃতীয় সন্তানপ্রত্যাশী বাবাদের ঠেকাতে পারবে না।
নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় একটি আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের নির্দেশে গত বছরের ৭ আগস্ট কমিশনটি গঠন করা হয়।
বিলটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী, পারিবারিক এ আইন লঙ্ঘন করা হলে তা আইনত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সরকারের কাছ থেকে মা-বাবা কোনো ধরনের সহযোগিতা পাবে না।
প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর এ পরিকল্পনাকে নিরুৎসাহিত করা উচিত হবে না। আর করলে তাদের কর্মকাণ্ড অবশ্যই গভর্নরকে তিরস্কার করতে হবে। এতে আরও বলা হয়, ‘কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ধর্ম, অঞ্চল, সম্প্রদায়, বর্ণ, প্রথা অথবা অন্য কোনো কারণে অতিরিক্ত সন্তান নিতে পারবে না। শিশুদের কোনো ধরনের অধিকার অথবা দাবি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।’
এ ছাড়া বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো নারী ১৯ বছর বয়সের পর বিয়ে করলে এবং ২০ বছর বয়সের পর প্রথম সন্তান নিলে তাঁকে পাঁচ হাজার রুপি প্রণোদনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী দম্পতিদের ক্ষেত্রে যাঁরা ২০ বছর পর বিয়ে করবেন এবং স্ত্রীর ২১ বছর পর সন্তান নেবেন, তাঁদেরও পাঁচ হাজার রুপি দেওয়া হবে।
No comments