‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হলে কঠিন প্রতিক্রিয়া হবে’
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান হুমকি দিয়ে বলেছেন, জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির আবেদনে অনুমোদন দিলে ‘কঠিন’ প্রতিক্রিয়া হবে। তবে ইসরায়েল কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে, সে সম্পর্কে তিনি পরিষ্কার করে কিছু বলেননি।
স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবিতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের আবেদন নিয়ে আজ সোমবার বৈঠকে বসবে নিরাপত্তা পরিষদ।
এদিকে, গতকাল দেশে ফিরে বীরোচিত সংবর্ধনা পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এ সময় তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ সম্পূর্ণ বন্ধ না করা পর্যন্ত তাঁর দেশ কোনো ধরনের শান্তি আলোচনায় বসবে না। তিনি বলেন, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন সম্পূর্ণ বন্ধ না করা পর্যন্ত এবং আন্তর্জাতিক বৈধতা ছাড়া কোনো ধরনের সমঝোতা হবে না।
আব্বাস বলেন, ‘আমরা আপনাদের আশা, স্বপ্ন, যন্ত্রণা, দূরদৃষ্টি ও একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি নিয়ে জাতিসংঘে গিয়েছিলাম।’
প্রেসিডেন্ট আব্বাস গতকাল রামাল্লায় ফিরে পূর্বসূরি ইয়াসির আরাফাতের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
গতকাল রোববার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি ফিলিস্তিনিদের স্বপ্ন সাধারণ পরিষদে একতরফাভাবে পাস হয়ে যায়, তাহলে সামনে নতুন পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং এর প্রতিক্রিয়া হবে কঠিন। একতরফা যেকোনো সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে ইসরায়েলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির প্রস্তাব তারা প্রতিহত করবে। যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদে আপত্তি জানালে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পাবে না ফিলিস্তিন।
নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিলেও ইসরায়েল উদ্বিগ্ন অন্য কারণে। ফিলিস্তিনের প্রস্তাবে সাধারণ পরিষদে প্রচুর সমর্থন পাওয়া যেতে পারে। সাধারণ পরিষদে যেকোনো প্রস্তাব কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে পাস হয়ে যেতে পারে।
লিবারম্যান এর আগে হুমকি দিয়েছিলেন, ফিলিস্তিন যদি ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি ছাড়াই জাতিসংঘের স্বীকৃতি লাভ করে, তাহলে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।
ইসরায়েল জোরালোভাবে বলেছে, কেবল সমঝোতার মাধ্যমেই ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করতে পারে। আর এ জন্য সীমান্ত ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে উভয়পক্ষকে মতৈক্যে পৌঁছাতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনায় দ্য কোয়ার্টেট নামে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া ও জাতিসংঘ গত রোববার এ ব্যাপারে একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এক মাসের মধ্যে আলোচনায় বসবে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল।
এতে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং আগামী বছরের শেষ নাগাদ দুই দেশের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ওই চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের পাশে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
দ্য কোয়ার্টেটের এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিবারম্যান বলেন, ‘ওই প্রস্তাবের কিছু দিক নিয়ে আপত্তি থাকলেও আমরা অবিলম্বে ফিলিস্তিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।’
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি স্থাপনা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় গত বছর দুই দেশের শান্তি আলোচনা ভেঙে যায়। ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে বর্তমানে সীমিত স্ব-শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবিতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের আবেদন নিয়ে আজ সোমবার বৈঠকে বসবে নিরাপত্তা পরিষদ।
এদিকে, গতকাল দেশে ফিরে বীরোচিত সংবর্ধনা পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এ সময় তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ সম্পূর্ণ বন্ধ না করা পর্যন্ত তাঁর দেশ কোনো ধরনের শান্তি আলোচনায় বসবে না। তিনি বলেন, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন সম্পূর্ণ বন্ধ না করা পর্যন্ত এবং আন্তর্জাতিক বৈধতা ছাড়া কোনো ধরনের সমঝোতা হবে না।
আব্বাস বলেন, ‘আমরা আপনাদের আশা, স্বপ্ন, যন্ত্রণা, দূরদৃষ্টি ও একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি নিয়ে জাতিসংঘে গিয়েছিলাম।’
প্রেসিডেন্ট আব্বাস গতকাল রামাল্লায় ফিরে পূর্বসূরি ইয়াসির আরাফাতের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
গতকাল রোববার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি ফিলিস্তিনিদের স্বপ্ন সাধারণ পরিষদে একতরফাভাবে পাস হয়ে যায়, তাহলে সামনে নতুন পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং এর প্রতিক্রিয়া হবে কঠিন। একতরফা যেকোনো সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে ইসরায়েলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির প্রস্তাব তারা প্রতিহত করবে। যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদে আপত্তি জানালে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পাবে না ফিলিস্তিন।
নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিলেও ইসরায়েল উদ্বিগ্ন অন্য কারণে। ফিলিস্তিনের প্রস্তাবে সাধারণ পরিষদে প্রচুর সমর্থন পাওয়া যেতে পারে। সাধারণ পরিষদে যেকোনো প্রস্তাব কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে পাস হয়ে যেতে পারে।
লিবারম্যান এর আগে হুমকি দিয়েছিলেন, ফিলিস্তিন যদি ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি ছাড়াই জাতিসংঘের স্বীকৃতি লাভ করে, তাহলে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।
ইসরায়েল জোরালোভাবে বলেছে, কেবল সমঝোতার মাধ্যমেই ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করতে পারে। আর এ জন্য সীমান্ত ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে উভয়পক্ষকে মতৈক্যে পৌঁছাতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনায় দ্য কোয়ার্টেট নামে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া ও জাতিসংঘ গত রোববার এ ব্যাপারে একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এক মাসের মধ্যে আলোচনায় বসবে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল।
এতে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং আগামী বছরের শেষ নাগাদ দুই দেশের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ওই চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের পাশে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
দ্য কোয়ার্টেটের এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিবারম্যান বলেন, ‘ওই প্রস্তাবের কিছু দিক নিয়ে আপত্তি থাকলেও আমরা অবিলম্বে ফিলিস্তিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।’
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি স্থাপনা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় গত বছর দুই দেশের শান্তি আলোচনা ভেঙে যায়। ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে বর্তমানে সীমিত স্ব-শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
No comments