উৎসমুখী মাটির ঘ্রাণ by নন্দিনী মুখার্জী
‘ট্রেইলিং
দ্য রুট’ শিরোনামে একটি প্রদর্শনী সম্প্রতি শেষ হলো ঢাকার নিমতলীতে
অবস্থিত এশিয়াটিক গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে। চারজন শিল্পীই রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক—মো. জিল্লুর রহমান, নুরুল আমীন, শাবিন শাহরিয়ার ও
ময়নুল ইসলাম পল। পেইন্টিং, সিরামিকস, ক্র্যাফটস ও স্কাল্পচার—এই চার
মাধ্যমে কাজের নান্দনিক উপস্থিতি প্রদর্শনীকে দিয়েছে বৈচিত্র্যময় অবয়ব।
শিল্পী মো. জিল্লুর রহমানের ‘উত্তরে আদিবাসী’ শিরোনামের পেইন্টিংগুলো মূলত
আধা বিমূর্ত। কোথাও ঝাপসা হয়ে যাওয়া অবয়ব দেখা গেলেও মূলত রঙের খেলাই
লক্ষণীয়। ক্ষয়িষ্ণু দেয়াল, ভঙ্গুর রঙের প্রলেপ থেকে অন্য রঙের ঝলক, রুক্ষ
রেখা, দুঃসময়ের আশাবাদী চেতনা—এসবই তিনি সৃজন করেছেন তাঁর শিল্পকর্মে।
শিল্পী
নুরুল আমীন সিরামিকস মাধ্যমে নিরীক্ষাধর্মী কাজ করেছেন। ‘বিষণ্নতা’
শিরোনামে তিনি মূলত আমাদের বিলুপ্তপ্রায় সংস্কৃতির নানা উপাদানকে ফুটিয়ে
তুলেছেন। শিল্পমাধ্যমের সীমাবদ্ধতাকে স্বীকার করে তিনি নিজস্ব আঙ্গিকে
রূপায়িত করেছেন ঐতিহ্যলগ্নতার স্মারক।
শিল্পী শাবিন শাহরিয়ার ‘বাংলাদেশের লোকজ খেলনা’ শিরোনামে আমাদের হারিয়ে যাওয়া সময়কে তুলে ধরেছেন।
শিল্পী ময়নুল ইসলাম পল দৈনন্দিন জীবনের নানা প্রয়োজনীয় ও ব্যবহার্য উপাদানকে ভিন্নরূপে উপস্থাপন করেছেন। ‘মাটির কথা’ শিরোনামে তাঁর ভাস্কর্য দৈনন্দিন অনুষঙ্গের শৈল্পিক রূপে এসেছে। প্রাত্যহিক জীবনে এই ব্যবহার্য উপাদানকে আমরা হয়তো এই শিল্পিত রূপে ভাবতেও পারিনি। শিল্পী ময়নুলের বুদ্ধিদীপ্ত পরিমার্জনায় আমরা এক নতুন চিন্তার ব্যতিক্রমী উপস্থাপন দেখতে পাই।
এই চার শিল্পী পৃথক বিষয়বস্তু নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন মাটিবর্তী শিল্পের।
শিল্পী শাবিন শাহরিয়ার ‘বাংলাদেশের লোকজ খেলনা’ শিরোনামে আমাদের হারিয়ে যাওয়া সময়কে তুলে ধরেছেন।
শিল্পী ময়নুল ইসলাম পল দৈনন্দিন জীবনের নানা প্রয়োজনীয় ও ব্যবহার্য উপাদানকে ভিন্নরূপে উপস্থাপন করেছেন। ‘মাটির কথা’ শিরোনামে তাঁর ভাস্কর্য দৈনন্দিন অনুষঙ্গের শৈল্পিক রূপে এসেছে। প্রাত্যহিক জীবনে এই ব্যবহার্য উপাদানকে আমরা হয়তো এই শিল্পিত রূপে ভাবতেও পারিনি। শিল্পী ময়নুলের বুদ্ধিদীপ্ত পরিমার্জনায় আমরা এক নতুন চিন্তার ব্যতিক্রমী উপস্থাপন দেখতে পাই।
এই চার শিল্পী পৃথক বিষয়বস্তু নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন মাটিবর্তী শিল্পের।
No comments