সীমানা ছাড়িয়ে by জাফরিন গুলশান
বাংলাদশ সীমান্তর্তী ভারতের ছয় রাজ্য: আসাম, ত্রিপুরা, সিকিম, মিজোরাম, মনিপুর, মেঘালয়—বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বা দৈনন্দিন জীবনাচারে আন্তরিক নৈকট্য অনেক দিনের। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাধারণ মানুষ, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরা উদার মানবিক সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশের যুদ্ধপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চিত্রশিল্পীদের সংগঠন কিরাতের সহযোগিতায় ‘ঈশান বৈভব’ শীর্ষক প্রদর্শনী চলছে বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে। ২৩ মে থেকে শুরু হওয়া প্রদর্শনীতে ২৮ জন শিল্পীর ৫৭টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে ২৯ মে পর্যন্ত।
গ্যালারির দেয়ালে স্থান পাওয়া অধিকাংশ চিত্রকর্ম অ্যাক্রিলিক-মাধ্যমে করা। মিশ্র মাধ্যম ও ডিজিটাল প্রিন্ট মাধ্যমের কাজও রয়েছে। টেক্সচার, স্ট্রোক, বিবিধ রং ও নকশার ব্যবহার লক্ষণীয়। ছয়টি রাজ্যের শিল্পীদের আঁকা ক্যানভাস আলাদা বৈশিষ্ট্যে ধারণ করে শিল্পীর নিজস্ব জন্মস্থানের সংস্কৃতিকে। একই সঙ্গে আবার গ্যালারিতে অবিচ্ছিন্ন নান্দনিক অনুভূতি দেয় শিল্পকর্মগুলো পারস্পরিকতায়। বিভিন্ন উপায়ে রং, স্থান বিভাজন বা কম্পোজিশন নিয়ে নানা দৃষ্টিকোণে কখনো রিয়েলিস্টিক এক্সপ্রেশনিস্ট, কখনো অ্যাবস্ট্রাক্ট এক্সপ্রেশনিস্ট কিংবা কখনো কিছুটা মিথিক্যাল ম্যুর রিয়েলিস্ট ধারায় শিল্পীরা নিজ নিজ শিল্পভাষ্য ক্যানভাসে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করেছেন। প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া ভাস্কর্যগুলোর অভিব্যক্তি চমৎকারভাবে নিরীক্ষাধর্মী, যদিও অনেক কাজের মধ্যে ভারতীয় পৌরাণিক বিশ্বাসের সূত্র পাওয়া যায়।
অধিকাংশ ভাস্কর্য ব্রোঞ্জ মাধ্যমে করা, কোনোটাতে নাইট্রিক এসিডে ‘পাতিনা’ করে এক রকম রং আনার চেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিষয়বস্তুর সঙ্গে মাধ্যমের গভীরতা স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। মৃৎশিল্প-মাধ্যমেরও কাজ রয়েছে প্রদর্শনীতে।
বিবিধ দিক থেকে বেশ তাৎপর্যময় এ প্রদর্শনী দর্শকের জন্য সুবর্ণ সুযোগ বাংলাদেশের সীমান্ত-সংলগ্ন এই ছয়টি রাজ্যের শিল্পী ও শিল্পচর্চার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। শিল্পকর্মগুলো দেখে সহজেই প্রতীয়মান যে ভারতের চলমান মূলধারার শিল্প আন্দোলনের সঙ্গে দারুণভাবে সম্পর্কিত, আবার একই সঙ্গে নিজ দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কৌশলের প্রভাবে বিষণ্ন উপায়ে বিচ্ছিন্ন এক দ্বান্দ্বিক বাস্তবতা।
কিরাতের এটি তৃতীয় প্রদর্শনী বাংলাদেশে। ভারতের এই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শিল্পীরা মনে করেন, ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে ভারতের শিল্পী কিংবা অন্য উন্নত নগরের শিল্পবাজার কিংবা দর্শকের সামনে নিজেদের কাজ নিয়ে হাজির হওয়ার চেয়ে বাংলাদেশে প্রদর্শনীর মাধ্যমে নিজেদের সীমাবদ্ধতার দ্বার উন্মুক্ত করার উত্তম সুযোগ। একই সঙ্গে এ প্রদর্শনী বাংলাদেশ-ভারতের দীর্ঘদিনের সৌহার্দ্যপূর্ণ শিল্পচর্চা বিনিময়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
প্রদর্শনীতে শিল্পীদের ক্যানভাস ‘রিলেশন’, ‘কম্পোজিশন’, ‘দ্য ফল’, ‘কম্পোজিশন-৩’, ‘লাভ উইথ নেচার’, ‘ওনলি ফর মি’, ‘ফিস ইন রেড ওয়াটার’, ‘কিং-২’, ‘গ্রুপ ড্যান্স’, ‘মাইন্ডস্কেপ’, ‘পিস ওয়ার পিস’, ‘পেইন স্প্রেড-২’ ইত্যাদি নামে বিষয়-রং-টেক্সচার কম্পোজিশনে বিবিধ অনুভূতিতাড়িত হয়ে দর্শকের সামনে উপস্থিত, যদিও কোনো কোনো ক্যানভাস শিল্পীর মানসিক ও কারিগরি দক্ষতার সঠিক চর্চিত সম্মিলনের অভাবকেও প্রতিষ্ঠিত করেছে।
গ্যালারির দেয়ালে স্থান পাওয়া অধিকাংশ চিত্রকর্ম অ্যাক্রিলিক-মাধ্যমে করা। মিশ্র মাধ্যম ও ডিজিটাল প্রিন্ট মাধ্যমের কাজও রয়েছে। টেক্সচার, স্ট্রোক, বিবিধ রং ও নকশার ব্যবহার লক্ষণীয়। ছয়টি রাজ্যের শিল্পীদের আঁকা ক্যানভাস আলাদা বৈশিষ্ট্যে ধারণ করে শিল্পীর নিজস্ব জন্মস্থানের সংস্কৃতিকে। একই সঙ্গে আবার গ্যালারিতে অবিচ্ছিন্ন নান্দনিক অনুভূতি দেয় শিল্পকর্মগুলো পারস্পরিকতায়। বিভিন্ন উপায়ে রং, স্থান বিভাজন বা কম্পোজিশন নিয়ে নানা দৃষ্টিকোণে কখনো রিয়েলিস্টিক এক্সপ্রেশনিস্ট, কখনো অ্যাবস্ট্রাক্ট এক্সপ্রেশনিস্ট কিংবা কখনো কিছুটা মিথিক্যাল ম্যুর রিয়েলিস্ট ধারায় শিল্পীরা নিজ নিজ শিল্পভাষ্য ক্যানভাসে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করেছেন। প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া ভাস্কর্যগুলোর অভিব্যক্তি চমৎকারভাবে নিরীক্ষাধর্মী, যদিও অনেক কাজের মধ্যে ভারতীয় পৌরাণিক বিশ্বাসের সূত্র পাওয়া যায়।
অধিকাংশ ভাস্কর্য ব্রোঞ্জ মাধ্যমে করা, কোনোটাতে নাইট্রিক এসিডে ‘পাতিনা’ করে এক রকম রং আনার চেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিষয়বস্তুর সঙ্গে মাধ্যমের গভীরতা স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। মৃৎশিল্প-মাধ্যমেরও কাজ রয়েছে প্রদর্শনীতে।
বিবিধ দিক থেকে বেশ তাৎপর্যময় এ প্রদর্শনী দর্শকের জন্য সুবর্ণ সুযোগ বাংলাদেশের সীমান্ত-সংলগ্ন এই ছয়টি রাজ্যের শিল্পী ও শিল্পচর্চার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। শিল্পকর্মগুলো দেখে সহজেই প্রতীয়মান যে ভারতের চলমান মূলধারার শিল্প আন্দোলনের সঙ্গে দারুণভাবে সম্পর্কিত, আবার একই সঙ্গে নিজ দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কৌশলের প্রভাবে বিষণ্ন উপায়ে বিচ্ছিন্ন এক দ্বান্দ্বিক বাস্তবতা।
কিরাতের এটি তৃতীয় প্রদর্শনী বাংলাদেশে। ভারতের এই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শিল্পীরা মনে করেন, ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে ভারতের শিল্পী কিংবা অন্য উন্নত নগরের শিল্পবাজার কিংবা দর্শকের সামনে নিজেদের কাজ নিয়ে হাজির হওয়ার চেয়ে বাংলাদেশে প্রদর্শনীর মাধ্যমে নিজেদের সীমাবদ্ধতার দ্বার উন্মুক্ত করার উত্তম সুযোগ। একই সঙ্গে এ প্রদর্শনী বাংলাদেশ-ভারতের দীর্ঘদিনের সৌহার্দ্যপূর্ণ শিল্পচর্চা বিনিময়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
প্রদর্শনীতে শিল্পীদের ক্যানভাস ‘রিলেশন’, ‘কম্পোজিশন’, ‘দ্য ফল’, ‘কম্পোজিশন-৩’, ‘লাভ উইথ নেচার’, ‘ওনলি ফর মি’, ‘ফিস ইন রেড ওয়াটার’, ‘কিং-২’, ‘গ্রুপ ড্যান্স’, ‘মাইন্ডস্কেপ’, ‘পিস ওয়ার পিস’, ‘পেইন স্প্রেড-২’ ইত্যাদি নামে বিষয়-রং-টেক্সচার কম্পোজিশনে বিবিধ অনুভূতিতাড়িত হয়ে দর্শকের সামনে উপস্থিত, যদিও কোনো কোনো ক্যানভাস শিল্পীর মানসিক ও কারিগরি দক্ষতার সঠিক চর্চিত সম্মিলনের অভাবকেও প্রতিষ্ঠিত করেছে।
No comments