হোসনি মোবারক ও তাঁর দুই ছেলে আটক
মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক ও তাঁর দুই ছেলেকে ১৫ দিনের জন্য আটক করা হয়েছে। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে তাঁদের আটক করা হয়। মিসরের প্রসিকিউটর জেনারেল এই আটকাদেশ দেন।
হূদেরাগে আক্রান্ত মোবারককে হাসপাতালে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তাঁকে আটকের কথা ঘোষণা করা হয়। গত মঙ্গলবার তাঁকে লোহিতসাগরের তীরের অবকাশযাপন কেন্দ্র শারম আল শেখের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় থেকে মোবারককে আটকের বিষয়ে একটি বিবৃতি বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্নীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে মোবারকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত করা হচ্ছে মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বিক্ষোভের সময় জনতার বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও নির্যাতন চালানোর ঘটনারও। প্রসিকিউটর জেনারেল আবদেল মাগুইদ মাহমুদ তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোবারক ও তাঁর দুই ছেলে জামাল মোবারক ও আলা মোবারককে ১৫ দিন আটকের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের আটক করা হয়েছে।
অসুস্থ মোবারককে হাসপাতালেই আটক রাখা হয়েছে। তাঁর দুই ছেলেকে আটক রাখা হয়েছে কায়রোর তোরা কারাগারে। এখানে জামাল ও আলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই কারাগারে মোবারকের সময়ের আরও কিছু কর্মকর্তাকে আটক রাখা হয়েছে। তোরা কারাগারে সাধারণত রাজনৈতিক বন্দীদের রাখা হয়।
মোবারককে মঙ্গলবার শারম আল শেখ আন্তর্জাতিক হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই হাসপাতালের সামনে প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারী তাঁর দুই ছেলেকে আটকের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় প্রাদেশিক নিরাপত্তাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ এল খতিব বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যা চেয়েছেন, তা-ই হয়েছে। মোবারকের দুই ছেলে জামাল ও আলাকে ১৫ দিনের আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের আটকও করা হয়েছে।’ এ ঘোষণার পর বিক্ষোভকারীরা উল্লাস প্রকাশ করে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোবারক ও তাঁর সহযোগীদের বিচারের দাবিতে মিসরের রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে গত শুক্রবার বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারী ও রেভল্যুশনারি ইয়ুথ কোয়ালিশনের সদস্য মোহাম্মদ সুকরি বলেন, ‘আমরা মিলিটারি কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করে তাহরির স্কয়ার থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মোবারক ও তাঁর সহযোগীদের বিচারের জন্য সামরিক বাহিনীকে আমরা একটি সুযোগ দিতে চাই।’
প্রসঙ্গত, প্রায় ৩০ বছর মিসরের ক্ষমতায় ছিলেন মোবারক। ব্যাপক দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গত ২৫ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ চলার সময় সহিংসতায় অন্তত ৮০০ মানুষ প্রাণ হারায়। ব্যাপক গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
হূদেরাগে আক্রান্ত মোবারককে হাসপাতালে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তাঁকে আটকের কথা ঘোষণা করা হয়। গত মঙ্গলবার তাঁকে লোহিতসাগরের তীরের অবকাশযাপন কেন্দ্র শারম আল শেখের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় থেকে মোবারককে আটকের বিষয়ে একটি বিবৃতি বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্নীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে মোবারকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত করা হচ্ছে মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বিক্ষোভের সময় জনতার বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও নির্যাতন চালানোর ঘটনারও। প্রসিকিউটর জেনারেল আবদেল মাগুইদ মাহমুদ তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোবারক ও তাঁর দুই ছেলে জামাল মোবারক ও আলা মোবারককে ১৫ দিন আটকের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের আটক করা হয়েছে।
অসুস্থ মোবারককে হাসপাতালেই আটক রাখা হয়েছে। তাঁর দুই ছেলেকে আটক রাখা হয়েছে কায়রোর তোরা কারাগারে। এখানে জামাল ও আলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই কারাগারে মোবারকের সময়ের আরও কিছু কর্মকর্তাকে আটক রাখা হয়েছে। তোরা কারাগারে সাধারণত রাজনৈতিক বন্দীদের রাখা হয়।
মোবারককে মঙ্গলবার শারম আল শেখ আন্তর্জাতিক হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই হাসপাতালের সামনে প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারী তাঁর দুই ছেলেকে আটকের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় প্রাদেশিক নিরাপত্তাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ এল খতিব বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যা চেয়েছেন, তা-ই হয়েছে। মোবারকের দুই ছেলে জামাল ও আলাকে ১৫ দিনের আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের আটকও করা হয়েছে।’ এ ঘোষণার পর বিক্ষোভকারীরা উল্লাস প্রকাশ করে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোবারক ও তাঁর সহযোগীদের বিচারের দাবিতে মিসরের রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে গত শুক্রবার বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারী ও রেভল্যুশনারি ইয়ুথ কোয়ালিশনের সদস্য মোহাম্মদ সুকরি বলেন, ‘আমরা মিলিটারি কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করে তাহরির স্কয়ার থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মোবারক ও তাঁর সহযোগীদের বিচারের জন্য সামরিক বাহিনীকে আমরা একটি সুযোগ দিতে চাই।’
প্রসঙ্গত, প্রায় ৩০ বছর মিসরের ক্ষমতায় ছিলেন মোবারক। ব্যাপক দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গত ২৫ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ চলার সময় সহিংসতায় অন্তত ৮০০ মানুষ প্রাণ হারায়। ব্যাপক গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
No comments