‘এই শিক্ষককে নিয়া আমরা কী করিব
মাদ্রাসাটিতে বিদ্যুৎই নেই, কম্পিউটারও নেই, কিন্তু একজন কম্পিউটার শিক্ষক আছেন। শিক্ষার্থীরা তাঁকে কোনো দিন দেখেনি, কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানে না, তবু মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের হালনাগাদ এমপিওতে সেই উড়ে এসে জুড়ে বসা শিক্ষকের নাম আছে! অথচ এই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকই ২০০৬ সালে ওই নিয়োগের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার সুপারকে জালিয়াতির অভিযোগে কারণ দর্শাতে বলেন। তিনি কারণ না দর্শালেও স্বয়ং অধিদপ্তরই পাঁচ বছর পর জালিয়াতির হোতা ওই শিক্ষককে এমপিওভুক্ত বলে গেজেট জারি করে। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পাঁচগ্রাম জান্নাতুন নূরী দাখিল মাদ্রাসার এই জালিয়াত শিক্ষককে নিয়ে কী করবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ? একই সঙ্গে জানা দরকার, অধিদপ্তর কীভাবে জালিয়াতির বিষয়টি ভুলে তাঁর নাম এমপিওভুক্ত করল?
এ ঘটনাটিকে আমরা দুর্নীতির একটি কার্যকর নমুনা হিসেবে গ্রহণ করতে পারি। মাদ্রাসার সুপার সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সই জাল করে নিজের ছোট বোনকে শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতির যে প্রক্রিয়া শুরু করেন, তা সম্পূর্ণ হয় শিক্ষা অধিদপ্তরের হাতে। তৃণমূল থেকে শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষপর্যায় পর্যন্ত তারা তাদের অসাধু স্বার্থে ব্যবহার করতে পেরেছে। কিসের বিনিময়ে পেরেছে, সেটাও একটা প্রশ্ন বটে। এমন না যে অধিদপ্তর বিষয়টি জানত না। তারা নিজেরাই যেখানে জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত করেছে, সেখানে সেই তদন্তে বেরিয়ে আসা সত্যকে নিজেরাই কীভাবে অমান্য করতে পারে? হয় এটি তাদের গভীর গাফিলতি অথবা নির্লজ্জ দুর্নীতি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি তথা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে অনেক কাণ্ড-কারখানা হয়ে থাকে। প্রভাবশালীদের তদবির এখানে খুবই সক্রিয়। একইভাবে নামমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খাড়া করে ঘুষের বিনিময়ে শিক্ষকতা দানও বিরল ঘটনা নয়। অজস্র শিক্ষিত বেকারের এই দেশে একটি চাকরি খুবই লোভনীয় এবং তার জন্য যেকোনো দুর্নীতি ও অনিয়ম খুবই চালু একটি ব্যাপার। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ায় একজন বেকার কমলেও শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিক্ষা। অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিরা যদি এভাবে শিক্ষক হয়ে বসেন, তাহলে কেবল পেশা হিসেবে শিক্ষকতার সম্মান যেমন ক্ষুণ্ন হয়, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিক্ষা নিজেও। আশা করি, সরকারের অন্যতম সফল মন্ত্রণালয় বলে স্বীকৃতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব অনিয়মের বিষয়ে আরও সজাগ ও কঠোর হবে।
এ ঘটনাটিকে আমরা দুর্নীতির একটি কার্যকর নমুনা হিসেবে গ্রহণ করতে পারি। মাদ্রাসার সুপার সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সই জাল করে নিজের ছোট বোনকে শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতির যে প্রক্রিয়া শুরু করেন, তা সম্পূর্ণ হয় শিক্ষা অধিদপ্তরের হাতে। তৃণমূল থেকে শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষপর্যায় পর্যন্ত তারা তাদের অসাধু স্বার্থে ব্যবহার করতে পেরেছে। কিসের বিনিময়ে পেরেছে, সেটাও একটা প্রশ্ন বটে। এমন না যে অধিদপ্তর বিষয়টি জানত না। তারা নিজেরাই যেখানে জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত করেছে, সেখানে সেই তদন্তে বেরিয়ে আসা সত্যকে নিজেরাই কীভাবে অমান্য করতে পারে? হয় এটি তাদের গভীর গাফিলতি অথবা নির্লজ্জ দুর্নীতি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি তথা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে অনেক কাণ্ড-কারখানা হয়ে থাকে। প্রভাবশালীদের তদবির এখানে খুবই সক্রিয়। একইভাবে নামমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খাড়া করে ঘুষের বিনিময়ে শিক্ষকতা দানও বিরল ঘটনা নয়। অজস্র শিক্ষিত বেকারের এই দেশে একটি চাকরি খুবই লোভনীয় এবং তার জন্য যেকোনো দুর্নীতি ও অনিয়ম খুবই চালু একটি ব্যাপার। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ায় একজন বেকার কমলেও শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিক্ষা। অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিরা যদি এভাবে শিক্ষক হয়ে বসেন, তাহলে কেবল পেশা হিসেবে শিক্ষকতার সম্মান যেমন ক্ষুণ্ন হয়, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিক্ষা নিজেও। আশা করি, সরকারের অন্যতম সফল মন্ত্রণালয় বলে স্বীকৃতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব অনিয়মের বিষয়ে আরও সজাগ ও কঠোর হবে।
No comments