ট্রানজিট বিধিমালা প্রণয়নে শ্লথগতি
পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট বিধিমালার রূপরেখা তৈরির কার্যক্রম শ্লথ হয়ে পড়েছে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো এই বিধিমালার খসড়া রূপরেখা তৈরি করতে পারেনি ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত ট্রানজিট-সংক্রান্ত কোর গ্রুপ।
জানা গেছে, কোর গ্রুপের একজন সদস্য বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আরেকজন সদস্য অসুস্থ। এ ছাড়া একটি উপকমিটির প্রধানকে সম্প্রতি নিজ দপ্তর থেকে বদলি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে গত ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই রূপরেখার খসড়া তৈরির সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ট্যারিফ কমিশন কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও তা সম্পন্ন করতে পারেনি।
ভারত, নেপাল ও ভুটানসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে ট্রানজিট সুবিধা দিতে গত ২ ডিসেম্বর ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানকে সভাপতি করে ট্রানজিট-সংক্রান্ত কোর গ্রুপ গঠন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই গ্রুপকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ট্রানজিট-সংক্রান্ত বিধিমালার রূপরেখা জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল।
গত ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত কোর গ্রুপের প্রথম সভায় পাঁচটি উপকমিটি গঠন করা হয়।
এর মধ্যে রুট নির্ধারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ ও পুনরুদ্ধার—এই দুটি উপকমিটির প্রধান ট্রানজিট বিশেষজ্ঞ রহমত উল্লাহ বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় পুরোপুরি সময় দিতে পারছেন না।
ট্রানজিট মাশুল নির্ধারণসংক্রান্ত উপকমিটির প্রধান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (শুল্ক) হুসেইন আহমদকে বদলি করা হয়েছে এনবিআরের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সভাপতি হিসেবে (সদস্য মর্যাদায়)। ফলে এই উপকমিটির নতুন প্রধান শাহ আলম খান যিনি এখন এনবিআরের নতুন সদস্য (শুল্ক)।
এ উপকমিটির একজন সদস্য জানান, সংবেদনশীল ও কৌশলগত এ বিষয়ের উপকমিটির প্রধানকে বদলি করায় কাজের গতি কিছুটা কমেছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ বা অঞ্চলের ট্রানজিট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণসংক্রান্ত অপর উপকমিটির প্রধান বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। এই উপকমিটিও কাজ শেষ করে এনেছে।
অন্যদিকে অর্থনৈতিক বিশ্লেষণসংক্রান্ত উপকমিটির প্রধান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমদ বেশ কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। এ উপকমিটির কাজ হলো ট্রানজিট রুট, মাশুল, অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন দেশে ট্রানজিট-সংক্রান্ত তথ্যাদি উপকমিটিগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করা।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষণসংক্রান্ত উপকমিটির প্রধান দেশের বাইরে থাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। অথচ চারটি উপকমিটি মোটামুটি নিজ নিজ খসড়া দাঁড় করিয়েছে। অবশ্য তাদের আরও কাজ করতে হবে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ও কোর গ্রুপের সভাপতি মজিবুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, সাদিক আহমেদ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে তাঁর সঙ্গে উপকমিটির নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ এবং রেল বিভাগ তাদের প্রতিবেদন পাঠালেও নৌ মন্ত্রণালয় তাদের প্রতিবেদন পাঠায়নি।
দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও কেন বিধিমালার খসড়া রূপরেখা তৈরি করা যাচ্ছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে মজিবুর রহমান আরও জানান, ট্রানজিটের মতো একটি গুরত্বপূর্ণ ও বিশ্লেষণমূলক কাজ এত অল্প সময়ে শেষ করা সম্ভব নয়। এটি একটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। তার পরও আশা করছি, চলতি মার্চ মাসের মধ্যে রূপরেখা চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে ট্রানজিট দিতে প্রাথমিকভাবে ছয়টি সড়ক রুট, পাঁচটি রেলরুট এবং দুটি নৌরুট চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এসব রুটগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোনটির উন্নয়ন করা হবে এবং এর জন্য কত বিনিয়োগ দরকার হবে—তা চূড়ান্ত করা হয়নি।
এ ছাড়া ট্রানজিট মাশুল আদায়ের বিষয়ে উপকমিটি একমত পোষণ করেছে। এ ছাড়া পরিবেশ বিপর্যয়, শব্দদূষণ, দুর্ঘটনা, ট্রাফিক ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আর্থসামাজিক বিষয়গুলো আর্থিক অঙ্কে নিরূপণ করে মাশুল আকারে আদায়ের কথা বলা হয়েছে। এসবের রূপরেখা এখন চূড়ান্ত করছে সংশ্লিষ্ট উপকমিটি।
পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট বিধিমালার রূপরেখা তৈরি করতে চারটি কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো: ট্রানজিট রুটগুলো চিহ্নিতকরণ, অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ ও পুনরুদ্ধার, ট্রানজিট মাশুল এবং ট্রানজিটের অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ।
এসব কার্যপরিধি নিয়ে কাজ করতে গঠিত উপকমিটিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
ট্রানজিটসংক্রান্ত বিধিমালার রূপরেখার ওপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি জাতীয় সেমিনার করার কথা রয়েছে। সেই সেমিনারের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া হবে।
জানা গেছে, কোর গ্রুপের একজন সদস্য বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আরেকজন সদস্য অসুস্থ। এ ছাড়া একটি উপকমিটির প্রধানকে সম্প্রতি নিজ দপ্তর থেকে বদলি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে গত ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই রূপরেখার খসড়া তৈরির সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ট্যারিফ কমিশন কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও তা সম্পন্ন করতে পারেনি।
ভারত, নেপাল ও ভুটানসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে ট্রানজিট সুবিধা দিতে গত ২ ডিসেম্বর ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানকে সভাপতি করে ট্রানজিট-সংক্রান্ত কোর গ্রুপ গঠন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই গ্রুপকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ট্রানজিট-সংক্রান্ত বিধিমালার রূপরেখা জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল।
গত ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত কোর গ্রুপের প্রথম সভায় পাঁচটি উপকমিটি গঠন করা হয়।
এর মধ্যে রুট নির্ধারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ ও পুনরুদ্ধার—এই দুটি উপকমিটির প্রধান ট্রানজিট বিশেষজ্ঞ রহমত উল্লাহ বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় পুরোপুরি সময় দিতে পারছেন না।
ট্রানজিট মাশুল নির্ধারণসংক্রান্ত উপকমিটির প্রধান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (শুল্ক) হুসেইন আহমদকে বদলি করা হয়েছে এনবিআরের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সভাপতি হিসেবে (সদস্য মর্যাদায়)। ফলে এই উপকমিটির নতুন প্রধান শাহ আলম খান যিনি এখন এনবিআরের নতুন সদস্য (শুল্ক)।
এ উপকমিটির একজন সদস্য জানান, সংবেদনশীল ও কৌশলগত এ বিষয়ের উপকমিটির প্রধানকে বদলি করায় কাজের গতি কিছুটা কমেছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ বা অঞ্চলের ট্রানজিট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণসংক্রান্ত অপর উপকমিটির প্রধান বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। এই উপকমিটিও কাজ শেষ করে এনেছে।
অন্যদিকে অর্থনৈতিক বিশ্লেষণসংক্রান্ত উপকমিটির প্রধান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমদ বেশ কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। এ উপকমিটির কাজ হলো ট্রানজিট রুট, মাশুল, অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন দেশে ট্রানজিট-সংক্রান্ত তথ্যাদি উপকমিটিগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করা।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষণসংক্রান্ত উপকমিটির প্রধান দেশের বাইরে থাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। অথচ চারটি উপকমিটি মোটামুটি নিজ নিজ খসড়া দাঁড় করিয়েছে। অবশ্য তাদের আরও কাজ করতে হবে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ও কোর গ্রুপের সভাপতি মজিবুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, সাদিক আহমেদ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে তাঁর সঙ্গে উপকমিটির নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ এবং রেল বিভাগ তাদের প্রতিবেদন পাঠালেও নৌ মন্ত্রণালয় তাদের প্রতিবেদন পাঠায়নি।
দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও কেন বিধিমালার খসড়া রূপরেখা তৈরি করা যাচ্ছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে মজিবুর রহমান আরও জানান, ট্রানজিটের মতো একটি গুরত্বপূর্ণ ও বিশ্লেষণমূলক কাজ এত অল্প সময়ে শেষ করা সম্ভব নয়। এটি একটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। তার পরও আশা করছি, চলতি মার্চ মাসের মধ্যে রূপরেখা চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে ট্রানজিট দিতে প্রাথমিকভাবে ছয়টি সড়ক রুট, পাঁচটি রেলরুট এবং দুটি নৌরুট চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এসব রুটগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোনটির উন্নয়ন করা হবে এবং এর জন্য কত বিনিয়োগ দরকার হবে—তা চূড়ান্ত করা হয়নি।
এ ছাড়া ট্রানজিট মাশুল আদায়ের বিষয়ে উপকমিটি একমত পোষণ করেছে। এ ছাড়া পরিবেশ বিপর্যয়, শব্দদূষণ, দুর্ঘটনা, ট্রাফিক ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আর্থসামাজিক বিষয়গুলো আর্থিক অঙ্কে নিরূপণ করে মাশুল আকারে আদায়ের কথা বলা হয়েছে। এসবের রূপরেখা এখন চূড়ান্ত করছে সংশ্লিষ্ট উপকমিটি।
পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট বিধিমালার রূপরেখা তৈরি করতে চারটি কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো: ট্রানজিট রুটগুলো চিহ্নিতকরণ, অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ ও পুনরুদ্ধার, ট্রানজিট মাশুল এবং ট্রানজিটের অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ।
এসব কার্যপরিধি নিয়ে কাজ করতে গঠিত উপকমিটিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
ট্রানজিটসংক্রান্ত বিধিমালার রূপরেখার ওপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি জাতীয় সেমিনার করার কথা রয়েছে। সেই সেমিনারের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া হবে।
No comments