স্বাগতিক হয়েও ভিন দেশে
ম্যাচের আগে হোক বা পরে, কুমার সাঙ্গাকারার প্রতিটি সংবাদ সম্মেলনে অবধারিত প্রশ্ন, ‘দেশের মাটির বিশ্বকাপের একটা গ্রুপ ম্যাচ খেলতে হবে ভিন দেশে, এটাকে কীভাবে দেখছেন?’ ভালোভাবে দেখার কারণ নেই। সাঙ্গাকারা যে তা দেখছেনও না, সেটি কখনোই লুকাননি। চোস্ত ইংরেজি বলেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক। এ জন্যই কিনা, সব প্রশ্নেরই মোটামুটি বড়সড় উত্তর দিতে ভালোবাসেন। এই প্রশ্নের উত্তরেও প্রতিবারই দু-তিন মিনিট ধরে উগরে দিয়েছেন বিস্ময়, হতাশা, আর আক্ষেপের মোড়কে ক্ষোভ।
বিশ্বকাপের অন্যতম স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা শেষ গ্রুপ ম্যাচটা খেলবে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে, আগামী ১৮ মার্চ। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল হলে কথা ছিল। নিজেরা স্বাগতিক হয়ে গ্রুপ ম্যাচ খেলতে হবে আরেক স্বাগতিক দেশে, ব্যাপারটা মানতেই পারছেন না সাঙ্গাকারা। কিন্তু লঙ্কান দলপতি কি ভুলে গেছেন, বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটা ভারত খেলে গেছে বাংলাদেশে! বিশ্বকাপের তিন স্বাগতিকের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেরই পরম সৌভাগ্য হয়েছে সব ম্যাচ নিজেদের উঠোনে খেলার।
বিভিন্ন সময় কথাবার্তা শুনে আর নানা জায়গায় পড়ে যে ধারণা হয়েছে, তাতে ক্রিকেট ইতিহাস মোটামুটি ভালোই জানা সাঙ্গাকারার। তাহলে তাঁর এটাও জানা উচিত, এমনটা এবারই প্রথম নয়। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের সময় সাঙ্গাকারার বয়স ছিল ১৮, সে সময়ের উঠতি ক্রিকেটার বিশ্বকাপটা নিশ্চয় মনোযোগ দিয়েই দেখেছিলেন। তাহলে মনে থাকার কথা, গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলতে অর্জুনা রানাতুঙ্গার দল গিয়েছিল দিল্লিতে। প্রথম নয় এই উদাহরণও। নিজ দেশের (১৯৯২ বিশ্বকাপ) প্রথম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটিই তো অস্ট্রেলিয়া খেলেছিল তাসমান সাগরের ওপারে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে!
সাঙ্গাকারার সঙ্গে মাহেলা জয়াবর্ধনের দারুণ সম্পর্ক। দুজনের অনেক কিছুতেই মিল। তবে প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে এই জায়গাটায় একটু দ্বিমত হলো জয়াবর্ধনের। ওই একই প্রশ্নে তাঁর উত্তর, ‘ভালো ও খারাপ দুটোই। খারাপ কেন, এটা তো আর ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। ভালো, কারণ ফাইনালটা ওই স্টেডিয়ামেই হবে। ফাইনালের আগে ওই মাঠে খেলতে পারা তো আমাদের জন্য বেশ বড় এক পাওয়াই বলতে হবে!’ নৈরাশ্যবাদীরা নাকি সবকিছুতেই নেতিবাচক কিছু বের করে ফেলে। আর আশাবাদীরা চরম হতাশার মাঝেও আশার কিছু একটা খুঁজে নেন। জয়াবর্ধনে কোন দলে, এটা নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হবে না। ফাইনালে উঠতে হলে এখনো কত কাঠখড় পোড়াতে হবে। অথচ ঠিকই দলকে অনুপ্রাণিত করার একটা পথ বের করে ফেলেছেন।
তিলকরত্নে দিলশানের কাছে আবার খারাপের কিছুই নেই, পুরোটাই ভালো। ‘দেশের মাটিতে তো খেলা হলোই, ফাইনালের আগে ওখানকার মাঠ, উইকেট সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া গেলে মন্দ কী?’—দিলশানের যুক্তি। দিলশান এমনভাবে বললেন যে ফাইনালে এক পা তারা দিয়েই রেখেছেন। আত্মবিশ্বাস ব্যাপারটাই এ রকম।
তবে জয়াবর্ধনে-দিলশান তো বটেই, একটা তথ্য মনে পড়লে ভারতে খেলতে খারাপ লাগার কথা নয় সাঙ্গাকারারও। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে একটা গ্রুপ ম্যাচ ভারতে খেলে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা, পরে জিতে নিয়েছিল বিশ্বকাপও। এবারও একটা গ্রুপ ম্যাচ ভারতে, তবে কি ফিরে আসছে ১৯৯৬!
বিশ্বকাপের অন্যতম স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা শেষ গ্রুপ ম্যাচটা খেলবে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে, আগামী ১৮ মার্চ। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল হলে কথা ছিল। নিজেরা স্বাগতিক হয়ে গ্রুপ ম্যাচ খেলতে হবে আরেক স্বাগতিক দেশে, ব্যাপারটা মানতেই পারছেন না সাঙ্গাকারা। কিন্তু লঙ্কান দলপতি কি ভুলে গেছেন, বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটা ভারত খেলে গেছে বাংলাদেশে! বিশ্বকাপের তিন স্বাগতিকের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেরই পরম সৌভাগ্য হয়েছে সব ম্যাচ নিজেদের উঠোনে খেলার।
বিভিন্ন সময় কথাবার্তা শুনে আর নানা জায়গায় পড়ে যে ধারণা হয়েছে, তাতে ক্রিকেট ইতিহাস মোটামুটি ভালোই জানা সাঙ্গাকারার। তাহলে তাঁর এটাও জানা উচিত, এমনটা এবারই প্রথম নয়। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের সময় সাঙ্গাকারার বয়স ছিল ১৮, সে সময়ের উঠতি ক্রিকেটার বিশ্বকাপটা নিশ্চয় মনোযোগ দিয়েই দেখেছিলেন। তাহলে মনে থাকার কথা, গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলতে অর্জুনা রানাতুঙ্গার দল গিয়েছিল দিল্লিতে। প্রথম নয় এই উদাহরণও। নিজ দেশের (১৯৯২ বিশ্বকাপ) প্রথম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটিই তো অস্ট্রেলিয়া খেলেছিল তাসমান সাগরের ওপারে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে!
সাঙ্গাকারার সঙ্গে মাহেলা জয়াবর্ধনের দারুণ সম্পর্ক। দুজনের অনেক কিছুতেই মিল। তবে প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে এই জায়গাটায় একটু দ্বিমত হলো জয়াবর্ধনের। ওই একই প্রশ্নে তাঁর উত্তর, ‘ভালো ও খারাপ দুটোই। খারাপ কেন, এটা তো আর ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। ভালো, কারণ ফাইনালটা ওই স্টেডিয়ামেই হবে। ফাইনালের আগে ওই মাঠে খেলতে পারা তো আমাদের জন্য বেশ বড় এক পাওয়াই বলতে হবে!’ নৈরাশ্যবাদীরা নাকি সবকিছুতেই নেতিবাচক কিছু বের করে ফেলে। আর আশাবাদীরা চরম হতাশার মাঝেও আশার কিছু একটা খুঁজে নেন। জয়াবর্ধনে কোন দলে, এটা নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হবে না। ফাইনালে উঠতে হলে এখনো কত কাঠখড় পোড়াতে হবে। অথচ ঠিকই দলকে অনুপ্রাণিত করার একটা পথ বের করে ফেলেছেন।
তিলকরত্নে দিলশানের কাছে আবার খারাপের কিছুই নেই, পুরোটাই ভালো। ‘দেশের মাটিতে তো খেলা হলোই, ফাইনালের আগে ওখানকার মাঠ, উইকেট সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া গেলে মন্দ কী?’—দিলশানের যুক্তি। দিলশান এমনভাবে বললেন যে ফাইনালে এক পা তারা দিয়েই রেখেছেন। আত্মবিশ্বাস ব্যাপারটাই এ রকম।
তবে জয়াবর্ধনে-দিলশান তো বটেই, একটা তথ্য মনে পড়লে ভারতে খেলতে খারাপ লাগার কথা নয় সাঙ্গাকারারও। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে একটা গ্রুপ ম্যাচ ভারতে খেলে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা, পরে জিতে নিয়েছিল বিশ্বকাপও। এবারও একটা গ্রুপ ম্যাচ ভারতে, তবে কি ফিরে আসছে ১৯৯৬!
No comments