বদলে গেলেন ডেসকাটরা
অনুশীলনের একেবারে শেষ ভাগে কয়েকজন খেলোয়াড় বসে পড়লেন আইস বাথে। একটা বাক্সে বরফ রাখা। সেটিতে শরীরের অর্ধেক ডুবিয়ে হল্যান্ড খেলোয়াড়েরা নিজেদের ‘শীতল’ করলেন। এটা অনুশীলনেরই অংশ। একজন উঠছেন তো আরেকজন বসছেন।
কাল সূর্য যখন মাথার ওপরে, ডাচরা অনুশীলন গুটিয়ে চললেন হোটেলে। সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম রওনা হওয়ার আগে সকাল ১০টা থেকে টানা তিন ঘণ্টা মিরপুরের একাডেমি মাঠে যে ডাচ দলটিকে দেখা গেল, আগের দুপুরের চেয়ে তারা পুরোপুরি আলাদা। আগের দুপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে বাংলাদেশ যখন বোলিংয়ে নেমেছে, পিটার বোরেনের দল হোটেল লবিতে দুই ওভার দেখে বেরিয়ে গেছে ঘুরতে।
সামনে-পেছনে নিরাপত্তারক্ষীর কড়া নজরদারির মধ্যে গন্তব্য ছিল বসুন্ধরা শপিং মল। লালবাগের কেল্লাও ঘুরে এসেছে এক ফাঁকে। রিকশায় চড়ারও স্বাদ মিটিয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম আসা ডাচ দল চারদিকে আঁতিপাতি করে শুধু নতুনত্ব খোঁজে!
পরদিন সকালবেলা সেই দলটিরই এমন কঠোর অনুশীলনের একটা কারণ হতে পারে, আগের রাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সংহারমূর্তি তারা দেখেছে। এমনিতে বাংলাদেশকে সমীহ করেই তাদের আগামীকাল নামার কথা। তবে সাকিব আল হাসানের দল যেভাবে ইংল্যান্ডকে হারাল, তাতে বাংলাদেশ ম্যাচটা নিয়ে হোমওয়ার্ক তাদের বাড়াতেই হবে। বাড়িয়ে যে দিয়েছে, সেটা তো দেখা গেল ব্যাট-বলে কালকের ওই হাড়ভাঙা অনুশীলন।
পরশু কেনাকাটা করে হোটেলে ফিরে বাংলাদেশ ম্যাচটা নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন ডেসকাটরা। ম্যাচ নিয়ে তাঁদের কোনো কথাবার্তা শোনার উপায় ছিল না। নিরাপত্তাকর্মীরা ডাচ খেলোয়াড়দের কাছেই ঘেঁষতে দিলেন না সাংবাদিকদের।
অনুশীলন সেশনে দলের আপত্তি না থাকলে এমনিতে কেউ না কেউ কথা বলতে আসেন। এটা আইসিসি স্বীকৃত ব্যাপার। ডাচ মিডিয়ার ম্যানেজারের কথাবার্তায়ও বোঝা গেছে, মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারলে তাঁরা ধন্য হন। কিন্তু আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কথা বলে এদিন ডাচ খেলোয়াড়দের দূরেই রাখা হলো। দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর এসে বললেন, ‘কথা বলা তো নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি, এমনকি মাঠে ঢোকাও। আপনাদের যে (সাংবাদিক) ঢুকতে দিয়েছি, এই ঢের!’
যা দেখে এক মিডিয়াকর্মী তাঁর টেপ রেকর্ডারে ধরা ডাচ অধিনায়ক পিটার বোরেনের কথা আবার শুনতে লাগলেন। ১০ মার্চ সন্ধ্যায় ঢাকায় নেমে ডাচ অধিনায়ক বলেছেন, বাংলাদেশে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই তাঁদের আসা। এবং বাংলাদেশকে হারানোর ক্ষমতা যে ডাচদের আছে, সেই বিশ্বাসটাকে পুঁজি করেই ঢাকায় পা রাখা। এর আগে হল্যান্ড-বাংলাদেশ একমাত্র ম্যাচে কিন্তু বাংলাদেশ হেরেছে। সেই সুখস্মৃতিও সঙ্গে রয়েছে বোরেন ও তাঁর দলের।
প্রথম চার ম্যাচেই হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত জেনে ফেলার পর হল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ ম্যাচটা কিছু পাওয়ার ম্যাচ। আর কোনো সন্দেহ নেই, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে আলোচিত ডেসকাটই ডাচদের সবচেয়ে বড় তাস। এদিন নেটে তাঁর ছক্কার অনুশীলনটা চোখ কাড়ল আলাদা করে। দুটি বল তো একেবারে পাশের রাস্তায় গিয়ে পড়ল!
সাকিবের দেশে এঁরা এসেছিলেন উপভোগের মন্ত্র জপে। কিন্তু পরশুর বাংলাদেশ ডাচদের পরিশ্রমের মাত্রাটা যেন বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ! সেটি আলাদাভাবে প্রবাহিত এই দলের অ্যালেক্সেই কারভেজির মধ্যে, উস্টারশায়ারে সাকিবের টিমমেট তেতে আছেন এখানে কিছু করার জন্য।
কাল সূর্য যখন মাথার ওপরে, ডাচরা অনুশীলন গুটিয়ে চললেন হোটেলে। সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম রওনা হওয়ার আগে সকাল ১০টা থেকে টানা তিন ঘণ্টা মিরপুরের একাডেমি মাঠে যে ডাচ দলটিকে দেখা গেল, আগের দুপুরের চেয়ে তারা পুরোপুরি আলাদা। আগের দুপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে বাংলাদেশ যখন বোলিংয়ে নেমেছে, পিটার বোরেনের দল হোটেল লবিতে দুই ওভার দেখে বেরিয়ে গেছে ঘুরতে।
সামনে-পেছনে নিরাপত্তারক্ষীর কড়া নজরদারির মধ্যে গন্তব্য ছিল বসুন্ধরা শপিং মল। লালবাগের কেল্লাও ঘুরে এসেছে এক ফাঁকে। রিকশায় চড়ারও স্বাদ মিটিয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম আসা ডাচ দল চারদিকে আঁতিপাতি করে শুধু নতুনত্ব খোঁজে!
পরদিন সকালবেলা সেই দলটিরই এমন কঠোর অনুশীলনের একটা কারণ হতে পারে, আগের রাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সংহারমূর্তি তারা দেখেছে। এমনিতে বাংলাদেশকে সমীহ করেই তাদের আগামীকাল নামার কথা। তবে সাকিব আল হাসানের দল যেভাবে ইংল্যান্ডকে হারাল, তাতে বাংলাদেশ ম্যাচটা নিয়ে হোমওয়ার্ক তাদের বাড়াতেই হবে। বাড়িয়ে যে দিয়েছে, সেটা তো দেখা গেল ব্যাট-বলে কালকের ওই হাড়ভাঙা অনুশীলন।
পরশু কেনাকাটা করে হোটেলে ফিরে বাংলাদেশ ম্যাচটা নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন ডেসকাটরা। ম্যাচ নিয়ে তাঁদের কোনো কথাবার্তা শোনার উপায় ছিল না। নিরাপত্তাকর্মীরা ডাচ খেলোয়াড়দের কাছেই ঘেঁষতে দিলেন না সাংবাদিকদের।
অনুশীলন সেশনে দলের আপত্তি না থাকলে এমনিতে কেউ না কেউ কথা বলতে আসেন। এটা আইসিসি স্বীকৃত ব্যাপার। ডাচ মিডিয়ার ম্যানেজারের কথাবার্তায়ও বোঝা গেছে, মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারলে তাঁরা ধন্য হন। কিন্তু আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কথা বলে এদিন ডাচ খেলোয়াড়দের দূরেই রাখা হলো। দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর এসে বললেন, ‘কথা বলা তো নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি, এমনকি মাঠে ঢোকাও। আপনাদের যে (সাংবাদিক) ঢুকতে দিয়েছি, এই ঢের!’
যা দেখে এক মিডিয়াকর্মী তাঁর টেপ রেকর্ডারে ধরা ডাচ অধিনায়ক পিটার বোরেনের কথা আবার শুনতে লাগলেন। ১০ মার্চ সন্ধ্যায় ঢাকায় নেমে ডাচ অধিনায়ক বলেছেন, বাংলাদেশে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই তাঁদের আসা। এবং বাংলাদেশকে হারানোর ক্ষমতা যে ডাচদের আছে, সেই বিশ্বাসটাকে পুঁজি করেই ঢাকায় পা রাখা। এর আগে হল্যান্ড-বাংলাদেশ একমাত্র ম্যাচে কিন্তু বাংলাদেশ হেরেছে। সেই সুখস্মৃতিও সঙ্গে রয়েছে বোরেন ও তাঁর দলের।
প্রথম চার ম্যাচেই হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত জেনে ফেলার পর হল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ ম্যাচটা কিছু পাওয়ার ম্যাচ। আর কোনো সন্দেহ নেই, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে আলোচিত ডেসকাটই ডাচদের সবচেয়ে বড় তাস। এদিন নেটে তাঁর ছক্কার অনুশীলনটা চোখ কাড়ল আলাদা করে। দুটি বল তো একেবারে পাশের রাস্তায় গিয়ে পড়ল!
সাকিবের দেশে এঁরা এসেছিলেন উপভোগের মন্ত্র জপে। কিন্তু পরশুর বাংলাদেশ ডাচদের পরিশ্রমের মাত্রাটা যেন বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ! সেটি আলাদাভাবে প্রবাহিত এই দলের অ্যালেক্সেই কারভেজির মধ্যে, উস্টারশায়ারে সাকিবের টিমমেট তেতে আছেন এখানে কিছু করার জন্য।
No comments