শস্যবিমা চালুর বিষয়ে অগ্রগতি নেই
বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। সরকারের মন্ত্রীরাও আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও চালু হচ্ছে না শস্যবিমা।
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে শস্যবিমার ওপর কৃষকদের জন্য ভর্তুকি বাবদ রাজস্ব খাত থেকে ছয় কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ অর্থ খরচ না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শস্যবিমা চালুর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ মন্ত্রণালয় শুধু পরীক্ষা-নিরীক্ষাই করছে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে সময় পার হয়ে গেছে আট মাসেরও বেশি। অগ্রগতির মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সাধারণ বিমা করপোরেশন (এসবিসি) শুধু একটি ধারণাপত্র তৈরি করেছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের উৎ পাদিত শস্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিনষ্ট হয়। তাঁদের শস্যমূল্য সহায়তার জন্য আমরা কৃষিবিমা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি।’
সূত্রমতে, চলতি অর্থবছর থেকেই শস্যবিমা চালু করতে চাইছে সরকার। এ জন্য ‘শস্যবিমা প্রকল্প, ২০১১’ নামক একটি প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ কৃষকদের প্রিমিয়ামে ভর্তুকি বাবদ ব্যয় হবে। এসবিসির ধারণাপত্রে এই বরাদ্দ থেকেই পাঁচ কোটি টাকার তহবিল ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সারা দেশে সম্ভব না হলেও সরকার চাইছে শস্যবিমা প্রকল্পটির আওতায় এ বছর অন্তত একটি উপজেলায় শস্যবিমা চালু করা হোক। প্রকল্প এলাকা হিসেবে এ জন্য প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলাকে।
আগে পাঁচটি পণ্যকে বিমার আওতায় নিয়ে আসার কথা ভাবা হলেও শেষ পর্যন্ত শুধু ধানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সব ধরনের ধানের ওপর নয়। আউশ, আমন, বোরো বা ইরি ধান। এর সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সময়ে সারা দেশেই শস্যবিমা চালু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শস্যবিমা চালুর অগ্রগতি বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব শাহাবুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে স্বল্পসময়ের মধ্যে শস্যবিমা চালুর ওপর তাগিদ দিয়ে শস্যবিমার ওপর সাধারণ বিমা করপোরেশনের তৈরি করা ধারণাপত্রের ওপর আলোচনা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বলে জানা গেছে। অবশ্য বাস্তবায়নের জন্য উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারণী কমিটি, উপজেলাভিত্তিক বাস্তবায়ন কমিটি ও টেকনিক্যাল কমিটি নামে তিনটি কমিটি করা হবে।
ধারণাপত্র অনুযায়ী, প্রকল্পটি চালু করা হবে পরীক্ষামূলক ও এক বছর মেয়াদে। প্রকল্প এলাকা হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা রোডে আওলিয়া ব্রিজের উভয় পাশে আবাদযোগ্য ৩০০ বিঘা ধানিজমি। আউশ ধানে ছয় শতাংশ, আমনে পাঁচ শতাংশ এবং ইরি বা বোরোতে চার শতাংশ প্রিমিয়ামের সুযোগ রাখা যেতে পারে।
জানা গেছে, প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগে জমির ফসল নষ্ট হলে কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া। এ ছাড়া বন্যা, খরা, অতি বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, শিলাবৃষ্টি ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে দেশের কৃষি সম্পদকে রক্ষা করা।
রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই বছর ধরে সরকার শস্যবিমা চালুর কথা বলে আসছে।
তবে শস্যবিমা চালুর জন্য ২০০৬ সালেই একটি কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। সে সময় ৬৪টি জেলার একটি করে থানায় পরীক্ষামূলকভাবে শস্যবিমা চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। শস্য ছিল ধান, গম, আলু, পাট ও আখ—এই পাঁচটি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দেশের মোট দেশজ উৎ পাদনের (জিডিপি) হার বাড়া-কমা নির্ভর করে মূলত কৃষির ওপর। অথচ দেশের মোট জাতীয় শস্য উৎ পাদনের ৬ দশমিক ৪ শতাংশ ধান এবং ২৩ শতাংশ গম প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয়। এতে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে কৃষক পরিবার। ফলে তারা পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক কৃষি উৎ পাদন বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়। আর তাই শস্যবিমার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে বলে সরকার মনে করে।
জানা গেছে, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও তালিকাভুক্ত ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ নিলেই বাধ্যতামূলকভাবে শস্যবিমার আওতায় আসতে হবে। বাধ্যতামূলক শর্তটি জুড়ে দেওয়ার চিন্তাটি এসেছে কৃষকদেরই স্বার্থে।
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানায় ১৯৭৭ সালে প্রথম শস্যবিমা চালু করা হয়েছিল। ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দেশের ৫৬ থানায় বিস্তৃত হয় এর আওতা। পরবর্তী সময়ে তা আরও বাড়ানো হয়। কিন্তু ১৯৯৫ সালে প্রকল্পটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, শস্যবিমার সফল বাস্তবায়নে ভারতের আদলে বাংলাদেশেও প্রতিষ্ঠা করা হবে বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইন্স্যুরেন্স একাডেমি। এ জন্য কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
এসবিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, সরকার চেয়েছিল শস্যবিমা বিষয়ে একটি স্থায়ী প্রকল্প চালু করতে। শেষ পর্যন্ত চলতি অর্থবছর থেকে শুধু একটি উপজেলা দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালুর সিদ্ধান্ত হয়। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে এ বছর থেকেই প্রকল্পটি চালু হওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
যোগাযোগ করলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘চলতি বছরের মধ্যেই শস্যবিমা চালুর জন্য চেষ্টা চলছে। কার্যকরভাবে চালু করা গেলে কৃষকেরা সত্যিই উপকৃত হবেন এতে।’
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে শস্যবিমার ওপর কৃষকদের জন্য ভর্তুকি বাবদ রাজস্ব খাত থেকে ছয় কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ অর্থ খরচ না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শস্যবিমা চালুর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ মন্ত্রণালয় শুধু পরীক্ষা-নিরীক্ষাই করছে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে সময় পার হয়ে গেছে আট মাসেরও বেশি। অগ্রগতির মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সাধারণ বিমা করপোরেশন (এসবিসি) শুধু একটি ধারণাপত্র তৈরি করেছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের উৎ পাদিত শস্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিনষ্ট হয়। তাঁদের শস্যমূল্য সহায়তার জন্য আমরা কৃষিবিমা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি।’
সূত্রমতে, চলতি অর্থবছর থেকেই শস্যবিমা চালু করতে চাইছে সরকার। এ জন্য ‘শস্যবিমা প্রকল্প, ২০১১’ নামক একটি প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ কৃষকদের প্রিমিয়ামে ভর্তুকি বাবদ ব্যয় হবে। এসবিসির ধারণাপত্রে এই বরাদ্দ থেকেই পাঁচ কোটি টাকার তহবিল ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সারা দেশে সম্ভব না হলেও সরকার চাইছে শস্যবিমা প্রকল্পটির আওতায় এ বছর অন্তত একটি উপজেলায় শস্যবিমা চালু করা হোক। প্রকল্প এলাকা হিসেবে এ জন্য প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলাকে।
আগে পাঁচটি পণ্যকে বিমার আওতায় নিয়ে আসার কথা ভাবা হলেও শেষ পর্যন্ত শুধু ধানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সব ধরনের ধানের ওপর নয়। আউশ, আমন, বোরো বা ইরি ধান। এর সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সময়ে সারা দেশেই শস্যবিমা চালু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শস্যবিমা চালুর অগ্রগতি বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব শাহাবুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে স্বল্পসময়ের মধ্যে শস্যবিমা চালুর ওপর তাগিদ দিয়ে শস্যবিমার ওপর সাধারণ বিমা করপোরেশনের তৈরি করা ধারণাপত্রের ওপর আলোচনা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বলে জানা গেছে। অবশ্য বাস্তবায়নের জন্য উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারণী কমিটি, উপজেলাভিত্তিক বাস্তবায়ন কমিটি ও টেকনিক্যাল কমিটি নামে তিনটি কমিটি করা হবে।
ধারণাপত্র অনুযায়ী, প্রকল্পটি চালু করা হবে পরীক্ষামূলক ও এক বছর মেয়াদে। প্রকল্প এলাকা হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা রোডে আওলিয়া ব্রিজের উভয় পাশে আবাদযোগ্য ৩০০ বিঘা ধানিজমি। আউশ ধানে ছয় শতাংশ, আমনে পাঁচ শতাংশ এবং ইরি বা বোরোতে চার শতাংশ প্রিমিয়ামের সুযোগ রাখা যেতে পারে।
জানা গেছে, প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগে জমির ফসল নষ্ট হলে কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া। এ ছাড়া বন্যা, খরা, অতি বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, শিলাবৃষ্টি ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে দেশের কৃষি সম্পদকে রক্ষা করা।
রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই বছর ধরে সরকার শস্যবিমা চালুর কথা বলে আসছে।
তবে শস্যবিমা চালুর জন্য ২০০৬ সালেই একটি কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। সে সময় ৬৪টি জেলার একটি করে থানায় পরীক্ষামূলকভাবে শস্যবিমা চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। শস্য ছিল ধান, গম, আলু, পাট ও আখ—এই পাঁচটি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দেশের মোট দেশজ উৎ পাদনের (জিডিপি) হার বাড়া-কমা নির্ভর করে মূলত কৃষির ওপর। অথচ দেশের মোট জাতীয় শস্য উৎ পাদনের ৬ দশমিক ৪ শতাংশ ধান এবং ২৩ শতাংশ গম প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয়। এতে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে কৃষক পরিবার। ফলে তারা পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক কৃষি উৎ পাদন বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়। আর তাই শস্যবিমার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে বলে সরকার মনে করে।
জানা গেছে, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও তালিকাভুক্ত ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ নিলেই বাধ্যতামূলকভাবে শস্যবিমার আওতায় আসতে হবে। বাধ্যতামূলক শর্তটি জুড়ে দেওয়ার চিন্তাটি এসেছে কৃষকদেরই স্বার্থে।
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানায় ১৯৭৭ সালে প্রথম শস্যবিমা চালু করা হয়েছিল। ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দেশের ৫৬ থানায় বিস্তৃত হয় এর আওতা। পরবর্তী সময়ে তা আরও বাড়ানো হয়। কিন্তু ১৯৯৫ সালে প্রকল্পটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, শস্যবিমার সফল বাস্তবায়নে ভারতের আদলে বাংলাদেশেও প্রতিষ্ঠা করা হবে বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইন্স্যুরেন্স একাডেমি। এ জন্য কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
এসবিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, সরকার চেয়েছিল শস্যবিমা বিষয়ে একটি স্থায়ী প্রকল্প চালু করতে। শেষ পর্যন্ত চলতি অর্থবছর থেকে শুধু একটি উপজেলা দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালুর সিদ্ধান্ত হয়। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে এ বছর থেকেই প্রকল্পটি চালু হওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
যোগাযোগ করলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘চলতি বছরের মধ্যেই শস্যবিমা চালুর জন্য চেষ্টা চলছে। কার্যকরভাবে চালু করা গেলে কৃষকেরা সত্যিই উপকৃত হবেন এতে।’
No comments