ধোনির আফসোস
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই অনেকের চোখ ছিল হরভজন সিংয়ের দিকে। উপমহাদেশের স্পিনার-বান্ধব উইকেটে ভারতের শিরোপা জয়ের লক্ষ্য পূরণে এই অফ স্পিনার একটা ভালো ভূমিকা পালন করতে পারবেন—এমনটাই আশা করেছিলেন সবাই। কিন্তু প্রথম চার ম্যাচে সবাইকে হতাশই করেছিলেন ‘ভাজ্জি’। পেয়েছিলেন মাত্র ২ উইকেট। কিন্তু গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফিরেছিলেন পুরোনো রূপে। একটু খরুচে প্রমাণিত হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার তিন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা, ডি ভিলিয়ার্স ও জে পি ডুমিনির উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন ভারতীয় শিবিরে। কিন্তু শেষটা আশানুরূপ হলো না হরভজনের। টেন্ডুলকারের অনবদ্য শতকের মতো বৃথা গেল তাঁর এই প্রত্যাবর্তনও।
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ২ উইকেটের জয় দিয়ে ভারতীয় শিবিরকে হতাশায় ডোবালেন প্লেসিস, পিটারসেনরা। হতাশাটা হয়তো হরভজনের আরেকটু বেশিই হতে পারে। শেষ ওভারে ধোনি যদি বলটা আশিস নেহরার হাতে না দিয়ে তাঁর হাতে দিতেন, তাহলে হয়তো শেষ হাসিটা তাঁরাই হাসতে পারতেন। কী হতে পারত, এ নিয়ে আলাপ করে অবশ্য এখন খুব বেশি লাভ নেই। কিন্তু শেষ ৬ বলে যখন ১৩ রান দরকার, সে সময় হরভজনকে বোলিংয়ে না এনে নেহরাকে দিয়ে বল করানোর সিদ্ধান্তটা অনেককেই অবাক করেছে। সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে ভারতীয় অধিনায়ককে। ম্যাচ শেষে তাই আফসোস করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না ধোনির। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ধোনির সাফাই, ‘শেষ ওভারের জন্য আশিসই উপযুক্ত ছিল। সে ভালো বোলিং করেছিল। আমি ভেবেছিলাম, তাকে দিয়েই কাজ হবে। আমাকে এই সিদ্ধান্তের জন্য দোষারোপ করতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, পেসার দিয়েই আমাদের জয়ের কাজটা ভালোভাবে হবে।’
ধোনির আফসোস শুধু এই একটা জায়গাতেই নয়, ব্যাটিংয়েও তাঁর আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি সতীর্থরা। শচীনের ৪৮তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, শেবাগের ৭৩ ও গৌতম গম্ভীরের ৬৯ রানের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে মাত্র ৪০ ওভারেই ভারতীয় স্কোর বোর্ডে যুক্ত হয়েছিল ২৬৮ রান। সবাই ভাবছিলেন, ভারতের রান বুঝি ৩৫০ ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে শুধু আসা-যাওয়াই করেছেন বাকি ব্যাটসম্যানরা। উইকেটের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে শুধু আফসোসই করতে হয়েছে ধোনিকে। ১০ বল বাকি থাকতে ২৯৬ রানেই গুটিয়ে যাওয়ার পর শুধু হতাশ হওয়া ছাড়া আক্ষরিক অর্থে আর কিছুই করার ছিল না তাঁর। মাঠ ছেড়েছেন ১২ রানে অপরাজিত থেকে। শেষ ৩ ওভারে মাত্র ৪ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা ঝুলিতে ভরেছেন ডেল স্টেইন। ভারতকে দিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপের প্রথম পরাজয়ের স্বাদ।
ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের দুটি বড় ম্যাচেই একেবারে শেষ মুহূর্তে জয়বঞ্চিত হতে হয়েছে ভারতকে। গতকাল ম্যাচটা জিততে পারলে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিতই করে ফেলতে পারত ধোনির বাহিনী। এই হারের ফলেও হয়তো শেষ আটে যাওয়া আটকাবে না স্বাগতিকদের। কিন্তু বড় দলগুলোর বিপক্ষে এই শেষ মুহূর্তের আফসোসগুলো নিয়ে সত্যিই ভাবতে হবে ধোনিকে।
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ২ উইকেটের জয় দিয়ে ভারতীয় শিবিরকে হতাশায় ডোবালেন প্লেসিস, পিটারসেনরা। হতাশাটা হয়তো হরভজনের আরেকটু বেশিই হতে পারে। শেষ ওভারে ধোনি যদি বলটা আশিস নেহরার হাতে না দিয়ে তাঁর হাতে দিতেন, তাহলে হয়তো শেষ হাসিটা তাঁরাই হাসতে পারতেন। কী হতে পারত, এ নিয়ে আলাপ করে অবশ্য এখন খুব বেশি লাভ নেই। কিন্তু শেষ ৬ বলে যখন ১৩ রান দরকার, সে সময় হরভজনকে বোলিংয়ে না এনে নেহরাকে দিয়ে বল করানোর সিদ্ধান্তটা অনেককেই অবাক করেছে। সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে ভারতীয় অধিনায়ককে। ম্যাচ শেষে তাই আফসোস করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না ধোনির। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ধোনির সাফাই, ‘শেষ ওভারের জন্য আশিসই উপযুক্ত ছিল। সে ভালো বোলিং করেছিল। আমি ভেবেছিলাম, তাকে দিয়েই কাজ হবে। আমাকে এই সিদ্ধান্তের জন্য দোষারোপ করতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, পেসার দিয়েই আমাদের জয়ের কাজটা ভালোভাবে হবে।’
ধোনির আফসোস শুধু এই একটা জায়গাতেই নয়, ব্যাটিংয়েও তাঁর আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি সতীর্থরা। শচীনের ৪৮তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, শেবাগের ৭৩ ও গৌতম গম্ভীরের ৬৯ রানের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে মাত্র ৪০ ওভারেই ভারতীয় স্কোর বোর্ডে যুক্ত হয়েছিল ২৬৮ রান। সবাই ভাবছিলেন, ভারতের রান বুঝি ৩৫০ ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে শুধু আসা-যাওয়াই করেছেন বাকি ব্যাটসম্যানরা। উইকেটের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে শুধু আফসোসই করতে হয়েছে ধোনিকে। ১০ বল বাকি থাকতে ২৯৬ রানেই গুটিয়ে যাওয়ার পর শুধু হতাশ হওয়া ছাড়া আক্ষরিক অর্থে আর কিছুই করার ছিল না তাঁর। মাঠ ছেড়েছেন ১২ রানে অপরাজিত থেকে। শেষ ৩ ওভারে মাত্র ৪ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা ঝুলিতে ভরেছেন ডেল স্টেইন। ভারতকে দিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপের প্রথম পরাজয়ের স্বাদ।
ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের দুটি বড় ম্যাচেই একেবারে শেষ মুহূর্তে জয়বঞ্চিত হতে হয়েছে ভারতকে। গতকাল ম্যাচটা জিততে পারলে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিতই করে ফেলতে পারত ধোনির বাহিনী। এই হারের ফলেও হয়তো শেষ আটে যাওয়া আটকাবে না স্বাগতিকদের। কিন্তু বড় দলগুলোর বিপক্ষে এই শেষ মুহূর্তের আফসোসগুলো নিয়ে সত্যিই ভাবতে হবে ধোনিকে।
No comments