এসইসি মডার্ন পলির আইপিও অনুমোদন বাতিল করেছে
অবশেষে মডার্ন পলি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।
জনসাধারণের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহের আগেই বড় ধরনের অনিয়ম ও তথ্য গোপনের অভিযোগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) কোম্পানিটির আইপিওর অনুমোদন বাতিল করে।
এসইসির নিয়মিত সভায় গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, মডার্ন পলি অনিয়ম ও তথ্য গোপনের আশ্রয় নিয়ে পুঁজিবাজারের আইন ভঙ্গ করেছে। কোম্পানির যেকোনো তথ্যের যথার্থতা (ডিউ ডিলিজেন্স) নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ইস্যু ব্যবস্থাপকের। এ কারণে কোম্পানি ও ইস্যু ব্যবস্থাপক উভয়ের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই ঘটনায় মডার্ন পলির সহযোগী প্রতিষ্ঠান মডার্ন ফাইবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেবে এসইসি।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসইসির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভুঁইয়া এবং এ টি এম তারিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এ টি এম তারিকুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি মডার্ন পলিকে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে মূলধন সংগ্রহের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দরপত্র আহ্বানের জন্য অনুমোদন দিয়েছিল এসইসি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কোম্পানিটির কাগজপত্র অধিকতর পর্যালোচনা করলে অনিয়মের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
এ টি এম তারিকুজ্জামান বলেন, ‘মডার্ন পলি বাজার থেকে উত্তোলিত টাকা দিয়ে মর্ডান ফাইবার ইন্ডাস্ট্রিজ নামে তাদেরই একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে চেয়েছিল। মডার্ন ফাইবারের বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৬০ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে কোম্পানিটি মূলধন বাড়িয়ে এ পরিমাণ করেছে। পুঁজিবাজারের আইন অনুযায়ী কোনো কোম্পানি ১০ কোটি টাকার বেশি মূলধন সংগ্রহ করতে চাইলে এসইসির অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোম্পানিটি মূলধন বাড়ালেও এসইসির কোনো অনুমোদন নেয়নি।
এসইসির এই কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করে বলেন, যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর নিবন্ধকের পরিদপ্তর (আরজেসি) থেকে মূলধন বাড়ানোর বিপরীতে শেয়ার বরাদ্দ বিবরণী বা রিটার্ন অব অ্যালোটমেন্ট ঠিকই সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, ইস্যু ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড সঠিকভাবে ডিউ ডিলিজেন্স করেনি। তার মানে হলো, ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কোম্পানিটির শেয়ারের নির্দেশক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, পুরো প্রক্রিয়াটি অনিয়ম ও ভুলের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। এ কারণেই এসইসি প্রক্রিয়াটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ টি এম তারিকুজ্জামান বলেন, এসইসির অনুমোদন ছাড়া আরজেসি এ ধরনের কাগজপত্র দিতে পারে না। তাই এ সংস্থাটির কাছেও জানতে চাওয়া হবে তারা কীভাবে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র সরবরাহ করল।
এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন তোলেন এত সমস্যা থাকা স্বত্ত্বেও কেন কোম্পানিটিকে শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হলো। এর জবাবে তারিকুজ্জামান বলেন, এ অনিয়মের ঘটনাটি এসইসিই উদ্ঘাটন করেছে। বিষয়টি ইচ্ছা করে এড়িয়ে গেলে এসইসি এটা করত না। তা ছাড়া কোম্পানির উপস্থাপিত তথ্যের ডিউ ডিলিজেন্স ঠিক আছে কি না, সেটা দেখার দায়িত্ব ইস্যু ব্যবস্থাপকের। এসইসি শুধু দেখে কোম্পানি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়েছে কি না। তাই তথ্যের ভুলভ্রান্তির দায়দায়িত্ব ইস্যু ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে।
সূত্র জানায়, শেয়ারবাজার থেকে সংগৃহীত এ টাকায় কোম্পানিটি মডার্ন ফাইবার ইন্ডাস্ট্রিজের ৮৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বা পাঁচ লাখ ছয় হাজার ৩০০ শেয়ার কেনার কথা। ওই কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের মূল্য তিন হাজার ৮৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মডার্ন ফাইবারের এক হাজার টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে প্রিমিয়াম নেওয়া হবে দুই হাজার ৮৮০ টাকা। সব মিলিয়ে পুঁজিবাজার থেকে সংগৃহীত অর্থের প্রায় ১৯৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে এ জন্য।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, মডার্ন পলি ইন্ডাস্ট্রিজ যে প্রক্রিয়ায় অর্থ সংগ্রহ ও ব্যয়ের প্রস্তাব করেছে, তা পরোক্ষভাবে পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির (ইনডাইরেক্টলি ডাইরেক্ট লিস্টিং) মতো।
কারণ, কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে যে অর্থ সংগ্রহ করবে তার পুরোটাই সহযোগী কোম্পানিতে চলে যাবে। আর ব্যক্তিমালিকানাধীন ওই কোম্পানিতে অর্থ স্থানান্তরের মানে হলো পরোক্ষভাবে টাকাগুলো উদ্যোক্তাদের পকেটে চলে যাওয়া। এই যুক্তিতেই ডিএসই কোম্পানিটির আইপিও প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে আসছিল।
গত ২৫ আগস্ট এসইসি মডার্ন পলিকে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন দেয়। এ প্রক্রিয়ায় কোম্পানিটি বাজার থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ কোটি টাকা তুলতে পারত।
উল্লেখ্য, এসব বিষয়ে গতকাল প্রথম আলোতে ‘আইপিওতে আসার আগেই অনিয়ম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই এসইসি কোম্পানিটির আইপিও প্রস্তাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
জনসাধারণের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহের আগেই বড় ধরনের অনিয়ম ও তথ্য গোপনের অভিযোগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) কোম্পানিটির আইপিওর অনুমোদন বাতিল করে।
এসইসির নিয়মিত সভায় গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, মডার্ন পলি অনিয়ম ও তথ্য গোপনের আশ্রয় নিয়ে পুঁজিবাজারের আইন ভঙ্গ করেছে। কোম্পানির যেকোনো তথ্যের যথার্থতা (ডিউ ডিলিজেন্স) নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ইস্যু ব্যবস্থাপকের। এ কারণে কোম্পানি ও ইস্যু ব্যবস্থাপক উভয়ের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই ঘটনায় মডার্ন পলির সহযোগী প্রতিষ্ঠান মডার্ন ফাইবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেবে এসইসি।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসইসির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভুঁইয়া এবং এ টি এম তারিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এ টি এম তারিকুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি মডার্ন পলিকে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে মূলধন সংগ্রহের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দরপত্র আহ্বানের জন্য অনুমোদন দিয়েছিল এসইসি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কোম্পানিটির কাগজপত্র অধিকতর পর্যালোচনা করলে অনিয়মের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
এ টি এম তারিকুজ্জামান বলেন, ‘মডার্ন পলি বাজার থেকে উত্তোলিত টাকা দিয়ে মর্ডান ফাইবার ইন্ডাস্ট্রিজ নামে তাদেরই একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে চেয়েছিল। মডার্ন ফাইবারের বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৬০ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে কোম্পানিটি মূলধন বাড়িয়ে এ পরিমাণ করেছে। পুঁজিবাজারের আইন অনুযায়ী কোনো কোম্পানি ১০ কোটি টাকার বেশি মূলধন সংগ্রহ করতে চাইলে এসইসির অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোম্পানিটি মূলধন বাড়ালেও এসইসির কোনো অনুমোদন নেয়নি।
এসইসির এই কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করে বলেন, যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর নিবন্ধকের পরিদপ্তর (আরজেসি) থেকে মূলধন বাড়ানোর বিপরীতে শেয়ার বরাদ্দ বিবরণী বা রিটার্ন অব অ্যালোটমেন্ট ঠিকই সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, ইস্যু ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড সঠিকভাবে ডিউ ডিলিজেন্স করেনি। তার মানে হলো, ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কোম্পানিটির শেয়ারের নির্দেশক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, পুরো প্রক্রিয়াটি অনিয়ম ও ভুলের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। এ কারণেই এসইসি প্রক্রিয়াটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ টি এম তারিকুজ্জামান বলেন, এসইসির অনুমোদন ছাড়া আরজেসি এ ধরনের কাগজপত্র দিতে পারে না। তাই এ সংস্থাটির কাছেও জানতে চাওয়া হবে তারা কীভাবে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র সরবরাহ করল।
এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন তোলেন এত সমস্যা থাকা স্বত্ত্বেও কেন কোম্পানিটিকে শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হলো। এর জবাবে তারিকুজ্জামান বলেন, এ অনিয়মের ঘটনাটি এসইসিই উদ্ঘাটন করেছে। বিষয়টি ইচ্ছা করে এড়িয়ে গেলে এসইসি এটা করত না। তা ছাড়া কোম্পানির উপস্থাপিত তথ্যের ডিউ ডিলিজেন্স ঠিক আছে কি না, সেটা দেখার দায়িত্ব ইস্যু ব্যবস্থাপকের। এসইসি শুধু দেখে কোম্পানি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়েছে কি না। তাই তথ্যের ভুলভ্রান্তির দায়দায়িত্ব ইস্যু ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে।
সূত্র জানায়, শেয়ারবাজার থেকে সংগৃহীত এ টাকায় কোম্পানিটি মডার্ন ফাইবার ইন্ডাস্ট্রিজের ৮৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বা পাঁচ লাখ ছয় হাজার ৩০০ শেয়ার কেনার কথা। ওই কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের মূল্য তিন হাজার ৮৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মডার্ন ফাইবারের এক হাজার টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে প্রিমিয়াম নেওয়া হবে দুই হাজার ৮৮০ টাকা। সব মিলিয়ে পুঁজিবাজার থেকে সংগৃহীত অর্থের প্রায় ১৯৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে এ জন্য।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, মডার্ন পলি ইন্ডাস্ট্রিজ যে প্রক্রিয়ায় অর্থ সংগ্রহ ও ব্যয়ের প্রস্তাব করেছে, তা পরোক্ষভাবে পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির (ইনডাইরেক্টলি ডাইরেক্ট লিস্টিং) মতো।
কারণ, কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে যে অর্থ সংগ্রহ করবে তার পুরোটাই সহযোগী কোম্পানিতে চলে যাবে। আর ব্যক্তিমালিকানাধীন ওই কোম্পানিতে অর্থ স্থানান্তরের মানে হলো পরোক্ষভাবে টাকাগুলো উদ্যোক্তাদের পকেটে চলে যাওয়া। এই যুক্তিতেই ডিএসই কোম্পানিটির আইপিও প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে আসছিল।
গত ২৫ আগস্ট এসইসি মডার্ন পলিকে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন দেয়। এ প্রক্রিয়ায় কোম্পানিটি বাজার থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ কোটি টাকা তুলতে পারত।
উল্লেখ্য, এসব বিষয়ে গতকাল প্রথম আলোতে ‘আইপিওতে আসার আগেই অনিয়ম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই এসইসি কোম্পানিটির আইপিও প্রস্তাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
No comments