দখলবাজদের সংঘাত
সব রাজনৈতিক আদর্শ এক নয়, কিন্তু আদর্শের নামে সব সন্ত্রাসকে এক মানদণ্ডেই দণ্ডিত করা উচিত। আদর্শের নামধারীরা যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অস্ত্রের মহড়া আর মারামারির মঞ্চ বানিয়ে ফেলে, তখন তাদের সন্ত্রাসী বলাই শ্রেয়। সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের কর্মীরা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ যা করেছে তা সন্ত্রাস, এবং সন্ত্রাসী হিসেবেই তাদের শাস্তি দেওয়া হোক।
ভর্তির মৌসুম এলেই বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে ‘মুরগি ধরা’র তোড়জোড় শুরু হয়। ভর্তি-ইচ্ছুক ও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলো ‘মুরগি’ এবং তাদের দলে ভেড়ানোর কার্যক্রমই হলো ‘মুরগি ধরা’ কর্মসূচি। এই বাজে পরিভাষা চালু থাকাই প্রমাণ করে যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান কতটা হীন রুচিকর। বলা বাহুল্য, ‘মুরগি ধরা’র এই কাজ নিরীহ থাকে না। ভয়, প্রলোভন, সিট-রাজনীতি, এমনকি বলপ্রয়োগ সেখানে ‘স্বাভাবিক’ ঘটনা। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে তখনই, যখন ‘মুরগি ধরা’র প্রতিযোগিতা সংঘাতে পরিণত হয়। সিলেটে ও ফরিদপুরে তা-ই ঘটেছে। উভয় ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ৪৫ জন, ভাঙচুর হয়েছে ছাত্রাবাস এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন শিবিরের ছয় নেতা-কর্মী। এ ধরনের ঘটনা কবে বন্ধ হবে, সেটিই আজকের জ্বলন্ত প্রশ্ন।
নবীন শিক্ষার্থীদের দিয়ে দল ভারী করা গেলে দখলদারি ও আধিপত্যের ক্ষমতা বাড়ে। এদের ভেতর থেকেই তৈরি করা হয় ক্যাডার-সন্ত্রাসী। দখলদারির প্রহরী ও ভাগীদার হয় এরাই। আর তাদের ওপরে থাকে একধরনের শিক্ষক-রাজনীতি, প্রশাসন ও রাজনৈতিক শক্তির ছত্রচ্ছায়া। আধিপত্যের সুফল তারাও ভোগ করে। ক্যাম্পাসগুলোতে দল-লীগ-শিবিরের রাজনীতির এটাই চেহারা, এটাই চালিকাশক্তি। এই প্রক্রিয়ায় একসময় যিনি ‘মুরগি’ ছিলেন, তিনিই নেতা বা ক্যাডার হয়ে পরিণত হন মুরগি ধরার শেয়ালে। ওপরের দুটি ঘটনা ছিল শেয়ালে-শেয়ালে প্রতিযোগিতা। আমরা শেয়ালও চাই না, মুরগি ধরার উৎসবও মানি না। শিক্ষাঙ্গনে অশান্তির এই কারণটি দূর করা হোক।
শিক্ষা প্রশাসনের উচিত, সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার নিয়ম বেঁধে দেওয়া এবং সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তিদের স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদে বহিষ্কার করা। সন্ত্রাসীদের আইনের হাতে সোপর্দ করাও দরকার। কিন্তু দেখা যায়, প্রশাসনের দলীয় পক্ষপাত এবং পুলিশের রাজনৈতিক আনুগত্যের জন্য সন্ত্রাস চলে; কিন্তু শিক্ষা, শান্তি ও নিরাপত্তা চলতে পারে না। সরকারের ভূমিকা এখানেই কাম্য।
বর্তমান সরকার, বারেবারে শিক্ষাঙ্গনে দলীয়করণ ও সন্ত্রাস বন্ধের প্রতিজ্ঞা করেছে। সন্ত্রাসী যে-ই হোক, তাকে শাস্তি দেওয়ার এই জরুরত সরকার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির প্রশাসন পালন করে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ভর্তির মৌসুম এলেই বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে ‘মুরগি ধরা’র তোড়জোড় শুরু হয়। ভর্তি-ইচ্ছুক ও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলো ‘মুরগি’ এবং তাদের দলে ভেড়ানোর কার্যক্রমই হলো ‘মুরগি ধরা’ কর্মসূচি। এই বাজে পরিভাষা চালু থাকাই প্রমাণ করে যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান কতটা হীন রুচিকর। বলা বাহুল্য, ‘মুরগি ধরা’র এই কাজ নিরীহ থাকে না। ভয়, প্রলোভন, সিট-রাজনীতি, এমনকি বলপ্রয়োগ সেখানে ‘স্বাভাবিক’ ঘটনা। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে তখনই, যখন ‘মুরগি ধরা’র প্রতিযোগিতা সংঘাতে পরিণত হয়। সিলেটে ও ফরিদপুরে তা-ই ঘটেছে। উভয় ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ৪৫ জন, ভাঙচুর হয়েছে ছাত্রাবাস এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন শিবিরের ছয় নেতা-কর্মী। এ ধরনের ঘটনা কবে বন্ধ হবে, সেটিই আজকের জ্বলন্ত প্রশ্ন।
নবীন শিক্ষার্থীদের দিয়ে দল ভারী করা গেলে দখলদারি ও আধিপত্যের ক্ষমতা বাড়ে। এদের ভেতর থেকেই তৈরি করা হয় ক্যাডার-সন্ত্রাসী। দখলদারির প্রহরী ও ভাগীদার হয় এরাই। আর তাদের ওপরে থাকে একধরনের শিক্ষক-রাজনীতি, প্রশাসন ও রাজনৈতিক শক্তির ছত্রচ্ছায়া। আধিপত্যের সুফল তারাও ভোগ করে। ক্যাম্পাসগুলোতে দল-লীগ-শিবিরের রাজনীতির এটাই চেহারা, এটাই চালিকাশক্তি। এই প্রক্রিয়ায় একসময় যিনি ‘মুরগি’ ছিলেন, তিনিই নেতা বা ক্যাডার হয়ে পরিণত হন মুরগি ধরার শেয়ালে। ওপরের দুটি ঘটনা ছিল শেয়ালে-শেয়ালে প্রতিযোগিতা। আমরা শেয়ালও চাই না, মুরগি ধরার উৎসবও মানি না। শিক্ষাঙ্গনে অশান্তির এই কারণটি দূর করা হোক।
শিক্ষা প্রশাসনের উচিত, সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার নিয়ম বেঁধে দেওয়া এবং সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তিদের স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদে বহিষ্কার করা। সন্ত্রাসীদের আইনের হাতে সোপর্দ করাও দরকার। কিন্তু দেখা যায়, প্রশাসনের দলীয় পক্ষপাত এবং পুলিশের রাজনৈতিক আনুগত্যের জন্য সন্ত্রাস চলে; কিন্তু শিক্ষা, শান্তি ও নিরাপত্তা চলতে পারে না। সরকারের ভূমিকা এখানেই কাম্য।
বর্তমান সরকার, বারেবারে শিক্ষাঙ্গনে দলীয়করণ ও সন্ত্রাস বন্ধের প্রতিজ্ঞা করেছে। সন্ত্রাসী যে-ই হোক, তাকে শাস্তি দেওয়ার এই জরুরত সরকার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির প্রশাসন পালন করে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
No comments