আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে মিয়ানমারের নির্বাচন
মিয়ানমারে গত রোববার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের তীব্র সমালোচনা করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। তারা একপেশে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, সামরিক জান্তা সরকারের পাতানো ছক অনুযায়ী অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। এ নির্বাচন অবাধ তো হয়নি, এমনকি নিরপেক্ষও হয়নি।
এদিকে গতকাল সোমবার দেশটির পূর্বাঞ্চলে থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাবাহিনী ও আদিবাসী বিদ্রোহীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে হাজার হাজার লোক সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে চলে গেছে। পরে থাই কর্তৃপক্ষ সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।
প্রহসনের নির্বাচন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, এই নির্বাচন অবাধ বা নিরপেক্ষ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন, পাতানো এ নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। প্রহসনের এ নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারের মানুষকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকার গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের সুযোগ নষ্ট করেছে।
ব্রিটেন বলেছে, নির্বাচনের ফল আগেভাগেই নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, এই নির্বাচনের মানে হচ্ছে, একটি বর্বর সরকারকে আবারও ক্ষমতায় বসানো। পাতানো এই নির্বাচনের মাধ্যমে অগ্রগতি অর্জন সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। ফ্রান্স বলেছে, বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে জান্তা সরকারের আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালানো উচিত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাস্টন এ নির্বাচনকে প্রহসনমূলক আখ্যা দিয়ে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নির্বাচন নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণতন্ত্রের প্রতীক শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চিকে বাদ দিয়ে এই নির্বাচন কখনো প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে না।
তবে মিয়ানমারের অন্যতম মিত্র দেশ চীন এ নির্বাচনকে একটি ‘অগ্রগামী পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। চীনের সরকারনিয়ন্ত্রিত পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস বলেছে, মিয়ানমারের রাজনৈতিকভাবে উত্তরণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তা রাতারাতি ঘটবে এমন নয়।
সেনা-সমর্থিতদের বিজয়ের সম্ভাবনা: নির্বাচনের ফল কবে ঘোষণা করা হবে, সে সম্পর্কে জান্তা সরকার এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। তবে জেনারেলদের পরিকল্পনা অনুযায়ীই নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় জান্তা-সমর্থিত দলগুলোর বিজয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বে নানা সমালোচনা হলেও জান্তা সরকারের মদদপুষ্ট দুটি প্রধান দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ও ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টিই (এনইউপি) দুই-তৃতীয়াংশ আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাকি আসন ছোট দলগুলোর মধ্যে ভাগ হতে পারে।
বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, থাই সীমান্তবর্তী কারেন প্রদেশের মায়াড্ডি শহরে গতকাল সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়েছে। এতে তিনজন বেসামরিক লোক নিহত হয়। এ সময় থাই সীমান্তের ভেতরে একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। থাইল্যান্ডের মায়ি সোট এলাকায় এ ঘটনায় তিনজন নারী ও দুটি শিশু আহত হয়েছে। মায়ি সোট জেলার প্রধান কিত্তিসাক টমরসাক জানান, আতঙ্কে মিয়ানমারের প্রায় ১০ হাজার লোক থাইল্যান্ডে পালিয়ে এসেছে। সংঘর্ষে বেসমারিক লোকজন হতাহত হলেও সেনা অথবা বিদ্রোহীদের কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
মিয়ানমারের দুই কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের সবগুলো আসনেই এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে ১৪টি প্রাদেশিক পার্লামেন্টের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ৪০টি দল এসব নির্বাচনে অংশ নেয়।
পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে ২৫ শতাংশ আসন সেনা কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় সেনা-সমর্থিত দলগুলো ২৬ শতাংশ আসনে জয় পেলেই তারা সরকার গঠন করতে পারবে।
এদিকে গতকাল সোমবার দেশটির পূর্বাঞ্চলে থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাবাহিনী ও আদিবাসী বিদ্রোহীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে হাজার হাজার লোক সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে চলে গেছে। পরে থাই কর্তৃপক্ষ সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।
প্রহসনের নির্বাচন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, এই নির্বাচন অবাধ বা নিরপেক্ষ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন, পাতানো এ নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। প্রহসনের এ নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারের মানুষকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকার গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের সুযোগ নষ্ট করেছে।
ব্রিটেন বলেছে, নির্বাচনের ফল আগেভাগেই নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, এই নির্বাচনের মানে হচ্ছে, একটি বর্বর সরকারকে আবারও ক্ষমতায় বসানো। পাতানো এই নির্বাচনের মাধ্যমে অগ্রগতি অর্জন সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। ফ্রান্স বলেছে, বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে জান্তা সরকারের আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালানো উচিত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাস্টন এ নির্বাচনকে প্রহসনমূলক আখ্যা দিয়ে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নির্বাচন নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণতন্ত্রের প্রতীক শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চিকে বাদ দিয়ে এই নির্বাচন কখনো প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে না।
তবে মিয়ানমারের অন্যতম মিত্র দেশ চীন এ নির্বাচনকে একটি ‘অগ্রগামী পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। চীনের সরকারনিয়ন্ত্রিত পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস বলেছে, মিয়ানমারের রাজনৈতিকভাবে উত্তরণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তা রাতারাতি ঘটবে এমন নয়।
সেনা-সমর্থিতদের বিজয়ের সম্ভাবনা: নির্বাচনের ফল কবে ঘোষণা করা হবে, সে সম্পর্কে জান্তা সরকার এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। তবে জেনারেলদের পরিকল্পনা অনুযায়ীই নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় জান্তা-সমর্থিত দলগুলোর বিজয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বে নানা সমালোচনা হলেও জান্তা সরকারের মদদপুষ্ট দুটি প্রধান দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ও ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টিই (এনইউপি) দুই-তৃতীয়াংশ আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাকি আসন ছোট দলগুলোর মধ্যে ভাগ হতে পারে।
বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, থাই সীমান্তবর্তী কারেন প্রদেশের মায়াড্ডি শহরে গতকাল সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়েছে। এতে তিনজন বেসামরিক লোক নিহত হয়। এ সময় থাই সীমান্তের ভেতরে একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। থাইল্যান্ডের মায়ি সোট এলাকায় এ ঘটনায় তিনজন নারী ও দুটি শিশু আহত হয়েছে। মায়ি সোট জেলার প্রধান কিত্তিসাক টমরসাক জানান, আতঙ্কে মিয়ানমারের প্রায় ১০ হাজার লোক থাইল্যান্ডে পালিয়ে এসেছে। সংঘর্ষে বেসমারিক লোকজন হতাহত হলেও সেনা অথবা বিদ্রোহীদের কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
মিয়ানমারের দুই কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের সবগুলো আসনেই এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে ১৪টি প্রাদেশিক পার্লামেন্টের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ৪০টি দল এসব নির্বাচনে অংশ নেয়।
পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে ২৫ শতাংশ আসন সেনা কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় সেনা-সমর্থিত দলগুলো ২৬ শতাংশ আসনে জয় পেলেই তারা সরকার গঠন করতে পারবে।
No comments