এবার হারলেন রোনালদো
রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনা। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসি। আগের লড়াইটি চলে আসছে যুগযুগান্ত থেকে। দুই দলের দুই মহাতারকা রোনালদো আর মেসির লড়াইয়েই যা একটু নতুনত্ব আছে। তবে এটির বয়সও দুই বছর হতে চলল। রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকতেই। সময়ের সেরা খেলোয়াড় কে? রোনালদো ও মেসিকে নিয়ে এই বিতর্ক তো সেই কবে থেকেই চলছে।
পরশু স্প্যানিশ লিগে রিয়াল-বার্সা জিতেছে নিজেদের ম্যাচে। গেটাফের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর রিয়াল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে মাদ্রিদ ডার্বি।
তবে রিয়ালের রোনালদো আর বার্সার মেসির মধ্যে বহমান লড়াইয়ে পরশু জয় হয়েছে মেসিরই। বার্সার জয়ে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অবদান ছিল আর্জেন্টাইন প্লে-মেকারের। নিজে একটি গোল করেছেন, দলের বাকি দুই গোল করিয়েছেন সতীর্থ ডেভিড ভিয়া ও পেদ্রো রদ্রিগেজকে দিয়ে। রোনালদো এর কোনোটিই করতে পারেননি।
তবে সামগ্রিকভাবে এ মৌসুমের স্প্যানিশ লিগে দুজনের লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন রোনালদোই। লা লিগায় রোনালদোর গোল ১১টি, মেসির হলো ৮টি।
এ মৌসুমের বার্সেলোনা অনেক অনুরাগীর মনোবেদনার কারণ হয়েছে। সেই পাসিং ফুটবল ঠিকই আছে কিন্তু গত মৌসুমের অমন ক্ষুরধার আক্রমণ আর প্রতিপক্ষকে ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলার ভয়ালসুন্দর খেলাটা কই? গেটাফের মাঠে পরশু এই অনুযোগের কিছুটা পূরণ করতে পেরেছে বার্সা।
গোল মাত্র ৩টি। তবে জাদুকরি ফুটবলে প্রতিপক্ষকে ঠিকই মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতে পেরেছে গত বছর রেকর্ড ৬টি শিরোপা জেতা পেপ গার্দিওলার দল। প্রথম ৪৫ মিনিট তো অবশ্যই। এর পরও বার্সেলোনা কোচ গার্দিওলা খুশি হতে পারেননি, ‘সাধারণ চোখে দেখলে মনে হয় দল ভালো খেলেছে। তবে প্রথমার্ধে আমাদের আরও ভালো খেলা উচিত ছিল।’
২৩ মিনিটে ভিয়ার পাস থেকে মেসি করেছেন প্রথম গোল। ৩৫ মিনিটে হয়েছে এর ঠিক উল্টো। মেসির পাসে ভিয়ার গোল। এর পরও প্রথমার্ধ নিয়ে গার্দিওলার হতাশার কারণ বেশ কিছু গোল মিস আর রক্ষণের অগোছালো ভাব। ভিয়া একাই নষ্ট করেছেন চারটি গোলের সুযোগ। মেসি-পেদ্রোও সুযোগ নষ্ট করেছেন। মেসির পাস থেকে ৬৫ মিনিটে গোলটি করে পেদ্রো কিছুটা শাপমোচন করেছেন।
বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের প্রথমার্ধটাই ছিল দুর্দান্ত। কারভালহো ও মেসুত ওজিলের করা জয়সূচক গোল দুটি এসেছে ১৯ মিনিটের মধ্যেই। দ্বিতীয়ার্ধে গোল না পেলেও রিয়াল খেলেছে দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল। রোনালদো-ওজিল-ডি মারিয়া-হিগুয়েইনসমৃদ্ধ আক্রমণভাগের কাছে রিয়ালের একই শহরের দল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ পাত্তাই পায়নি।
অথচ রিয়ালের এমন আক্রমণাত্মক ফুটবল কিছুদিন আগেও ছিল সংশয়ের আবর্তে। হোসে মরিনহো একজন কৌশলী এবং রক্ষণাত্মক কোচ হবেন বলেই ধরে নিয়েছিল সবাই। আর তাঁর রিয়াল কি না এখন গোলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। সর্বশেষ ৫ ম্যাচে ২১ গোল পেয়েছে তারা! এর মধ্যে ৬ গোল করে আছে দুটি ম্যাচে।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ গত ১১ বছরে বার্নাব্যুতে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় ডিয়েগো ফোরলানের দলের সময়টাও ভালো যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে অ্যাটলেটিকোকে রিয়াল উড়িয়ে দেবে বলেই ভেবেছিল সবাই। গোল বেশি না পেলেও হয়েছে সে রকমই। এ নিয়ে সবাই উচ্ছ্বসিত। তবে মরিনহো পা মাটিতেই রাখতে বলছেন সবাইকে, ‘আমি আসলে ডার্বি-জয় নিয়ে ভাবছি না, চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে চাই আমি।’
এদিকে ইতালিয়ান সিরি ‘আ’তে জয় পেয়েছে বড় তিন দল। বারির বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতেছে এসি মিলান। জুভেন্টাস ৩-১ গোলে জিতেছে সেসেনার বিপক্ষে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল লাৎসিওর বিপক্ষে রোমার জয়টি ২-০ গোলের।
পরশু স্প্যানিশ লিগে রিয়াল-বার্সা জিতেছে নিজেদের ম্যাচে। গেটাফের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর রিয়াল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে মাদ্রিদ ডার্বি।
তবে রিয়ালের রোনালদো আর বার্সার মেসির মধ্যে বহমান লড়াইয়ে পরশু জয় হয়েছে মেসিরই। বার্সার জয়ে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অবদান ছিল আর্জেন্টাইন প্লে-মেকারের। নিজে একটি গোল করেছেন, দলের বাকি দুই গোল করিয়েছেন সতীর্থ ডেভিড ভিয়া ও পেদ্রো রদ্রিগেজকে দিয়ে। রোনালদো এর কোনোটিই করতে পারেননি।
তবে সামগ্রিকভাবে এ মৌসুমের স্প্যানিশ লিগে দুজনের লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন রোনালদোই। লা লিগায় রোনালদোর গোল ১১টি, মেসির হলো ৮টি।
এ মৌসুমের বার্সেলোনা অনেক অনুরাগীর মনোবেদনার কারণ হয়েছে। সেই পাসিং ফুটবল ঠিকই আছে কিন্তু গত মৌসুমের অমন ক্ষুরধার আক্রমণ আর প্রতিপক্ষকে ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলার ভয়ালসুন্দর খেলাটা কই? গেটাফের মাঠে পরশু এই অনুযোগের কিছুটা পূরণ করতে পেরেছে বার্সা।
গোল মাত্র ৩টি। তবে জাদুকরি ফুটবলে প্রতিপক্ষকে ঠিকই মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতে পেরেছে গত বছর রেকর্ড ৬টি শিরোপা জেতা পেপ গার্দিওলার দল। প্রথম ৪৫ মিনিট তো অবশ্যই। এর পরও বার্সেলোনা কোচ গার্দিওলা খুশি হতে পারেননি, ‘সাধারণ চোখে দেখলে মনে হয় দল ভালো খেলেছে। তবে প্রথমার্ধে আমাদের আরও ভালো খেলা উচিত ছিল।’
২৩ মিনিটে ভিয়ার পাস থেকে মেসি করেছেন প্রথম গোল। ৩৫ মিনিটে হয়েছে এর ঠিক উল্টো। মেসির পাসে ভিয়ার গোল। এর পরও প্রথমার্ধ নিয়ে গার্দিওলার হতাশার কারণ বেশ কিছু গোল মিস আর রক্ষণের অগোছালো ভাব। ভিয়া একাই নষ্ট করেছেন চারটি গোলের সুযোগ। মেসি-পেদ্রোও সুযোগ নষ্ট করেছেন। মেসির পাস থেকে ৬৫ মিনিটে গোলটি করে পেদ্রো কিছুটা শাপমোচন করেছেন।
বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের প্রথমার্ধটাই ছিল দুর্দান্ত। কারভালহো ও মেসুত ওজিলের করা জয়সূচক গোল দুটি এসেছে ১৯ মিনিটের মধ্যেই। দ্বিতীয়ার্ধে গোল না পেলেও রিয়াল খেলেছে দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল। রোনালদো-ওজিল-ডি মারিয়া-হিগুয়েইনসমৃদ্ধ আক্রমণভাগের কাছে রিয়ালের একই শহরের দল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ পাত্তাই পায়নি।
অথচ রিয়ালের এমন আক্রমণাত্মক ফুটবল কিছুদিন আগেও ছিল সংশয়ের আবর্তে। হোসে মরিনহো একজন কৌশলী এবং রক্ষণাত্মক কোচ হবেন বলেই ধরে নিয়েছিল সবাই। আর তাঁর রিয়াল কি না এখন গোলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। সর্বশেষ ৫ ম্যাচে ২১ গোল পেয়েছে তারা! এর মধ্যে ৬ গোল করে আছে দুটি ম্যাচে।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ গত ১১ বছরে বার্নাব্যুতে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় ডিয়েগো ফোরলানের দলের সময়টাও ভালো যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে অ্যাটলেটিকোকে রিয়াল উড়িয়ে দেবে বলেই ভেবেছিল সবাই। গোল বেশি না পেলেও হয়েছে সে রকমই। এ নিয়ে সবাই উচ্ছ্বসিত। তবে মরিনহো পা মাটিতেই রাখতে বলছেন সবাইকে, ‘আমি আসলে ডার্বি-জয় নিয়ে ভাবছি না, চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে চাই আমি।’
এদিকে ইতালিয়ান সিরি ‘আ’তে জয় পেয়েছে বড় তিন দল। বারির বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতেছে এসি মিলান। জুভেন্টাস ৩-১ গোলে জিতেছে সেসেনার বিপক্ষে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল লাৎসিওর বিপক্ষে রোমার জয়টি ২-০ গোলের।
No comments