খেলাই ছেড়ে দিলেন জুলকারনাইন
অবশেষে ‘নাই’ হয়ে যাওয়া জুলকারনাইন হায়দারের দেখা মিলেছে। উধাও হওয়ার পর প্রথম প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়ায় লন্ডন থেকে পাকিস্তান উইকেটকিপার নিশ্চিত করেছেন, হুমকি-ধমকি পাওয়ার পর আত্মরক্ষার জন্যই গোপনে দুবাই ছেড়েছেন। সরাসরি না বললেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন। আর সবকিছুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মাত্র ২৪ বছর বয়সে বিদায় জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। যুক্তরাজ্যের ঠিক কোথায় আছেন তিনি, সেটি নিশ্চিত নয়।
গত কয়েক দিনে তাঁর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ‘ঝড়’কেই অবসরের কারণ বলেছেন একটি টেস্ট, চারটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলা এই উইকেটকিপার, ‘যে পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে আমাকে যেতে হচ্ছে, এতে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছি। প্রচণ্ড চাপ আমার ওপর। আমি হুমকি পেয়েছি, আমার পরিবার হুমকি পেয়েছে।’
হুমকিদাতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারেননি জুলকারনাইন। তবে সেই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে, ‘একদিন রাতের খাবার খেতে হোটেলের বাইরে গেলাম, তখন সে এল। বলল, “আমাদের সঙ্গে যোগ দিলে অনেক অর্থ বানাতে পারবে। রাজি না হলে দলে থাকা তো কঠিন হবেই, তোমার জীবনও বিপর্যস্ত করে তুলতে পারি।” আমি জানি না, অন্যদের প্রস্তাব না দিয়ে শুধু আমাকে কেন দেওয়া হলো।’
এর আগে পাকিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল জিয়ো নিউজকে জুলকারনাইন বলেছিলেন, ‘চতুর্থ ওয়ানডেতে আমাকে যা করতে বলা হয়েছিল, আমি করিনি। আর পঞ্চম ওয়ানডেতে তারা যা চেয়েছিল, আমি তাতে রাজি হইনি। বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না। কারণ, আমার পরিবার এখনো পাকিস্তানেই আছে।’
হুমকিদাতা কি তবে পাকিস্তান দল বা দলের সঙ্গে যুক্ত কেউ? জুলকারনাইনের রহস্যময় উত্তর, ‘আমি বলছি না তারাই বা তারা নয়। একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।’
পরিস্থিতির কারণে যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘আমি বলব না ঠিক কোথায় আছি। তবে অবরুদ্ধ নই। এখানকার অভিবাসন কর্মকর্তারা আমাকে অনেক সাহায্য করছেন। তাঁরা বলেছেন একজন আইনজীবী নিয়োগ দিতে। এই মুহূর্তে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার মতো অর্থ আমার নেই।’
টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে পাসপোর্ট নেওয়া ও পাকিস্তানে না গিয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার রহস্যও খোলাসা করেছেন জুলকারনাইন, ‘আমার মনে হয়েছে বোর্ডকে জানালে বা পাকিস্তানে গেলে আমার ও আমার পরিবারের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যেত। কোনো ক্রিকেটারকে বললে হয়তো সেও বিপদে জড়িয়ে পড়ত। এ জন্যই আমি এখানে এসেছি, নয়-দশ বছর ধরেই এখানে আসছি বলে ব্রিটিশ আইন সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। এখানে সুরক্ষা পাওয়া যায়।’
এদিকে একটি সূত্র খবর দিয়েছে, কাল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ও আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার কর্মকর্তারা বাজিকরদের প্রস্তাব পাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন জুলকারনাইনকে। ইংল্যান্ডে আপাতত মাস খানেক থাকার অনুমতি মিলেছে বলেও জানা গেছে।
ভাষ্য শোনার পর মনে হচ্ছে, কী ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যেই আছেন জুলকারনাইন। যদিও তিনি পাশে পাচ্ছেন না পিসিবিকে। বোর্ড উল্টো জানিয়েছে, চুক্তির শর্ত ভাঙার কারণে জুলকারনাইনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে। পিসিবির আইন উপদেষ্টা তাফাজ্জুল রিজভি বলেছেন, ‘সে নিজের সিদ্ধান্তে কাজ করেছে এবং সিদ্ধান্তটি মোটেও বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন হয়নি। হুমকি পেলে সে দলের নিরাপত্তা অফিসারকে জানাতে পারত।’
সাবেক ব্যাটসম্যান বাসিত আলী জুলকারনাইনের এত সব কাহিনিকে মনে করছেন ছেলেমানুষি। ম্যাচ-উইনার বা সামনের সারির কোনো ক্রিকেটার না হওয়া সত্ত্বেও জুলকারনাইনকে কেন প্রস্তাব দেওয়া হবে, বুঝতে পারছেন না সাবেক লেগ স্পিনার আবদুল কাদির। আর সাবেক পেসার সরফরাজ নেওয়াজ ‘যথারীতি’ এটিকে বলছেন রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার জন্য জুলকারনাইনের ছলচাতুরী।
গত কয়েক দিনে তাঁর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ‘ঝড়’কেই অবসরের কারণ বলেছেন একটি টেস্ট, চারটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলা এই উইকেটকিপার, ‘যে পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে আমাকে যেতে হচ্ছে, এতে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছি। প্রচণ্ড চাপ আমার ওপর। আমি হুমকি পেয়েছি, আমার পরিবার হুমকি পেয়েছে।’
হুমকিদাতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারেননি জুলকারনাইন। তবে সেই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে, ‘একদিন রাতের খাবার খেতে হোটেলের বাইরে গেলাম, তখন সে এল। বলল, “আমাদের সঙ্গে যোগ দিলে অনেক অর্থ বানাতে পারবে। রাজি না হলে দলে থাকা তো কঠিন হবেই, তোমার জীবনও বিপর্যস্ত করে তুলতে পারি।” আমি জানি না, অন্যদের প্রস্তাব না দিয়ে শুধু আমাকে কেন দেওয়া হলো।’
এর আগে পাকিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল জিয়ো নিউজকে জুলকারনাইন বলেছিলেন, ‘চতুর্থ ওয়ানডেতে আমাকে যা করতে বলা হয়েছিল, আমি করিনি। আর পঞ্চম ওয়ানডেতে তারা যা চেয়েছিল, আমি তাতে রাজি হইনি। বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না। কারণ, আমার পরিবার এখনো পাকিস্তানেই আছে।’
হুমকিদাতা কি তবে পাকিস্তান দল বা দলের সঙ্গে যুক্ত কেউ? জুলকারনাইনের রহস্যময় উত্তর, ‘আমি বলছি না তারাই বা তারা নয়। একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।’
পরিস্থিতির কারণে যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘আমি বলব না ঠিক কোথায় আছি। তবে অবরুদ্ধ নই। এখানকার অভিবাসন কর্মকর্তারা আমাকে অনেক সাহায্য করছেন। তাঁরা বলেছেন একজন আইনজীবী নিয়োগ দিতে। এই মুহূর্তে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার মতো অর্থ আমার নেই।’
টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে পাসপোর্ট নেওয়া ও পাকিস্তানে না গিয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার রহস্যও খোলাসা করেছেন জুলকারনাইন, ‘আমার মনে হয়েছে বোর্ডকে জানালে বা পাকিস্তানে গেলে আমার ও আমার পরিবারের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যেত। কোনো ক্রিকেটারকে বললে হয়তো সেও বিপদে জড়িয়ে পড়ত। এ জন্যই আমি এখানে এসেছি, নয়-দশ বছর ধরেই এখানে আসছি বলে ব্রিটিশ আইন সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। এখানে সুরক্ষা পাওয়া যায়।’
এদিকে একটি সূত্র খবর দিয়েছে, কাল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ও আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার কর্মকর্তারা বাজিকরদের প্রস্তাব পাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন জুলকারনাইনকে। ইংল্যান্ডে আপাতত মাস খানেক থাকার অনুমতি মিলেছে বলেও জানা গেছে।
ভাষ্য শোনার পর মনে হচ্ছে, কী ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যেই আছেন জুলকারনাইন। যদিও তিনি পাশে পাচ্ছেন না পিসিবিকে। বোর্ড উল্টো জানিয়েছে, চুক্তির শর্ত ভাঙার কারণে জুলকারনাইনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে। পিসিবির আইন উপদেষ্টা তাফাজ্জুল রিজভি বলেছেন, ‘সে নিজের সিদ্ধান্তে কাজ করেছে এবং সিদ্ধান্তটি মোটেও বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন হয়নি। হুমকি পেলে সে দলের নিরাপত্তা অফিসারকে জানাতে পারত।’
সাবেক ব্যাটসম্যান বাসিত আলী জুলকারনাইনের এত সব কাহিনিকে মনে করছেন ছেলেমানুষি। ম্যাচ-উইনার বা সামনের সারির কোনো ক্রিকেটার না হওয়া সত্ত্বেও জুলকারনাইনকে কেন প্রস্তাব দেওয়া হবে, বুঝতে পারছেন না সাবেক লেগ স্পিনার আবদুল কাদির। আর সাবেক পেসার সরফরাজ নেওয়াজ ‘যথারীতি’ এটিকে বলছেন রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার জন্য জুলকারনাইনের ছলচাতুরী।
No comments