আমদানি বাড়ায় খাদ্যশস্য খালাস ও সংরক্ষণে সংকট
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে চাল-গমের আমদানি বেড়ে গেছে। প্রায় সোয়া তিন লাখ টন চাল ও গমবাহী ২৫টি জাহাজ এখন বন্দরের জেটি ও বহির্নোঙরে অবস্থান করছে।
আমদানি বেড়ে যাওয়ায় খাদ্যশস্য খালাস ও সংরক্ষণের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম বন্দর, খাদ্য বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ খাদ্যশস্য খালাসের জন্য নির্ধারিত দুটি জেটির পরিবর্তে সর্বোচ্চ চারটি জেটিতে চাল-গম খালাসের অনুমতি দিয়েছে। এর পরও ছোট আকারের একেকটি জাহাজ থেকে চাল-গম খালাস করতে এক মাসের বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। সাধারণত এসব ছোট আকারের জাহাজের খাদ্যশস্য খালাস করে ফিরে যেতে সময় লাগত পাঁচ-ছয় দিন।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত অর্থবছরে মোট আমদানি-রপ্তানির ৬৫ শতাংশই বাল্ক জাহাজে পরিবাহিত হয়েছে। খাদ্যশস্যসহ শিল্পের কাঁচামাল সবই বাল্ক জাহাজে পরিবাহিত হয়। এ কারণে এসব জাহাজ বেশি সময় অবস্থান করলে বন্দরের সার্বিক দক্ষতার সূচকে প্রভাব পড়ে বেশি।
গত অর্থবছরে বাল্ক জাহাজের গড় অবস্থান ছিল ৭ দশমিক ৫৩ দিন। এবার এই হার অনেক বেশি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর আর ইউ আহমেদ বলেন, খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ বেশি আসায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি খাদ্যশস্যবাহী জাহাজকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তাই বেসরকারি খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে বিলম্ব হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে খাদ্যশস্য খালাসের জন্য চার-পাঁচটি জেটি বরাদ্দ করা হয়েছে।
বন্দরের জাহাজের আগমন ও অবস্থানসূচি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বন্দর জেটিতে ভেড়ার অপেক্ষায় বহির্নোঙরে ১৫টি চাল-গমবাহী জাহাজ অবস্থান করছে। বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজ থেকে চাল-গম খালাস হচ্ছে চারটি জাহাজে। এ ছাড়া জেটিতে চাল-গম খালাস হচ্ছে ছয়টি জাহাজ থেকে। এসব জাহাজের তিনটি বন্দরসীমানার বাইরে অবস্থানরত বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি জাহাজ বেশি আসায় বেসরকারি খাদ্যশস্যবাহী আমদানির জাহাজ ২০ দিনের আগে জেটিতে ভেড়ার সুযোগ পাচ্ছে না।
বন্দরে অবস্থানরত চাল-গমের ২৫টি জাহাজের মধ্যে ১৫টিতেই এসেছে সরকারি আমদানির চাল-গম।
এ প্রসঙ্গে টোটাল শিপিং এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বহির্নোঙরে ভেড়ার পর ২০-২৫ দিনের আগে বেসরকারি খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ জেটিতে ভেড়ার সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে জাহাজ পরিচালনাকারীরা এই বন্দরে জাহাজ পাঠাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, খাদ্যশস্য পরিবহনে যে ভাড়া পাচ্ছে, জাহাজ কোম্পানিগুলো তার চেয়ে তিন গুণ ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। ছোট থেকে মাঝারি আকারের বাল্ক জাহাজের প্রতিদিনের ভাড়া ৬ থেকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এই হিসাবে একেকটি জাহাজ গড়ে এক থেকে দুই লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে।
সরকারিভাবে চাল-গম বেশি আমদানি হওয়ায় এসব খাদ্যশস্য সংরক্ষণে সংকটও দেখা দিয়েছে। খাদ্য বিভাগের হিসাবে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট তিন লাখ ৮৫ হাজার টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে ভিয়েতনামের সরকার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এর মধ্যে এসেছে এক লাখ ৪০ হাজার টন। আসার পথে রয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টন চাল।
এই বিপুল পরিমাণ চাল কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে সংকটে আছে খাদ্য বিভাগ। এ পরিস্থিতিতে হালিশহরের কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগারের (সিএসডি) ৩৪টি গুদাম ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বুঝে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর এই নির্দেশনার চিঠিটি জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক খাদ্যনিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে পাঠানো হয়। এই ৩৪টি গুদাম দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম চেম্বারের দখলে রয়েছে। এসব গুদামে প্রায় ৪৬ হাজার টন খাদ্যশস্য রাখার ধারণক্ষমতা আছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্যনিয়ন্ত্রক চিত্তরঞ্জন বেপারী প্রথম আলোকে জানান, খাদ্যশস্য আমদানি বাড়ায় সংরক্ষণের জন্য গুদামের সংকট আছে। তাই এসব গুদামের দখল বুঝে নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হলে এসব গুদামের দখল বুঝে নেওয়া হবে বলে।
আমদানি বেড়ে যাওয়ায় খাদ্যশস্য খালাস ও সংরক্ষণের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম বন্দর, খাদ্য বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ খাদ্যশস্য খালাসের জন্য নির্ধারিত দুটি জেটির পরিবর্তে সর্বোচ্চ চারটি জেটিতে চাল-গম খালাসের অনুমতি দিয়েছে। এর পরও ছোট আকারের একেকটি জাহাজ থেকে চাল-গম খালাস করতে এক মাসের বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। সাধারণত এসব ছোট আকারের জাহাজের খাদ্যশস্য খালাস করে ফিরে যেতে সময় লাগত পাঁচ-ছয় দিন।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত অর্থবছরে মোট আমদানি-রপ্তানির ৬৫ শতাংশই বাল্ক জাহাজে পরিবাহিত হয়েছে। খাদ্যশস্যসহ শিল্পের কাঁচামাল সবই বাল্ক জাহাজে পরিবাহিত হয়। এ কারণে এসব জাহাজ বেশি সময় অবস্থান করলে বন্দরের সার্বিক দক্ষতার সূচকে প্রভাব পড়ে বেশি।
গত অর্থবছরে বাল্ক জাহাজের গড় অবস্থান ছিল ৭ দশমিক ৫৩ দিন। এবার এই হার অনেক বেশি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর আর ইউ আহমেদ বলেন, খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ বেশি আসায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি খাদ্যশস্যবাহী জাহাজকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তাই বেসরকারি খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে বিলম্ব হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে খাদ্যশস্য খালাসের জন্য চার-পাঁচটি জেটি বরাদ্দ করা হয়েছে।
বন্দরের জাহাজের আগমন ও অবস্থানসূচি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বন্দর জেটিতে ভেড়ার অপেক্ষায় বহির্নোঙরে ১৫টি চাল-গমবাহী জাহাজ অবস্থান করছে। বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজ থেকে চাল-গম খালাস হচ্ছে চারটি জাহাজে। এ ছাড়া জেটিতে চাল-গম খালাস হচ্ছে ছয়টি জাহাজ থেকে। এসব জাহাজের তিনটি বন্দরসীমানার বাইরে অবস্থানরত বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি জাহাজ বেশি আসায় বেসরকারি খাদ্যশস্যবাহী আমদানির জাহাজ ২০ দিনের আগে জেটিতে ভেড়ার সুযোগ পাচ্ছে না।
বন্দরে অবস্থানরত চাল-গমের ২৫টি জাহাজের মধ্যে ১৫টিতেই এসেছে সরকারি আমদানির চাল-গম।
এ প্রসঙ্গে টোটাল শিপিং এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বহির্নোঙরে ভেড়ার পর ২০-২৫ দিনের আগে বেসরকারি খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ জেটিতে ভেড়ার সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে জাহাজ পরিচালনাকারীরা এই বন্দরে জাহাজ পাঠাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, খাদ্যশস্য পরিবহনে যে ভাড়া পাচ্ছে, জাহাজ কোম্পানিগুলো তার চেয়ে তিন গুণ ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। ছোট থেকে মাঝারি আকারের বাল্ক জাহাজের প্রতিদিনের ভাড়া ৬ থেকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এই হিসাবে একেকটি জাহাজ গড়ে এক থেকে দুই লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে।
সরকারিভাবে চাল-গম বেশি আমদানি হওয়ায় এসব খাদ্যশস্য সংরক্ষণে সংকটও দেখা দিয়েছে। খাদ্য বিভাগের হিসাবে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট তিন লাখ ৮৫ হাজার টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে ভিয়েতনামের সরকার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এর মধ্যে এসেছে এক লাখ ৪০ হাজার টন। আসার পথে রয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টন চাল।
এই বিপুল পরিমাণ চাল কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে সংকটে আছে খাদ্য বিভাগ। এ পরিস্থিতিতে হালিশহরের কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগারের (সিএসডি) ৩৪টি গুদাম ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বুঝে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর এই নির্দেশনার চিঠিটি জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক খাদ্যনিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে পাঠানো হয়। এই ৩৪টি গুদাম দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম চেম্বারের দখলে রয়েছে। এসব গুদামে প্রায় ৪৬ হাজার টন খাদ্যশস্য রাখার ধারণক্ষমতা আছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্যনিয়ন্ত্রক চিত্তরঞ্জন বেপারী প্রথম আলোকে জানান, খাদ্যশস্য আমদানি বাড়ায় সংরক্ষণের জন্য গুদামের সংকট আছে। তাই এসব গুদামের দখল বুঝে নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হলে এসব গুদামের দখল বুঝে নেওয়া হবে বলে।
No comments