ইরাকে প্রধানমন্ত্রী পদে মালিকির প্রতি সমর্থন শিয়াদের
ইরাকের পার্লামেন্টে শিয়া আইনপ্রণেতাদের প্রধান জোট ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (এনএ) গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে নুরি আল-মালিকির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সম্ভবত এর মাধ্যমে দেশটিতে সাত মাস ধরে চলা রাজনৈতিক অচলাবস্থার একটি অবসান হতে যাচ্ছে। গত ৭ মার্চের নির্বাচনের পর থেকে নতুন সরকার গঠন নিয়ে সেখানে অচলাবস্থা চলে আসছে।
নির্বাচনে ৩২৫ আসনের আইনসভায় ১৫৯টি আসন পেয়েছে এনএ। সরকার গঠনের জন্য তাদের আরও চারটি আসন দরকার। মালিকির নেতৃত্বাধীন স্টেট অব ল জোট ও ইরানপন্থী ইরাকি ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (আইএনএ) একত্র হয়ে এনএ গঠন করে। শিয়াদের এই জোট আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মালিকির প্রতি সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে একক জোট হিসেবে শীর্ষস্থানে থাকা ইরাকিয়া জোট নির্বাচনে ৯১টি আসন পায়। এই জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাবি।
এনএর সদস্য ফালাহ ফাইয়াদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের প্রার্থী হিসেবে মালিকির প্রতি সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। জোটের সদস্যরা একমত হয়ে এ তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন।’
এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। দপ্তরের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহ বোধ করছে। কারণ, ইরাকের রাজনীতিকেরা অবশেষে একটি সরকার গঠনের জন্য পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন।
তবে এনএর পক্ষে সরকার গঠন করাটা সহজসাধ্য না-ও হতে পারে। জোটের অন্যতম দুই শরিক সুপ্রিম ইরাকি ইসলামিক কাউন্সিল (এসআইআইসি) ও আল-ফাধিলা পার্টি প্রার্থী ঠিক করার আলোচনায় অংশ নেয়নি। এ দুই দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ২৭টি আসন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, শিয়ারা সরকার গঠন করলেও সেখানে সুন্নিপ্রধান ইরাকিয়া জোটের অংশীদারি থাকা উচিত। কারণ, এর আগে সুন্নিদের ক্ষোভ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া বর্জনের ঘটনা ইরাকে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ ছিল। এ ব্যাপারে ইরাকিয়া জোটের আইনপ্রণেতা হাসান আলাবি বলেন, ‘ইরাক অনেকটা লেবাননের মতো। এখানে কেউ পছন্দ না করলেও সরকারে সব পক্ষের অংশগ্রহণ থাকতে হবে।’
গত শুক্রবার ইরাকের এই রাজনৈতিক অচলাবস্থা একটি রেকর্ড স্পর্শ করে। নির্বাচনের পর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে না পারার নেদারল্যান্ডের ১৯৭৭ সালের রেকর্ডটি ছুঁয়ে ফেলে তারা। ওই সময় নেদারল্যান্ডের পার্লামেন্ট একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে ২০৮ দিন সময় নিয়েছিল।
নির্বাচনে ৩২৫ আসনের আইনসভায় ১৫৯টি আসন পেয়েছে এনএ। সরকার গঠনের জন্য তাদের আরও চারটি আসন দরকার। মালিকির নেতৃত্বাধীন স্টেট অব ল জোট ও ইরানপন্থী ইরাকি ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (আইএনএ) একত্র হয়ে এনএ গঠন করে। শিয়াদের এই জোট আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মালিকির প্রতি সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে একক জোট হিসেবে শীর্ষস্থানে থাকা ইরাকিয়া জোট নির্বাচনে ৯১টি আসন পায়। এই জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাবি।
এনএর সদস্য ফালাহ ফাইয়াদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের প্রার্থী হিসেবে মালিকির প্রতি সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। জোটের সদস্যরা একমত হয়ে এ তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন।’
এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। দপ্তরের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহ বোধ করছে। কারণ, ইরাকের রাজনীতিকেরা অবশেষে একটি সরকার গঠনের জন্য পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন।
তবে এনএর পক্ষে সরকার গঠন করাটা সহজসাধ্য না-ও হতে পারে। জোটের অন্যতম দুই শরিক সুপ্রিম ইরাকি ইসলামিক কাউন্সিল (এসআইআইসি) ও আল-ফাধিলা পার্টি প্রার্থী ঠিক করার আলোচনায় অংশ নেয়নি। এ দুই দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ২৭টি আসন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, শিয়ারা সরকার গঠন করলেও সেখানে সুন্নিপ্রধান ইরাকিয়া জোটের অংশীদারি থাকা উচিত। কারণ, এর আগে সুন্নিদের ক্ষোভ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া বর্জনের ঘটনা ইরাকে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ ছিল। এ ব্যাপারে ইরাকিয়া জোটের আইনপ্রণেতা হাসান আলাবি বলেন, ‘ইরাক অনেকটা লেবাননের মতো। এখানে কেউ পছন্দ না করলেও সরকারে সব পক্ষের অংশগ্রহণ থাকতে হবে।’
গত শুক্রবার ইরাকের এই রাজনৈতিক অচলাবস্থা একটি রেকর্ড স্পর্শ করে। নির্বাচনের পর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে না পারার নেদারল্যান্ডের ১৯৭৭ সালের রেকর্ডটি ছুঁয়ে ফেলে তারা। ওই সময় নেদারল্যান্ডের পার্লামেন্ট একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে ২০৮ দিন সময় নিয়েছিল।
No comments