মার্কিন গবেষকদের ভয়ংকর পরীক্ষা
১৯৪০-এর দশকে গুয়াতেমালায় মানসিক রোগী এবং কারাবন্দীদের ওপর একটি ভয়ংকর গবেষণা চালিয়েছিলেন মার্কিন গবেষকেরা। এতে কয়েক শ মানুষ যৌনরোগ গনোরিয়া ও সিফিলিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিষয়টি জানার পর গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনাকে ‘রোমহর্ষক’ ও ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট আলভারো কোলোম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
গনোরিয়া ও সিফিলিস প্রতিরোধে নতুন উদ্ভাবিত পেনিসিলিন কার্যকর কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য গুয়াতেমালার লোকজনের ওপর পরীক্ষা চালান মার্কিন গবেষক জন কাটলার। ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এ গবেষণা চালানো হয়। কিন্তু যাঁদের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়, তাঁরা বিষয়টি জানতেন না। কারণ তাঁদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।
মার্কিন জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক কাটলার এবং তাঁর সহকর্মীরা প্রথমে যৌনকর্মীদের শরীরে গনোরিয়া ও সিফিলিসের জীবাণু প্রবেশ করান। এরপর কারাবন্দী, সৈনিক ও মানসিক রোগীদের ওই যৌনকর্মীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের সুযোগ করে দেন। এ ছাড়া সরাসরি ইনজেকশনের মাধ্যমে তাঁদের শরীরে এই দুটি যৌনরোগের জীবাণু প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় দেড় হাজার মানুষের মধ্যে এই পরীক্ষা চালানো হয়। তাঁদের অনেকেই গনোরিয়া ও সিফিলিসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। পরে তাঁদের ওপর পেনিসিলিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয় এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের সবাই সুস্থ হয়েছিলেন কি না, তা জানা যায়নি।
মার্কিন গবেষকদের এই কুকর্মের বিষয়টি প্রথম জানাজানি হয় ওয়েলেসলি কলেজের অধ্যাপক সুজান রিভারবির অনুসন্ধানে। পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কাইভসের নথিপত্র ঘেঁটে বিষয়টি জানতে পারেন চিকিৎসক রিভারবি। তিনি জানিয়েছেন, গুয়াতেমালার সরকার এবং তৎকালীন মার্কিন শল্যচিকিৎসক জেনারেল টমাস পারান বিষয়টি জানতেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের কাছ থেকে গত বৃহস্পতিবার একটি ফোন পেয়ে এই গবেষণার বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট কোলোম। এরপর গত শুক্রবার তিনি বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন গবেষকদের এই কাজকে ‘রোমহর্ষক’ ও ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গুয়াতেমালার গণমাধ্যম এবং দেশের লোকজন খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছে। এ নিয়ে আদালতে যাওয়ার অধিকার আমাদের আছে।’
প্রেসিডেন্ট কোলোমকে ফোন করে গুয়াতেমালার জনগণ এবং যাঁদের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাঁদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
একই সঙ্গে ক্ষমা চেয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যাথলিন সেবিলিয়াস। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, ‘এই ঘটনা ঘটেছিল ৬৪ বছর আগে। এর পরও জনস্বাস্থ্যের নাম করে এ ধরনের দায়িত্বহীন গবেষণা চালানোর ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। আমরা গভীর অনুতপ্ত। গুয়াতেমালার জনগণ এবং যাঁদের ওপর পরীক্ষাটি চালানো হয়েছিল, তাঁদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের পরিচালক ফ্রান্সিস এস কলিনস বলেন, এই গবেষণা চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। যাঁদের ওপর গবেষণা চালানো হয়েছে, তাঁদের সম্মতি ছাড়া এ ধরনের গবেষণা বর্তমানে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
গনোরিয়া ও সিফিলিস প্রতিরোধে নতুন উদ্ভাবিত পেনিসিলিন কার্যকর কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য গুয়াতেমালার লোকজনের ওপর পরীক্ষা চালান মার্কিন গবেষক জন কাটলার। ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এ গবেষণা চালানো হয়। কিন্তু যাঁদের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়, তাঁরা বিষয়টি জানতেন না। কারণ তাঁদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।
মার্কিন জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক কাটলার এবং তাঁর সহকর্মীরা প্রথমে যৌনকর্মীদের শরীরে গনোরিয়া ও সিফিলিসের জীবাণু প্রবেশ করান। এরপর কারাবন্দী, সৈনিক ও মানসিক রোগীদের ওই যৌনকর্মীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের সুযোগ করে দেন। এ ছাড়া সরাসরি ইনজেকশনের মাধ্যমে তাঁদের শরীরে এই দুটি যৌনরোগের জীবাণু প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় দেড় হাজার মানুষের মধ্যে এই পরীক্ষা চালানো হয়। তাঁদের অনেকেই গনোরিয়া ও সিফিলিসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। পরে তাঁদের ওপর পেনিসিলিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয় এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের সবাই সুস্থ হয়েছিলেন কি না, তা জানা যায়নি।
মার্কিন গবেষকদের এই কুকর্মের বিষয়টি প্রথম জানাজানি হয় ওয়েলেসলি কলেজের অধ্যাপক সুজান রিভারবির অনুসন্ধানে। পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কাইভসের নথিপত্র ঘেঁটে বিষয়টি জানতে পারেন চিকিৎসক রিভারবি। তিনি জানিয়েছেন, গুয়াতেমালার সরকার এবং তৎকালীন মার্কিন শল্যচিকিৎসক জেনারেল টমাস পারান বিষয়টি জানতেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের কাছ থেকে গত বৃহস্পতিবার একটি ফোন পেয়ে এই গবেষণার বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট কোলোম। এরপর গত শুক্রবার তিনি বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন গবেষকদের এই কাজকে ‘রোমহর্ষক’ ও ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গুয়াতেমালার গণমাধ্যম এবং দেশের লোকজন খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছে। এ নিয়ে আদালতে যাওয়ার অধিকার আমাদের আছে।’
প্রেসিডেন্ট কোলোমকে ফোন করে গুয়াতেমালার জনগণ এবং যাঁদের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাঁদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
একই সঙ্গে ক্ষমা চেয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যাথলিন সেবিলিয়াস। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, ‘এই ঘটনা ঘটেছিল ৬৪ বছর আগে। এর পরও জনস্বাস্থ্যের নাম করে এ ধরনের দায়িত্বহীন গবেষণা চালানোর ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। আমরা গভীর অনুতপ্ত। গুয়াতেমালার জনগণ এবং যাঁদের ওপর পরীক্ষাটি চালানো হয়েছিল, তাঁদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের পরিচালক ফ্রান্সিস এস কলিনস বলেন, এই গবেষণা চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। যাঁদের ওপর গবেষণা চালানো হয়েছে, তাঁদের সম্মতি ছাড়া এ ধরনের গবেষণা বর্তমানে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
No comments