কাজে যোগ দিয়েছেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট, পরিস্থিতি স্বাভাবিক
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া গত শুক্রবার আবার কাজে যোগ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় প্রতিবেশী দেশগুলো সীমান্ত খুলে দিয়েছে। তবে রাজধানী কিটোতে জরুরি অবস্থা এখনো বহাল রয়েছে। বিদ্রোহের পর সেখানে এক সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
সরকারের ব্যয় সংকোচন-নীতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিদ্রোহের চেষ্টা করে সে দেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একাংশ। বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট কোরেয়াকে একটি হাসপাতালে ১২ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। পরে প্রেসিডেন্টের অনুগত সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আটজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২৭৪ জন।
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে কড়া সতর্কাবস্থায় থাকা একজন সেনাসদস্য বলেছেন, ‘প্রাসাদে কেউ ঢুকতে পারবে না। এটা শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশ।’ প্রাসাদের আশপাশে প্রেসিডেন্টের সমর্থকদেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিদায়ী পুলিশপ্রধান ফ্রেডি মার্টিনেজ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বর্তমানে সুস্থ ও নিরাপদে আছেন।
তিনি বলেন, অপ্রীতিকর এ ঘটনার পর তিনি পদত্যাগ করেছেন। নতুন পুলিশপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন প্যাট্রিসিও ফ্র্যাঙ্কো।
উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডউইন জ্যারিন বলেন, প্রায় ৪০ হাজার পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৬০০ জন বিদ্রোহে অংশ নিয়েছে। তবে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অন্তত দুই হাজার ৩০০ পুলিশ বিদ্রোহে যোগ দেয়।
কিটোতে শুক্রবার তুলনামূলক শান্ত অবস্থা বিরাজ করে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আইনসভায়ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে।
প্রেসিডেন্ট কোয়েরা এ ঘটনাকে অভ্যুত্থান বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, বিরোধী দল, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর একটি অংশ এর জন্য দায়ী। বিদ্রোহীরা তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বিরোধী নেতা লুসিও গুতিয়েরেজকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তাঁর লোকজনই এ ঘটনায় উসকানি দিয়েছে।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিরোধী নেতা গুতিয়েরেজ টেলিভিশনে এক ভাষণে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্টের অভিযোগ কাপুরুষোচিত, ডাহা মিথ্যা ও নিষ্ঠুর।’
প্রেসিডেন্ট কোরেয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রতিবেশী দেশ পেরু ও কলম্বিয়া তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় শুক্রবার ফের সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে।
আঞ্চলিক সংস্থা অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস (ওএএস) শুক্রবার আর্জেন্টিনায় জরুরি বৈঠক করে। বৈঠকে নেতারা ইকুয়েডরের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
সরকারের ব্যয় সংকোচন-নীতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিদ্রোহের চেষ্টা করে সে দেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একাংশ। বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট কোরেয়াকে একটি হাসপাতালে ১২ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। পরে প্রেসিডেন্টের অনুগত সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আটজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২৭৪ জন।
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে কড়া সতর্কাবস্থায় থাকা একজন সেনাসদস্য বলেছেন, ‘প্রাসাদে কেউ ঢুকতে পারবে না। এটা শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশ।’ প্রাসাদের আশপাশে প্রেসিডেন্টের সমর্থকদেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিদায়ী পুলিশপ্রধান ফ্রেডি মার্টিনেজ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বর্তমানে সুস্থ ও নিরাপদে আছেন।
তিনি বলেন, অপ্রীতিকর এ ঘটনার পর তিনি পদত্যাগ করেছেন। নতুন পুলিশপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন প্যাট্রিসিও ফ্র্যাঙ্কো।
উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডউইন জ্যারিন বলেন, প্রায় ৪০ হাজার পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৬০০ জন বিদ্রোহে অংশ নিয়েছে। তবে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অন্তত দুই হাজার ৩০০ পুলিশ বিদ্রোহে যোগ দেয়।
কিটোতে শুক্রবার তুলনামূলক শান্ত অবস্থা বিরাজ করে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আইনসভায়ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে।
প্রেসিডেন্ট কোয়েরা এ ঘটনাকে অভ্যুত্থান বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, বিরোধী দল, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর একটি অংশ এর জন্য দায়ী। বিদ্রোহীরা তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বিরোধী নেতা লুসিও গুতিয়েরেজকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তাঁর লোকজনই এ ঘটনায় উসকানি দিয়েছে।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিরোধী নেতা গুতিয়েরেজ টেলিভিশনে এক ভাষণে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্টের অভিযোগ কাপুরুষোচিত, ডাহা মিথ্যা ও নিষ্ঠুর।’
প্রেসিডেন্ট কোরেয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রতিবেশী দেশ পেরু ও কলম্বিয়া তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় শুক্রবার ফের সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে।
আঞ্চলিক সংস্থা অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস (ওএএস) শুক্রবার আর্জেন্টিনায় জরুরি বৈঠক করে। বৈঠকে নেতারা ইকুয়েডরের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
No comments