মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পত্তির হিসাব -ওয়েবসাইট ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে
আগামী জুনের মধ্যে মন্ত্রী ও সাংসদদের সম্পত্তির হিসাব দেওয়া হবে বলে আবারও আশার বাণী শুনিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর এ বক্তব্য দেশবাসীকে কতটা আশ্বস্ত করবে, তা নির্ভর করছে এর বাস্তবায়নের ওপর। মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই মন্ত্রী ও সাংসদদের সম্পত্তির হিসাব দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তারপর এ নিয়ে আর উচ্চবাচ্য নেই। মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পত্তির হিসাব দেওয়া অনুগ্রহের বিষয় নয়। এটি ছিল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার।
এর অবশ্য পটভূমিও আছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে চারবার ও পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগের আমলে একবার বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বহু রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যেসব দুর্নীতির মামলা হয়েছিল, তাও ভিত্তিহীন বলা যাবে না। যদিও আইনগত ত্রুটি ও সুষ্ঠু তদন্তের অভাবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ছাড়া পেয়ে গেছেন। এ প্রেক্ষাপটে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। জনগণও এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিল। তাদের প্রত্যাশা ছিল, সরকার গঠনের পরপরই মন্ত্রী-সাংসদেরা সম্পত্তির হিসাব দেবেন এবং জনসমক্ষে তা প্রকাশ করবেন। তাতে বোঝা যেত, ক্ষমতায় আসার আগে কার কী সম্পত্তি ছিল এবং গত এক বছরে সেই সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে, না কমেছে।
মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পত্তির হিসাব দিতে দেরি করার সমর্থনে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচনের আগে অধিকাংশ প্রার্থী কমিশনের হলফনামায় যে তথ্য দিয়েছেন, এর সত্যতা প্রশ্নাতীত নয়। কোটিপতি প্রার্থীও বার্ষিক আয় পাঁচ লাখ টাকা বলে চালিয়ে দিতে দ্বিধা করেন না। নির্বাচন কমিশনে তাঁদের দেওয়া হিসাবের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে দেওয়া হিসাবের যথেষ্ট গরমিল রয়েছে। আবার অনেক কিছু রাজস্ব বোর্ডের হিসাবেও গোপন রাখা হয়। সম্প্রতি প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা গেছে, একাধিক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ সম্পত্তির হিসাব গোপন করে রাজউকের প্লট বাগিয়ে নিয়েছেন। এটি কেবল অনৈতিক নয়, বেআইনিও। জনগণ আইন প্রণয়নের জন্য যাঁদের সংসদে পাঠিয়েছেন, তাঁরাই যদি বেআইনি কাজ করেন, এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না।
নির্বাচনী অঙ্গীকার সত্ত্বেও শুরুতেই কেন তাঁরা সম্পত্তির হিসাব দিলেন না, সেটাই প্রশ্ন। দেরিতে হলেও অর্থমন্ত্রী আগামী জুনের মধ্যে মন্ত্রী ও সাংসদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, জনগণ তার বাস্তবায়ন দেখতে চাইবে। আর শুধু মন্ত্রী-সাংসদদের নয়, তাদের পোষ্যদের সম্পত্তির হিসাবও প্রকাশ করতে হবে। প্রতিবছর তা দিতে হবে, এতে জনগণ জানতে পারবে বছর বছর তাদের সম্পত্তি কী হারে বাড়ছে বা কমছে। স্বচ্ছতার স্বার্থে ও দুর্নীতি ঠেকাতে এটা করতে হবে। ফলে যদি নিছক লোক-দেখানো ও নিয়ম রক্ষার জন্য সম্পত্তির হিসাব দেওয়া হয়, তবে তা কোনো কাজে আসবে না। মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পত্তির হিসাবের নামে কোনো ধরনের চালাকি জনগণের কাছে গহণযোগ্য হবে। হিসাবটি অবশ্যই জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। সরকারের নিজস্ব ওয়েবসাইট ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে, যাতে তারা তা যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারে। কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দেন, তবে কী শাস্তি তিনি পাবেন, সেটাও পরিষ্কার করা জরুরি।
এর অবশ্য পটভূমিও আছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে চারবার ও পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগের আমলে একবার বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বহু রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যেসব দুর্নীতির মামলা হয়েছিল, তাও ভিত্তিহীন বলা যাবে না। যদিও আইনগত ত্রুটি ও সুষ্ঠু তদন্তের অভাবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ছাড়া পেয়ে গেছেন। এ প্রেক্ষাপটে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। জনগণও এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিল। তাদের প্রত্যাশা ছিল, সরকার গঠনের পরপরই মন্ত্রী-সাংসদেরা সম্পত্তির হিসাব দেবেন এবং জনসমক্ষে তা প্রকাশ করবেন। তাতে বোঝা যেত, ক্ষমতায় আসার আগে কার কী সম্পত্তি ছিল এবং গত এক বছরে সেই সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে, না কমেছে।
মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পত্তির হিসাব দিতে দেরি করার সমর্থনে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচনের আগে অধিকাংশ প্রার্থী কমিশনের হলফনামায় যে তথ্য দিয়েছেন, এর সত্যতা প্রশ্নাতীত নয়। কোটিপতি প্রার্থীও বার্ষিক আয় পাঁচ লাখ টাকা বলে চালিয়ে দিতে দ্বিধা করেন না। নির্বাচন কমিশনে তাঁদের দেওয়া হিসাবের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে দেওয়া হিসাবের যথেষ্ট গরমিল রয়েছে। আবার অনেক কিছু রাজস্ব বোর্ডের হিসাবেও গোপন রাখা হয়। সম্প্রতি প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা গেছে, একাধিক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ সম্পত্তির হিসাব গোপন করে রাজউকের প্লট বাগিয়ে নিয়েছেন। এটি কেবল অনৈতিক নয়, বেআইনিও। জনগণ আইন প্রণয়নের জন্য যাঁদের সংসদে পাঠিয়েছেন, তাঁরাই যদি বেআইনি কাজ করেন, এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না।
নির্বাচনী অঙ্গীকার সত্ত্বেও শুরুতেই কেন তাঁরা সম্পত্তির হিসাব দিলেন না, সেটাই প্রশ্ন। দেরিতে হলেও অর্থমন্ত্রী আগামী জুনের মধ্যে মন্ত্রী ও সাংসদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, জনগণ তার বাস্তবায়ন দেখতে চাইবে। আর শুধু মন্ত্রী-সাংসদদের নয়, তাদের পোষ্যদের সম্পত্তির হিসাবও প্রকাশ করতে হবে। প্রতিবছর তা দিতে হবে, এতে জনগণ জানতে পারবে বছর বছর তাদের সম্পত্তি কী হারে বাড়ছে বা কমছে। স্বচ্ছতার স্বার্থে ও দুর্নীতি ঠেকাতে এটা করতে হবে। ফলে যদি নিছক লোক-দেখানো ও নিয়ম রক্ষার জন্য সম্পত্তির হিসাব দেওয়া হয়, তবে তা কোনো কাজে আসবে না। মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পত্তির হিসাবের নামে কোনো ধরনের চালাকি জনগণের কাছে গহণযোগ্য হবে। হিসাবটি অবশ্যই জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। সরকারের নিজস্ব ওয়েবসাইট ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে, যাতে তারা তা যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারে। কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দেন, তবে কী শাস্তি তিনি পাবেন, সেটাও পরিষ্কার করা জরুরি।
No comments