পিছু হটে গেছে তালেবান
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে তালেবানবিরোধী অভিযানের তৃতীয় দিনে অভিযানের আওতাধীন বেশির ভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী। ওই এলাকা থেকে তালেবান যোদ্ধারা পিছু হটে গেছে। গতকাল সোমবার বাহিনীর একজন জেনারেল এ দাবি করেন।
গতকাল বিকেল পর্যন্ত একজন বিদেশি সেনার নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন ন্যাটো কর্মকর্তারা। এ নিয়ে অভিযানে মোট সাতজন বিদেশি সেনার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হলো।
আফগান সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ অধিনায়ক জেনারেল আমিনুল্লাহ পাতিয়ানি বলেন, ‘মারজাহ ও নাদ আলি শহরের বেশির ভাগ এলাকা জোট বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। ওই দুই শহরের বেশির ভাগ এলাকা এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তালেবান যোদ্ধারা ওই সব এলাকা ছেড়ে গেছে। কিন্তু সেখানে পেতে রাখা বোমার হুমকি রয়ে গেছে।’
গত শনিবার তালেবান জঙ্গি ও মাদক পাচারকারী নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় হেলমান্দ উপত্যকার মারজাহ শহরে এই ‘অপারেশন মুশতারাক’ নামের অভিযান শুরু হয়। এ অভিযান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নতুন আফগাননীতির প্রথম পরীক্ষা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও আফগানিস্তানের ১৫ হাজার সেনার সমন্বয়ে শুরু করা এ অভিযান ২০০১ সালে তালেবান শাসনের পতনের পর সে দেশে বৃহত্তম অভিযান।
অভিযানে অংশ নেওয়া সেনারা মারজাহ শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সময় তালেবান জঙ্গিদের গুলির মুখে পড়ে। প্রতিপক্ষরা সেনাদের বিরুদ্ধে পপিখেতের আড়াল থেকে গুলি ছোড়ে। সেনারাও পাল্টা গুলির ছোড়ে। কিছুক্ষণ পর তালেবান জঙ্গিরা পিছু হটে।
পশ্চিমা নেতা ও সামরিক অধিনায়কেরা দাবি করেছেন, অভিযান সঠিক পথেই এগোচ্ছে এবং অভিযানের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। ওই এলাকায় আবার আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ন্যাটোর দাবি, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের এ এলাকাটি তালেবান জঙ্গিদের শেষ শক্ত ঘাঁটিগুলোর একটি।
জেনারেল আমিনুল্লাহ বলেন, ‘আশা করছি, আজই অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।’ তিনি জানান, অভিযানে বেশ কয়েকজন তালেবান জঙ্গি নিহত হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা তিনি জানাতে পারেননি। সামরিক বাহিনীর অধিনায়কেরা জানিয়েছেন, সেনারা পেতে রাখা বোমা অপসারণ করছে।
গত রোববার ন্যাটো বাহিনীর রকেট হামলায় ১২ জন সাধারণ আফগান নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এই হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ন্যাটো। এ বিষয়ে আফগান প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনাটি শোনার পর প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই তাত্ক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল বিকেল পর্যন্ত একজন বিদেশি সেনার নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন ন্যাটো কর্মকর্তারা। এ নিয়ে অভিযানে মোট সাতজন বিদেশি সেনার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হলো।
আফগান সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ অধিনায়ক জেনারেল আমিনুল্লাহ পাতিয়ানি বলেন, ‘মারজাহ ও নাদ আলি শহরের বেশির ভাগ এলাকা জোট বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। ওই দুই শহরের বেশির ভাগ এলাকা এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তালেবান যোদ্ধারা ওই সব এলাকা ছেড়ে গেছে। কিন্তু সেখানে পেতে রাখা বোমার হুমকি রয়ে গেছে।’
গত শনিবার তালেবান জঙ্গি ও মাদক পাচারকারী নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় হেলমান্দ উপত্যকার মারজাহ শহরে এই ‘অপারেশন মুশতারাক’ নামের অভিযান শুরু হয়। এ অভিযান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নতুন আফগাননীতির প্রথম পরীক্ষা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও আফগানিস্তানের ১৫ হাজার সেনার সমন্বয়ে শুরু করা এ অভিযান ২০০১ সালে তালেবান শাসনের পতনের পর সে দেশে বৃহত্তম অভিযান।
অভিযানে অংশ নেওয়া সেনারা মারজাহ শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সময় তালেবান জঙ্গিদের গুলির মুখে পড়ে। প্রতিপক্ষরা সেনাদের বিরুদ্ধে পপিখেতের আড়াল থেকে গুলি ছোড়ে। সেনারাও পাল্টা গুলির ছোড়ে। কিছুক্ষণ পর তালেবান জঙ্গিরা পিছু হটে।
পশ্চিমা নেতা ও সামরিক অধিনায়কেরা দাবি করেছেন, অভিযান সঠিক পথেই এগোচ্ছে এবং অভিযানের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। ওই এলাকায় আবার আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ন্যাটোর দাবি, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের এ এলাকাটি তালেবান জঙ্গিদের শেষ শক্ত ঘাঁটিগুলোর একটি।
জেনারেল আমিনুল্লাহ বলেন, ‘আশা করছি, আজই অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।’ তিনি জানান, অভিযানে বেশ কয়েকজন তালেবান জঙ্গি নিহত হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা তিনি জানাতে পারেননি। সামরিক বাহিনীর অধিনায়কেরা জানিয়েছেন, সেনারা পেতে রাখা বোমা অপসারণ করছে।
গত রোববার ন্যাটো বাহিনীর রকেট হামলায় ১২ জন সাধারণ আফগান নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এই হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ন্যাটো। এ বিষয়ে আফগান প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনাটি শোনার পর প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই তাত্ক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
No comments