পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদীদের হামলায় ২০ জওয়ান নিহত by অমর সাহা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ক্যাম্পে মাওবাদীদের হামলায় ২০ জওয়ান নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় চারজন মাওবাদীও নিহত হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের বেলপাহাড়ির শিলদার পুলিশ ফাঁড়িতে স্থাপিত যৌথ বাহিনীর ক্যাম্পে ওই হামলা চালানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ৩০-৩৫ সদস্যের একটি মাওবাদী দল দুটি মোটরসাইকেল ও দুটি পিকআপ ভ্যানে করে ক্যাম্পে উপস্থিত হয়। ক্যাম্পে তখন ৫১ জন জওয়ান অবস্থান করছিলেন। অতর্কিত হামলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জওয়ানেরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে মাওবাদীরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ক্যাম্পে বেশ কিছু জওয়ান আটকা পড়েন। গোলাগুলির মুখে বের হতে না পেরে তাদের মধ্যে ২০ জন অগ্নিদগ্ধ হন। এরপর মাওবাদীরা পুলিশ ও জওয়ানদের অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চারজন মাওবাদীর লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, সন্ধ্যার পর মাওবাদীরা জঙ্গলের পথ ধরে ঝাড়খন্ডের দিকে গা ঢাকা দিয়েছে।
পুলিশ দাবি করেছে, মাওবাদীদের এই আক্রমণ পরিকল্পিত। আক্রমণ শুরুর আগেই তারা ক্যাম্পে ঢোকার বিভিন্ন সড়কে মাইন পেতে রাখে। গোলাগুলির সময় দুজন মাওবাদী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ।
মাওবাদীদের হামলার সময় রাজধানী নয়াদিল্লিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বিশেষ করে পুনেতে জঙ্গি হামলা ও মাওবাদীদের উত্থান বিষয়ে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির বৈঠক চলছিল।
হামলার পর মাওবাদী নেতা কিষেনজি কলকাতার সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনে জানিয়ে দেন, তাঁরাই হামলা চালিয়েছেন শিলদা যৌথ বাহিনীর ক্যাম্পে। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে শিক্ষা দিতেই তাঁরা এ হামলা চালান।
কিষেনজি আরও বলেন, আমেরিকার কথাতেই কেন্দ্রীয় সরকার মাওবাদীদের ওপর যৌথ অভিযানের উদ্যোগ নিয়েছে। সে লক্ষ্যেই এবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা-উপদেষ্টা এম কে নারায়ণনকে।
সরকারকে হুঁশিয়ার করে কিষেনজি বলেন, ‘মাওবাদীদের ওপর যৌথ বাহিনীর অপারেশন গ্রিন হান্ট বন্ধ করার এখনো সময় আছে। নইলে ভবিষ্যতেও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে শিক্ষা দিতে আমরা পিছপা হব না।’
এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গে এত বড় হামলা চালাল মাওবাদীরা। এর আগে ২০ অক্টোবর দুপুরে তারা হামলা চালিয়েছিল একই জেলার সাকরাইল থানায়। তাদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল দুই পুলিশ কর্মকর্তার। মাওবাদীরা ওই সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও (ওসি) অপহরণ করেছিল। পরে অবশ্য কারারুদ্ধ মাওবাদীদের জামিনের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছিল তাঁকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ৩০-৩৫ সদস্যের একটি মাওবাদী দল দুটি মোটরসাইকেল ও দুটি পিকআপ ভ্যানে করে ক্যাম্পে উপস্থিত হয়। ক্যাম্পে তখন ৫১ জন জওয়ান অবস্থান করছিলেন। অতর্কিত হামলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জওয়ানেরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে মাওবাদীরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ক্যাম্পে বেশ কিছু জওয়ান আটকা পড়েন। গোলাগুলির মুখে বের হতে না পেরে তাদের মধ্যে ২০ জন অগ্নিদগ্ধ হন। এরপর মাওবাদীরা পুলিশ ও জওয়ানদের অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চারজন মাওবাদীর লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, সন্ধ্যার পর মাওবাদীরা জঙ্গলের পথ ধরে ঝাড়খন্ডের দিকে গা ঢাকা দিয়েছে।
পুলিশ দাবি করেছে, মাওবাদীদের এই আক্রমণ পরিকল্পিত। আক্রমণ শুরুর আগেই তারা ক্যাম্পে ঢোকার বিভিন্ন সড়কে মাইন পেতে রাখে। গোলাগুলির সময় দুজন মাওবাদী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ।
মাওবাদীদের হামলার সময় রাজধানী নয়াদিল্লিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বিশেষ করে পুনেতে জঙ্গি হামলা ও মাওবাদীদের উত্থান বিষয়ে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির বৈঠক চলছিল।
হামলার পর মাওবাদী নেতা কিষেনজি কলকাতার সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনে জানিয়ে দেন, তাঁরাই হামলা চালিয়েছেন শিলদা যৌথ বাহিনীর ক্যাম্পে। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে শিক্ষা দিতেই তাঁরা এ হামলা চালান।
কিষেনজি আরও বলেন, আমেরিকার কথাতেই কেন্দ্রীয় সরকার মাওবাদীদের ওপর যৌথ অভিযানের উদ্যোগ নিয়েছে। সে লক্ষ্যেই এবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা-উপদেষ্টা এম কে নারায়ণনকে।
সরকারকে হুঁশিয়ার করে কিষেনজি বলেন, ‘মাওবাদীদের ওপর যৌথ বাহিনীর অপারেশন গ্রিন হান্ট বন্ধ করার এখনো সময় আছে। নইলে ভবিষ্যতেও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে শিক্ষা দিতে আমরা পিছপা হব না।’
এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গে এত বড় হামলা চালাল মাওবাদীরা। এর আগে ২০ অক্টোবর দুপুরে তারা হামলা চালিয়েছিল একই জেলার সাকরাইল থানায়। তাদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল দুই পুলিশ কর্মকর্তার। মাওবাদীরা ওই সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও (ওসি) অপহরণ করেছিল। পরে অবশ্য কারারুদ্ধ মাওবাদীদের জামিনের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছিল তাঁকে।
No comments