পাকিস্তানে আইনজীবীদের আদালত বর্জন
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধান বিচারপতি ইফতেখার মাহমুদ চৌধুরীর মধ্যে আবার শুরু হওয়া বিরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার সে দেশের আইনজীবীরা আদালত বর্জন ও প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছেন। প্রেসিডেন্ট জারদারি প্রধান বিচারপতির অনুমোদন ছাড়াই গত শনিবার বিকেলে দুজন বিচারক নিয়োগ দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
গতকাল কয়েক শ আইনজীবী আদালত বর্জন করে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের (এসসিবিএ) ঘোষিত ধর্মঘট কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেন আইনজীবীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরে ৩০০ আইনজীবী মিছিল নিয়ে পাঞ্জাব আইনসভা ভবনের সামনে যান এবং সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন, ‘জারদারি নিপাত যাক’! এ ছাড়া পেশোয়ারে ১০০ জন আইনজীবী জারদারি-বিরোধী স্লোগান দেন এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। কোয়েটা শহরের আইনজীবীরাও গতকাল আদালত বর্জন করেন।
প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতির সাম্প্রতিক এ বিরোধকে বড় করে দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। গত রোববার গিলানি সাংবাদিকদের বলেন, দেশে গণতন্ত্রের প্রতি কোনো হুমকি নেই। দেশ বা দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিও হুমকি নেই।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী গিলানির এ সংকট সমাধানের চেষ্টায় তেমন কোনো লাভ হবে বলে মনে হয় না। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিচারপতিদের এ অবস্থান তালেবান ও আল-কায়েদা জঙ্গি নির্মূলে পাকিস্তানের চেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
এর আগে শনিবার দুই বিচারক নিয়োগের প্রেসিডেন্টের নির্দেশ স্থগিত করে দেন সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের একটি প্যানেল এক আদেশে জানায়, এ নিয়োগ স্থগিত করা হলো। কারণ, প্রেসিডেন্ট জারদারি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ না করে দুই বিচারক নিয়োগ দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।
পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ২০০৭ সালে প্রধান বিচারপতি ইফতেখার মাহমুদ চৌধুরীকে বরখাস্ত করেন। ২০০৮ সালে জারদারি ক্ষমতা গ্রহণের পর ইফতেখারকে পুনর্বহালের দাবিতে বিচারকেরা আন্দোলন শুরু করলে দেশটির সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। অবশেষে গত বছর মার্চে ইফতেখারকে তাঁর পদে বহাল করতে বাধ্য হন জারদারি।
গতকাল কয়েক শ আইনজীবী আদালত বর্জন করে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের (এসসিবিএ) ঘোষিত ধর্মঘট কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেন আইনজীবীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরে ৩০০ আইনজীবী মিছিল নিয়ে পাঞ্জাব আইনসভা ভবনের সামনে যান এবং সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন, ‘জারদারি নিপাত যাক’! এ ছাড়া পেশোয়ারে ১০০ জন আইনজীবী জারদারি-বিরোধী স্লোগান দেন এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। কোয়েটা শহরের আইনজীবীরাও গতকাল আদালত বর্জন করেন।
প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতির সাম্প্রতিক এ বিরোধকে বড় করে দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। গত রোববার গিলানি সাংবাদিকদের বলেন, দেশে গণতন্ত্রের প্রতি কোনো হুমকি নেই। দেশ বা দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিও হুমকি নেই।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী গিলানির এ সংকট সমাধানের চেষ্টায় তেমন কোনো লাভ হবে বলে মনে হয় না। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিচারপতিদের এ অবস্থান তালেবান ও আল-কায়েদা জঙ্গি নির্মূলে পাকিস্তানের চেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
এর আগে শনিবার দুই বিচারক নিয়োগের প্রেসিডেন্টের নির্দেশ স্থগিত করে দেন সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের একটি প্যানেল এক আদেশে জানায়, এ নিয়োগ স্থগিত করা হলো। কারণ, প্রেসিডেন্ট জারদারি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ না করে দুই বিচারক নিয়োগ দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।
পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ২০০৭ সালে প্রধান বিচারপতি ইফতেখার মাহমুদ চৌধুরীকে বরখাস্ত করেন। ২০০৮ সালে জারদারি ক্ষমতা গ্রহণের পর ইফতেখারকে পুনর্বহালের দাবিতে বিচারকেরা আন্দোলন শুরু করলে দেশটির সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। অবশেষে গত বছর মার্চে ইফতেখারকে তাঁর পদে বহাল করতে বাধ্য হন জারদারি।
No comments