মুসলিমদের ওপর চীনের অকথ্য নির্যাতন প্রকাশ্যে আনলেন বন্দিশিবিরের প্রশিক্ষক
অনেকদিন
ধরেই সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর চীনের কমিউনিস্ট
পার্টি শাসিত সরকারের নিপীড়নের কথা জোরোশোরে শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও মানাবাধিকার সংগঠনের প্রতিবেদন থেকে এরইমধ্যে
জানা গেছে, প্রশিক্ষণকেন্দ্রের নামে তাদের আটক করে নির্যাতনের মধ্য দিয়ে
নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চীনা কমিউনিস্ট
পার্টির মতাদর্শে দীক্ষিত করার চেষ্টা চলছে। আটককেন্দ্রের বন্দিদের ভাষ্য
থেকে নিপীড়নের প্রচণ্ডতার কথা জানা গেছে আগেই। তবে এবার প্রথমবারের মতো
ওইসব আটককেন্দ্রে কর্মরতদের একজন সেখানকার অকথ্য নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন।
একটি আটককেন্দ্রে চাকরি করা সারায়গুল সাউতবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম
সিএনএন-এর কাছে উইঘুর মুসলিমদের ওপর চলমান নিপীড়নের ভয়াবহতা বর্ণনা করেছেন।
চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলমানের বাস। তাদের প্রতি চীনের আচরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রয়েছে বেইজিং। গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় সেখানকার ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে ওই অঞ্চল সফরের প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছিল। যুক্তরাজ্য সরকারও এনিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চীনকে তাদের মনোভাব পরিবর্তনের তাগিদ দিয়েছে।
জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ উইঘুর মুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মত স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার ওপর এখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে যে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপক হারে আটকের শিকার হচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোও জাতিসংঘের কাছে এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। উইঘুর মুসলিমদের গণহারে আটকের অভিযোগ এনেছে তারা। তবে চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
চীন উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন ও তাদের মানবাধিকার হরণের অভিযোগ অস্বীকার করলেও কথিত ওইসব প্রশিক্ষণকেন্দ্রের একটিতে চাকরি করা সারায়গুল সাউত বলছেন ভিন্ন কথা। সাউতবে বলেন, ‘আমি জানতাম সেখানে সবাই দোষী না। কিন্তু তাদের কষ্ট লাঘবে আমার কিছুই করার ছিলো না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নেই যে একদিন এই সত্য প্রকাশ করবো।’ ২০১৮ সালে জিনজিয়াংয়ের ক্যাম্প থেকে চাকরি ছেড়ে পালিয়ে আসেন সাউতবে। এখন কাজাখস্তানে তার পরিবারের সঙ্গে থাকেন। এখানেই রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রার্থনা করেছেন। সেখান থেকেই জানিয়েছেন তার অভিজ্ঞতার কথা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জিনজিয়াং প্রদেশে চীনা সরকার উইঘুর মুসলিমদের বেশকয়েকটি ক্যাম্পে আটক রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্র দফতরের হিসেব অনুযায়ী বিগত কয়েক বছর ধরে প্রায় ২০ লাখ মানুষ সেখানে বন্দি রয়েছে। উইঘুর ছাড়াও কাজাখ, কিরগিজ মুসলিমরাও সেখানে বন্দি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ ও মানবধিকার সংগঠন জানিয়েছে এই ক্যাম্পগুলো আটকশিবির ছাড়া কিছুই নয়। তবে চীন এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে, এটা স্বেচ্ছামূলক উন্মক্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। তবে সাউতবে বলেছেন, ‘চীন বিশ্বের কাছে মিথ্যা বলছে। তাদের দাবি এগুলো আটককেন্দ্র নয় বরং প্রশিক্ষণকেন্দ্র। কিন্তু এটা মিথ্যা কথা। আমি নিজের চোখে দেখেছি সেখানে কি হয়।’ সাউতবের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া চীনের দাবি, তিনি ঘটনা বানিয়ে বানিয়ে বলেছেন। আর চীন সরকারের কাছে এখনও আর্থিকভাবে ঋণী তিনি। তবে সেখানকার কয়েকজন বন্দিও নিপীড়নের প্রচণ্ডতার কথা জানিয়েছেন সিএনএনকে। তারা বলেছেন, শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে তাদের নির্যাতন করে রাজনৈতিক ভাবাদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলমানের বাস। তাদের প্রতি চীনের আচরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রয়েছে বেইজিং। গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় সেখানকার ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে ওই অঞ্চল সফরের প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছিল। যুক্তরাজ্য সরকারও এনিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চীনকে তাদের মনোভাব পরিবর্তনের তাগিদ দিয়েছে।
জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ উইঘুর মুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মত স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার ওপর এখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে যে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপক হারে আটকের শিকার হচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোও জাতিসংঘের কাছে এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। উইঘুর মুসলিমদের গণহারে আটকের অভিযোগ এনেছে তারা। তবে চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
চীন উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন ও তাদের মানবাধিকার হরণের অভিযোগ অস্বীকার করলেও কথিত ওইসব প্রশিক্ষণকেন্দ্রের একটিতে চাকরি করা সারায়গুল সাউত বলছেন ভিন্ন কথা। সাউতবে বলেন, ‘আমি জানতাম সেখানে সবাই দোষী না। কিন্তু তাদের কষ্ট লাঘবে আমার কিছুই করার ছিলো না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নেই যে একদিন এই সত্য প্রকাশ করবো।’ ২০১৮ সালে জিনজিয়াংয়ের ক্যাম্প থেকে চাকরি ছেড়ে পালিয়ে আসেন সাউতবে। এখন কাজাখস্তানে তার পরিবারের সঙ্গে থাকেন। এখানেই রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রার্থনা করেছেন। সেখান থেকেই জানিয়েছেন তার অভিজ্ঞতার কথা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জিনজিয়াং প্রদেশে চীনা সরকার উইঘুর মুসলিমদের বেশকয়েকটি ক্যাম্পে আটক রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্র দফতরের হিসেব অনুযায়ী বিগত কয়েক বছর ধরে প্রায় ২০ লাখ মানুষ সেখানে বন্দি রয়েছে। উইঘুর ছাড়াও কাজাখ, কিরগিজ মুসলিমরাও সেখানে বন্দি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ ও মানবধিকার সংগঠন জানিয়েছে এই ক্যাম্পগুলো আটকশিবির ছাড়া কিছুই নয়। তবে চীন এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে, এটা স্বেচ্ছামূলক উন্মক্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। তবে সাউতবে বলেছেন, ‘চীন বিশ্বের কাছে মিথ্যা বলছে। তাদের দাবি এগুলো আটককেন্দ্র নয় বরং প্রশিক্ষণকেন্দ্র। কিন্তু এটা মিথ্যা কথা। আমি নিজের চোখে দেখেছি সেখানে কি হয়।’ সাউতবের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া চীনের দাবি, তিনি ঘটনা বানিয়ে বানিয়ে বলেছেন। আর চীন সরকারের কাছে এখনও আর্থিকভাবে ঋণী তিনি। তবে সেখানকার কয়েকজন বন্দিও নিপীড়নের প্রচণ্ডতার কথা জানিয়েছেন সিএনএনকে। তারা বলেছেন, শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে তাদের নির্যাতন করে রাজনৈতিক ভাবাদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
No comments