পার্লামেন্ট স্থগিত করা নিয়ে বৃটিশ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু
গত
মাসে পাঁচ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে বৃটেনজুড়ে তীব্র
বিতর্কের সৃষ্টি করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে একাধিক আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। গত সপ্তাহে এমন এক মামলার
রায়ে সিদ্ধান্তটিকে বেআইনি ঘোষণা করে স্কটল্যান্ডের সেশন কোর্ট। এ ছাড়া
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস’র হাইকোর্ট অপর এক মামলার রায়ে
জানায়, পার্লামেন্ট স্থগিতের বিষয়টি রাজনৈতিক। এটি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ
ক্ষমতার আওতাধীন, যা বিচারিক ক্ষমতার বাইরে। এ বিষয়ে আদালত কোনো সিদ্ধান্ত
দিতে পারবে না। দুই আদালতের এমন রায়ের বিরুদ্ধে লন্ডনে বৃটেনের সুপ্রিম
কোর্টে আপিল করা হয়। মঙ্গলবার দুই আপিল নিয়ে শুনানি শুরু হয়। ধারণা করা
হচ্ছে, অন্তত তিনদিন ধরে এই শুনানি চলবে। মঙ্গলবারের শুনানিতে ইংল্যান্ডের
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলকারী আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতকে বলেন, পাঁচ
সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত করে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রিত্বের বিগত ৫০
বছরের ইতিহাসের ক্ষমতার সবচেয়ে বড় অপব্যবহার করেছেন জনসন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন
(ইইউ) থেকে বৃটেনের বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিট নিয়ে বিরোধী দল যাতে সরকারের
সিদ্ধান্তের সমালোচনা না করতে পারে সেজন্য পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের ১১ বিচারকের একটি বেঞ্চ দুই আপিলের শুনানি পর্যালোচনা
করবেন। এ খবর দিয়েছে দ্য টাইমস।
সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লেডি হ্যাল জানান, ঐতিহাসিক এই মামলার রায় ব্রেক্সিটের সময়সীমার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। শুনানির আগ দিয়ে দেয়া বক্তব্যে বৃটেনের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ এই বিচারক বলেন, আদালত পার্লামেন্ট স্থগিতের বৈধতা নির্ধারণ নিয়ে কাজ করবে। ব্রেক্সিট সংশ্লিষ্ট বিস্তৃত রাজনৈতিক ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানাবে না।
সুপ্রিম কোর্টে এই শোডাউন নিয়ে জনসনকে উদ্ধৃত করে দ্য টাইমস জানায়, পার্লামেন্ট স্থগিত করার উদ্দেশ্য ছিল পার্লামেন্ট খোলার দিন নতুন বিধানিক এজেন্ডা তুলে ধরতে সরকারকে সুযোগ দেয়া। বিচার ব্যবস্থার ওপর তার পূর্ণ ভরসা রয়েছে।
পার্লামেন্ট স্থগিতের ঘোষণার পরপরই স্কটল্যান্ডের সেশন কোর্টে জনসনের সিদ্ধান্তকে অবৈধ দাবি করে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেতৃত্বে মামলা করে ৭৫ এমপি। গত সপ্তাহে তাদের পক্ষে রায় দেয় কোর্ট। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে সরকারপক্ষ। অন্যদিকে, ইইউপন্থি অধিকারকর্মী ও ব্যবসায়ী গিনা মিলার ইংল্যান্ডের হাইকোর্টে জনসনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন। তবে তার বিপক্ষে রায় দেয় আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন তিনি।
মিলারের আইনজীবী লর্ড প্যানিক মঙ্গলবার আদালতকে বলেন, বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে আরো কোনো প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতার এমন অপব্যবহার করেননি, যেমনটা জনসন করেছেন। আধুনিক বিচারিক পর্যালোচনার নীতি তৈরির শুরু থেকে এমন ঘটনা ঘটেনি। জনসন পার্লামেন্টের কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছেন।
প্যানিক আরো বলেন, জনসন রানীকে পাঁচ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, তিনি চাননি এই সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন তার বিস্তৃত ক্ষমতা অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন তখন তার সরকারের নীতিমালায় পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ এড়াতে এমনটি করেছেন তিনি। এই স্থগিতাবস্থার সময়সীমা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এই সময়সীমাই প্রমাণ করে যে, প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টকে নীরব করে দিতে চেয়েছেন।
মিলারের আইনজীবী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক। পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ এড়ানোর জন্য এমন নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগ সংবিধানের মৌলিক আইনের বিরোধিতা করে। এটা আমাদের সাংবিধানিক আইনের মূলনীতি বিরোধী।
এদিন, সুপ্রিম কোর্টের বাইরে বিক্ষোভ করেছে জনসনের সিদ্ধান্তের বিরোধীরা। প্রায় ৪০ জন বিক্ষোভকারী, ‘গণতন্ত্র রক্ষা কর’, ‘পার্লামেন্ট খুলে দাও’ ও ‘তারা রানীকে ভুল বুঝিয়েছে’ স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ১১ জনের বেঞ্চ গঠিত হলো।
সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লেডি হ্যাল জানান, ঐতিহাসিক এই মামলার রায় ব্রেক্সিটের সময়সীমার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। শুনানির আগ দিয়ে দেয়া বক্তব্যে বৃটেনের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ এই বিচারক বলেন, আদালত পার্লামেন্ট স্থগিতের বৈধতা নির্ধারণ নিয়ে কাজ করবে। ব্রেক্সিট সংশ্লিষ্ট বিস্তৃত রাজনৈতিক ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানাবে না।
সুপ্রিম কোর্টে এই শোডাউন নিয়ে জনসনকে উদ্ধৃত করে দ্য টাইমস জানায়, পার্লামেন্ট স্থগিত করার উদ্দেশ্য ছিল পার্লামেন্ট খোলার দিন নতুন বিধানিক এজেন্ডা তুলে ধরতে সরকারকে সুযোগ দেয়া। বিচার ব্যবস্থার ওপর তার পূর্ণ ভরসা রয়েছে।
পার্লামেন্ট স্থগিতের ঘোষণার পরপরই স্কটল্যান্ডের সেশন কোর্টে জনসনের সিদ্ধান্তকে অবৈধ দাবি করে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেতৃত্বে মামলা করে ৭৫ এমপি। গত সপ্তাহে তাদের পক্ষে রায় দেয় কোর্ট। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে সরকারপক্ষ। অন্যদিকে, ইইউপন্থি অধিকারকর্মী ও ব্যবসায়ী গিনা মিলার ইংল্যান্ডের হাইকোর্টে জনসনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন। তবে তার বিপক্ষে রায় দেয় আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন তিনি।
মিলারের আইনজীবী লর্ড প্যানিক মঙ্গলবার আদালতকে বলেন, বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে আরো কোনো প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতার এমন অপব্যবহার করেননি, যেমনটা জনসন করেছেন। আধুনিক বিচারিক পর্যালোচনার নীতি তৈরির শুরু থেকে এমন ঘটনা ঘটেনি। জনসন পার্লামেন্টের কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছেন।
প্যানিক আরো বলেন, জনসন রানীকে পাঁচ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, তিনি চাননি এই সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন তার বিস্তৃত ক্ষমতা অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন তখন তার সরকারের নীতিমালায় পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ এড়াতে এমনটি করেছেন তিনি। এই স্থগিতাবস্থার সময়সীমা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এই সময়সীমাই প্রমাণ করে যে, প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টকে নীরব করে দিতে চেয়েছেন।
মিলারের আইনজীবী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক। পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ এড়ানোর জন্য এমন নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগ সংবিধানের মৌলিক আইনের বিরোধিতা করে। এটা আমাদের সাংবিধানিক আইনের মূলনীতি বিরোধী।
এদিন, সুপ্রিম কোর্টের বাইরে বিক্ষোভ করেছে জনসনের সিদ্ধান্তের বিরোধীরা। প্রায় ৪০ জন বিক্ষোভকারী, ‘গণতন্ত্র রক্ষা কর’, ‘পার্লামেন্ট খুলে দাও’ ও ‘তারা রানীকে ভুল বুঝিয়েছে’ স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ১১ জনের বেঞ্চ গঠিত হলো।
No comments