রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্ষণ করা হয়েছে আমাকে: বৃটিশ লেবার পার্টির প্রার্থীর অভিযোগ
বৃটেনের
নর্থ ওয়েলসের অ্যাবারকনিতে বিরোধী লেবার দলের প্রার্থী এমিলি ওয়েন। তিনি
অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। একই উদ্দেশে তাকে
মদ্যপ বানানো হয়েছিল। একটি পাব-এর বাইরে লেবার দলের কর্মী ও সাংবাদিক ওয়েন
জোনসের ওপর হামলার পর তিনি নিজের এই তথ্য প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নিজের ফেসবুক পেজে এমিলি ওয়েন এসব কথা জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন
স্কাই নিউজ।
এমিলি ওয়েন বলেছেন, গত বছর তাকে মদ্যপ করে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ওই সময় তিনি এ বিষয়টি প্রকাশ করেন নি। কিন্তু আগস্টে লন্ডনের একটি পাব-এর বাইরে সাংবাদিক ওয়েন জোনসের ওপর হামলার পর আর মুখ বন্ধ রাখতে পারেননি তিনি। ওয়েন জোনস বলেছেন, তার ওপর পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে উগ্র ডানপন্থিরা। এর প্রেক্ষিতে এমিলি ওয়েন বলেছেন, আমি সহ সব দলের নির্বাচনের প্রার্থী এবং এমপিরা প্রতিদিন ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়টি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
২৫ বছর বয়সী এমিলি জোনস কেন এক বছর আগে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের কথা প্রকাশ করেন নি? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন। তবে তাকে কে ধর্ষণ করেছিল তার নাম বলেননি। তিনি বলেছেন, বহুবিধ কারণে তিনি ধর্ষণের বিষয়টি পুলিশে রিপোর্ট করেন নি। তার ভাষায়, আমার ক্ষোভ ছিল। কিন্তু আমি সেই ক্ষোভ থেকে ধর্ষককে ক্ষমা করে দিয়েছি। তা সত্ত্বেও আমার কিছু বলার আছে। এমন কিছু মানুষ আছে তাদেরকে আমি ক্ষমা করতে পারি না। সাংবাদিক ওয়েন জোনস হামলার বিষয়ে কথা বলতে তার প্লাটফর্ম ব্যবহার করেছেন। আমি আমার প্লাটফর্ম ব্যবহার করবো। কথা বলবো। কথা বলবো সেইসব মানুষের জন্য যারা মনে করেন তাদের কথা কেউ শোনে না। প্রতিদিন উগ্র ডানপন্থিদের হামলার শিকারে পরিণত হন হাজার হাজার মানুষ। তাই আমি বসে থাকতে এবং এসব ঘটতে দিতে পারি না। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সমালোচনা করেন। বলেন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি, যাকে উগ্র ডানপন্থিরা তাদের নেতা হিসেবে দেখে।
এমিলি জোনস বলেন, রাস্তাঘাটে হামলার শিকার হচ্ছে মানুষজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘৃণাপ্রসূত কথাবার্তা তো এখন সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। দেশজুড়ে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এটাই বাস্তবতা এবং এটাই ঘটছে এখন। আমাদের নেতারা একে আর অপ্রাসঙ্গিক বলে প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন না। যদি তারা তা করেন, তাহলে আমাদেরকে একত্রিত হয়ে অবশ্যই এ ধারা থামাতে হবে। বরিস জনসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রকৃত নেতৃত্ব প্রদর্শন করুন। বন্ধ করুন ঘৃণা। সংবাদ শিরোনাম হতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উদ্ভট মন্তব্য করা বন্ধ করুন। এমন মন্তব্য আপনার গুরুত্বর ক্ষতি করবে। আপনার সমর্থকদেরকে অনলাইনে এবং শারীরিকভাবে ভয়াবহ হামলা বন্ধ করতে বলুন।
এমিলি ওয়েন বলেছেন, গত বছর তাকে মদ্যপ করে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ওই সময় তিনি এ বিষয়টি প্রকাশ করেন নি। কিন্তু আগস্টে লন্ডনের একটি পাব-এর বাইরে সাংবাদিক ওয়েন জোনসের ওপর হামলার পর আর মুখ বন্ধ রাখতে পারেননি তিনি। ওয়েন জোনস বলেছেন, তার ওপর পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে উগ্র ডানপন্থিরা। এর প্রেক্ষিতে এমিলি ওয়েন বলেছেন, আমি সহ সব দলের নির্বাচনের প্রার্থী এবং এমপিরা প্রতিদিন ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়টি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
২৫ বছর বয়সী এমিলি জোনস কেন এক বছর আগে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের কথা প্রকাশ করেন নি? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন। তবে তাকে কে ধর্ষণ করেছিল তার নাম বলেননি। তিনি বলেছেন, বহুবিধ কারণে তিনি ধর্ষণের বিষয়টি পুলিশে রিপোর্ট করেন নি। তার ভাষায়, আমার ক্ষোভ ছিল। কিন্তু আমি সেই ক্ষোভ থেকে ধর্ষককে ক্ষমা করে দিয়েছি। তা সত্ত্বেও আমার কিছু বলার আছে। এমন কিছু মানুষ আছে তাদেরকে আমি ক্ষমা করতে পারি না। সাংবাদিক ওয়েন জোনস হামলার বিষয়ে কথা বলতে তার প্লাটফর্ম ব্যবহার করেছেন। আমি আমার প্লাটফর্ম ব্যবহার করবো। কথা বলবো। কথা বলবো সেইসব মানুষের জন্য যারা মনে করেন তাদের কথা কেউ শোনে না। প্রতিদিন উগ্র ডানপন্থিদের হামলার শিকারে পরিণত হন হাজার হাজার মানুষ। তাই আমি বসে থাকতে এবং এসব ঘটতে দিতে পারি না। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সমালোচনা করেন। বলেন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি, যাকে উগ্র ডানপন্থিরা তাদের নেতা হিসেবে দেখে।
এমিলি জোনস বলেন, রাস্তাঘাটে হামলার শিকার হচ্ছে মানুষজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘৃণাপ্রসূত কথাবার্তা তো এখন সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। দেশজুড়ে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এটাই বাস্তবতা এবং এটাই ঘটছে এখন। আমাদের নেতারা একে আর অপ্রাসঙ্গিক বলে প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন না। যদি তারা তা করেন, তাহলে আমাদেরকে একত্রিত হয়ে অবশ্যই এ ধারা থামাতে হবে। বরিস জনসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রকৃত নেতৃত্ব প্রদর্শন করুন। বন্ধ করুন ঘৃণা। সংবাদ শিরোনাম হতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উদ্ভট মন্তব্য করা বন্ধ করুন। এমন মন্তব্য আপনার গুরুত্বর ক্ষতি করবে। আপনার সমর্থকদেরকে অনলাইনে এবং শারীরিকভাবে ভয়াবহ হামলা বন্ধ করতে বলুন।
No comments