প্রকল্পের কেনাকাটায় সতর্ক থাকার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর
সমপ্রতি
বিভিন্ন প্রকল্পের পণ্য কেনায় অস্বাভাবিক মূল্যের চিত্র উঠে এসেছে। এরকম
পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের পণ্যের দাম নির্ধারণে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন
কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই নির্দেশনা
দেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রকল্পে
বিভিন্ন পণ্যের অস্বাভাবিক দামের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে
আনেন তিনি। তখন প্রধানমন্ত্রী পণ্যের দাম নির্ধারণে আরও সতর্ক হওয়ার
নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, ‘বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন আইটেম থাকে, পণ্যের দাম থাকে, সেগুলোর দাম আরও সাবধানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। তাড়াহুড়া করে, দ্রুত কাজ করতে গিয়ে সেগুলো ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হয় না। এমনটি যাতে না হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা অহেতুক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে চাই না। আমরা পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের পণ্যের মূল্য নির্ধারণে সাবধান হতে নির্দেশনা দিয়েছি। প্রকল্পের যে কোনো পণ্যের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাজার যাচাই করে দাম নির্ধারণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, রাস্তাঘাট প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে রাস্তার পাশে গরিব মানুষের বাড়ি, জমি রক্ষা করতে হবে। একেবারেই না পারা গেলে যথাসময়ে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হবে, সেটা দিয়ে শুধু আমদানিই নয়, ভবিষ্যতে হয়তো আমরা রপ্তানিও করতে পারব। প্রকল্প তদারকি করতে আইএমইডিকে শক্তিশালী করতেও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
একনেক সভায় প্রায় ৮ হাজার ৯৬৮ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘বিভাগীয় শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্প। এর মধ্যে সরকার দেবে প্রায় আট হাজার ৯৫২ কোটি ৫৯ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘ময়মনসিংহ (রঘুরামপুর)-ফুলপুর-নকলা-শেরপুর (আর-৩৭১) আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প ও ‘রাজশাহী-নওহাটা-চৌমাসিয়া সড়কের বিন্দুর মোড় হতে বিমানবন্দর হয়ে নওহাটা ব্রিজ পর্যন্ত পেভমেন্ট চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘রাজশাহী মহানগরীর উপশহর মোড় থেকে সোনাদিঘী মোড় এবং মালোপাড়া মোড় হতে সাগরপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ‘আশ্রয়ণ-২ শীর্ষক’ প্রকল্প, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘জুনোসিস এবং আন্ত সীমান্তীয় প্রাণিরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ গবেষণা’ প্রকল্প, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ‘স্ট্রেংদেনিং মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন ক্যাপাবিলিটিজ অব আইএমইড (এসএমইসিআই)’ প্রকল্প, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ভারতের ঝাড়খণ্ড হতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি করার লক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর থেকে মনাকষা সীমান্ত পর্যন্ত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ’ প্রকল্প এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘বিভাগীয় শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্প।
বেড়েছে এডিপি বাস্তবায়নের হার: চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরে দেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হার বেড়েছে। এ অর্থবছরের আগস্ট পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। টাকার অংকে যার পরিমাণ ৯ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। যা গত (২০১৮-১৯) অর্থবছরে এ সময়ে ছিল ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। টাকার অংকে যার পরিমাণ ৬ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাস্তবায়নের হার বেড়েছে দশমিক ৯৯ শতাংশ, টাকার অংকে ৩ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, ‘বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন আইটেম থাকে, পণ্যের দাম থাকে, সেগুলোর দাম আরও সাবধানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। তাড়াহুড়া করে, দ্রুত কাজ করতে গিয়ে সেগুলো ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হয় না। এমনটি যাতে না হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা অহেতুক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে চাই না। আমরা পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের পণ্যের মূল্য নির্ধারণে সাবধান হতে নির্দেশনা দিয়েছি। প্রকল্পের যে কোনো পণ্যের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাজার যাচাই করে দাম নির্ধারণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, রাস্তাঘাট প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে রাস্তার পাশে গরিব মানুষের বাড়ি, জমি রক্ষা করতে হবে। একেবারেই না পারা গেলে যথাসময়ে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হবে, সেটা দিয়ে শুধু আমদানিই নয়, ভবিষ্যতে হয়তো আমরা রপ্তানিও করতে পারব। প্রকল্প তদারকি করতে আইএমইডিকে শক্তিশালী করতেও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
একনেক সভায় প্রায় ৮ হাজার ৯৬৮ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘বিভাগীয় শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্প। এর মধ্যে সরকার দেবে প্রায় আট হাজার ৯৫২ কোটি ৫৯ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘ময়মনসিংহ (রঘুরামপুর)-ফুলপুর-নকলা-শেরপুর (আর-৩৭১) আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প ও ‘রাজশাহী-নওহাটা-চৌমাসিয়া সড়কের বিন্দুর মোড় হতে বিমানবন্দর হয়ে নওহাটা ব্রিজ পর্যন্ত পেভমেন্ট চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘রাজশাহী মহানগরীর উপশহর মোড় থেকে সোনাদিঘী মোড় এবং মালোপাড়া মোড় হতে সাগরপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ‘আশ্রয়ণ-২ শীর্ষক’ প্রকল্প, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘জুনোসিস এবং আন্ত সীমান্তীয় প্রাণিরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ গবেষণা’ প্রকল্প, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ‘স্ট্রেংদেনিং মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন ক্যাপাবিলিটিজ অব আইএমইড (এসএমইসিআই)’ প্রকল্প, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ভারতের ঝাড়খণ্ড হতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি করার লক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর থেকে মনাকষা সীমান্ত পর্যন্ত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ’ প্রকল্প এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘বিভাগীয় শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্প।
বেড়েছে এডিপি বাস্তবায়নের হার: চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরে দেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হার বেড়েছে। এ অর্থবছরের আগস্ট পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। টাকার অংকে যার পরিমাণ ৯ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। যা গত (২০১৮-১৯) অর্থবছরে এ সময়ে ছিল ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। টাকার অংকে যার পরিমাণ ৬ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাস্তবায়নের হার বেড়েছে দশমিক ৯৯ শতাংশ, টাকার অংকে ৩ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা।
No comments