আফগান প্রেসিডেন্টের নির্বাচনী সমাবেশে হামলায় নিহত ২৬
আফগানিস্তানের
প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণির নির্বাচনী সমাবেশে এক শক্তিশালী আত্মঘাতী বোমা
হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪০ জনের বেশি। রাজধানী কাবুল
থেকে উত্তরে পারওয়ান প্রদেশের চারিকারে আয়োজিত ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখার
কথা ছিল গণির। হামলার সময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন তিনি। তবে তিনি অক্ষত
রয়েছেন। তাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এদিকে, কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের
কাছে আরেক বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে ওই বিস্ফোরণে হতাহতের কোনো তথ্য জানা যায়নি।
উভয় হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান। এ খবর
দিয়েছে দ্য টাইমস। খবরে বলা হয়, দুই সপ্তাহ পর আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে গোষ্ঠী তালিবান জানিয়েছে, তারা
নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটাবে। দলটি দাবি করে, বর্তমানে আফগানিস্তানের ৭০ শতাংশ
ভূ-খণ্ডই তাদের দখলে।
প্রাদেশিক একটি হাসপাতালের প্রধান আবদুল কাসিম সাঙ্গিন বলেছেন, মঙ্গলবারের হামলায় নারী ও শিশুরাও নিহত হয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনী সমাবেশে হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা নাসরাত রাহিমি বলেন, বোমারু একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে সমাবেশের চেকপয়েন্টে প্রবেশ করে ও নিজেকে উড়িয়ে দেয়। হতাহতের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ।
এদিকে, কাবুলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের কাছে অপর একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে। বিস্ফোরণটি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তালেবান দাবি করেছে, দূতাবাসের কাছে হওয়া হামলাটিও আত্মঘাতী হামলা ছিল।
উল্লেখ্য, সমপ্রতি তালেবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি মাসে তালেবানের এক হামলায় এক মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর আলোচনা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রামপ। তার আলোচনা বাতিলের ঘোষণার পর মার্কিন সেনাদের ওপর তালিবানের হামলার হার বেড়েছে। সোমবার জঙ্গি গোষ্ঠীটির অপর এক হামলায় আরো এক মার্কিন সেনার প্রাণহানি হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট ১৭ জন মার্কিন সেনা মারা গেছেন।
তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। চুক্তির প্রাথমিক খসড়াও তৈরি করা হয়েছিল। আফগানিস্তান থেকে পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর বদলে দেশটিতে আমেরিকার জন্য হুমকিজনক এমন কোনো জঙ্গি দলকে আশ্রয় না দেয়ার প্রতিশ্রুতি করেছিল তালেবান।
প্রাদেশিক একটি হাসপাতালের প্রধান আবদুল কাসিম সাঙ্গিন বলেছেন, মঙ্গলবারের হামলায় নারী ও শিশুরাও নিহত হয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনী সমাবেশে হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা নাসরাত রাহিমি বলেন, বোমারু একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে সমাবেশের চেকপয়েন্টে প্রবেশ করে ও নিজেকে উড়িয়ে দেয়। হতাহতের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ।
এদিকে, কাবুলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের কাছে অপর একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে। বিস্ফোরণটি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তালেবান দাবি করেছে, দূতাবাসের কাছে হওয়া হামলাটিও আত্মঘাতী হামলা ছিল।
উল্লেখ্য, সমপ্রতি তালেবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি মাসে তালেবানের এক হামলায় এক মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর আলোচনা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রামপ। তার আলোচনা বাতিলের ঘোষণার পর মার্কিন সেনাদের ওপর তালিবানের হামলার হার বেড়েছে। সোমবার জঙ্গি গোষ্ঠীটির অপর এক হামলায় আরো এক মার্কিন সেনার প্রাণহানি হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট ১৭ জন মার্কিন সেনা মারা গেছেন।
তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। চুক্তির প্রাথমিক খসড়াও তৈরি করা হয়েছিল। আফগানিস্তান থেকে পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর বদলে দেশটিতে আমেরিকার জন্য হুমকিজনক এমন কোনো জঙ্গি দলকে আশ্রয় না দেয়ার প্রতিশ্রুতি করেছিল তালেবান।
No comments