ম্যালেরিয়া রোধে অভূতপূর্ব সাফল্য বিজ্ঞানীদের
ম্যালেরিয়া
রোধে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে বিজ্ঞানীরা। সায়েন্স ম্যাগাজিনে
প্রকাশিত এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এক
ধরনের ছত্রাকের জিনগত বিকাশ ঘটিয়ে ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশা নিধনের
পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও বুরকিনা ফাসোর বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা
জানিয়েছেন, জিনগতভাবে বিকশিত ওই ছত্রাক মাকড়সার জালের মতো এমন এক ধরনের
বিষক্রিয়া ঘটাতে সক্ষম, যার দ্বারা ম্যালেরিয়াবাহী মশার ৯৯ ভাগ নিধন সম্ভব।
স্ত্রী প্রজাতির অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর রক্ত পান করলে ওই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ২১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। বছরে চার লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ ম্যালেরিয়া। তবে বুরকিনা ফাসোতে পরিচালিত পরীক্ষায় দেখা গেছে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ ম্যালেরিয়াবাহী মশা নিধনে সক্ষম জিনগতভাবে বিকশিত ওই ছত্রাক। গবেষকরা বলছেন, মশা বিলুপ্ত করা তাদের উদ্দেশ্য নয় বরং তারা ম্যালেরিয়ার বিস্তার রোধ করতে চান।
ম্যালেরিয়া রোগের বিস্তার রোধে জিনগতভাবে বিকশিত এই ছত্রাক উদ্ভাবনের গবেষণাটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বুরকিনা ফাসোর আইআরএসএস রিসার্চ ইনস্টিটিউট। গবেষণায় তারা দেখেছেন, প্রাকৃতিকভাবে মেটারহিজিয়াম পিঙসেয়েনসে (Metarhizium pingshaense) নামের এক প্রকারের ছত্রাক দ্বারা অ্যানোফিলিস প্রজাতির স্ত্রী মশা আক্রান্ত হয়। পরবর্তী ধাপে জিনগতভাবে এই ছত্রাকের সক্ষমতা বাড়ানো হয়। ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রেমন্ড সেন্ট লেগার বলেন, ‘এগুলো খুবই নমনীয়, খুব সহজেই সেগুলোর জেনেটিক প্রকৌশল করা যায়’।
তিনি জানান এসব ছত্রাক এক প্রকার বিষে পরিণত হয় যেগুলো অস্ট্রেলিয়ার এক প্রজাতির মাকড়সার শিরায় পাওয়া যায়। ছত্রাকের নিজস্ব জিনগত কোডে এই বিষ তৈরির জেনেটিক নির্দেশনা প্রদানের পর একবার বিষক্রিয়ার উপাদান সৃষ্টি হতে শুরু করলে তা মশার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। প্রফেসর লেগার বলেন, মাকড়সা তার বিষ দাঁত ব্যবহার করে পতঙ্গদের চামড়ার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিষ ঢেলে দেয়। আমরা মাকড়সার ওই বিষদাঁতকেই মেটারহিজিয়াম ছত্রাক দিয়ে প্রতিস্থাপন করেছি। পরীক্ষাগারে জিনগতভাবে বিকশিত হওয়ার কারণে ওই ছত্রাক মাকড়সার বিষদাঁতের চেয়ে আরও দ্রুত মশা নিধনে সক্ষম।
স্ত্রী প্রজাতির অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর রক্ত পান করলে ওই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ২১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। বছরে চার লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ ম্যালেরিয়া। তবে বুরকিনা ফাসোতে পরিচালিত পরীক্ষায় দেখা গেছে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ ম্যালেরিয়াবাহী মশা নিধনে সক্ষম জিনগতভাবে বিকশিত ওই ছত্রাক। গবেষকরা বলছেন, মশা বিলুপ্ত করা তাদের উদ্দেশ্য নয় বরং তারা ম্যালেরিয়ার বিস্তার রোধ করতে চান।
ম্যালেরিয়া রোগের বিস্তার রোধে জিনগতভাবে বিকশিত এই ছত্রাক উদ্ভাবনের গবেষণাটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বুরকিনা ফাসোর আইআরএসএস রিসার্চ ইনস্টিটিউট। গবেষণায় তারা দেখেছেন, প্রাকৃতিকভাবে মেটারহিজিয়াম পিঙসেয়েনসে (Metarhizium pingshaense) নামের এক প্রকারের ছত্রাক দ্বারা অ্যানোফিলিস প্রজাতির স্ত্রী মশা আক্রান্ত হয়। পরবর্তী ধাপে জিনগতভাবে এই ছত্রাকের সক্ষমতা বাড়ানো হয়। ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রেমন্ড সেন্ট লেগার বলেন, ‘এগুলো খুবই নমনীয়, খুব সহজেই সেগুলোর জেনেটিক প্রকৌশল করা যায়’।
তিনি জানান এসব ছত্রাক এক প্রকার বিষে পরিণত হয় যেগুলো অস্ট্রেলিয়ার এক প্রজাতির মাকড়সার শিরায় পাওয়া যায়। ছত্রাকের নিজস্ব জিনগত কোডে এই বিষ তৈরির জেনেটিক নির্দেশনা প্রদানের পর একবার বিষক্রিয়ার উপাদান সৃষ্টি হতে শুরু করলে তা মশার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। প্রফেসর লেগার বলেন, মাকড়সা তার বিষ দাঁত ব্যবহার করে পতঙ্গদের চামড়ার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিষ ঢেলে দেয়। আমরা মাকড়সার ওই বিষদাঁতকেই মেটারহিজিয়াম ছত্রাক দিয়ে প্রতিস্থাপন করেছি। পরীক্ষাগারে জিনগতভাবে বিকশিত হওয়ার কারণে ওই ছত্রাক মাকড়সার বিষদাঁতের চেয়ে আরও দ্রুত মশা নিধনে সক্ষম।
No comments