রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২ বছরে অন্তত ৬০ হাজার শিশুর জন্ম by জাকিয়া আহমেদ
রোহিঙ্গা
ক্যাম্পগুলোতে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৮৫ জন শিশুর জন্ম হচ্ছে। ২০১৭ সালের
আগস্টে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে
জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। এজন্য বিভিন্ন উপকরণও
তাদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিজ দেশে এ নিয়ে তাদের কোনও অভিজ্ঞতা না থাকায়
চেষ্টা করেও তাদের পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এ
বিষয়ে তাদের কোনও সচেতনতা নেই, আগ্রহও নেই।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল মতিন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিদিন কত শিশুর জন্ম হচ্ছে সে বিষয়ে পুরোপুরি সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে ইউএনএইচআরসি এবং ইউনিসেফের এক সার্ভেতে বলা হচ্ছে, প্রতিদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ৮০ থেকে ৮৫ জন শিশুর জন্ম হচ্ছে। সে হিসাবে এক বছরে ৩০ থেকে ৩২ হাজার আর দুই বছরে ৬০ থেকে ৬৪ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে।’
চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রতিদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ৬০ থেকে ৭০ জন শিশুর জন্ম হচ্ছে। কিছু শিশুর জন্ম হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে, কিছু সদর হাসপাতালে।’
দুই বছর আগে যখন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আসা শুরু করে, তখন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন হিসেবে কর্মরত ছিলেন ডা. আব্দুস সালাম। এখন তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক উপ-পরিচালক। ডা. আব্দুস সালাম বলেন, ‘যদি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর্তমানে ১০ লাখ রোহিঙ্গা থাকে, তাদের মধ্যে মাসে তিন শতাংশ নারী গর্ভধারণ করে।’
পরিবার পরিকল্পনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথমদিকে তাদের খাবার জন্য পিল দেওয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেটা তারা গ্রহণ করেনি, ঘরে নিয়েই ফেলে দিতো। আমরা দেখেছি, সেসব ওষুধ তাদের ঘরের চারদিকে পড়ে আছে। পরে তাদের একটা ইনজেকশন ফর্মের আওতায় আনা হলো, তাতে কিছুটা কাজ হচ্ছিলো, গ্রহণও করেছিল কিছুটা। কিন্তু সরকার থেকে সেটা পুরোটা সাপ্লাই দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ কারণে আমরা ফ্যামিলি প্লানিং কার্যক্রম ঠিকমতো জোরদার করতে পারিনি।’
জানা গেছে, বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদারের চেষ্টা করছে ইউএনএফপিএ। তারা ক্যাম্পে বিভিন্ন ধরনের কিটস থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রোডাক্ট দিচ্ছে, কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুরু থেকেই কাজ করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। আইইইডিসিআর-এর জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, ‘শুরু থেকেই তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছিলো। আমরা তাদের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি ইমপ্ল্যান্ট সাজেস্ট করেছিলাম। সেই দুই বছর আগে থেকেই তাদের বোঝানোর জন্য চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কাজটা খুব কঠিন। নিজ দেশে তাদের ফ্যামিলি প্ল্যানিং বলে কিছু ছিল না এবং তারা এতে অভিজ্ঞও ছিল না। যার কারণে তাদের এ পরিকল্পনার মধ্যে আনাটা খুব কঠিন।’
এদিকে জন্ম নিয়ন্ত্রণে আগ্রহী নয় বলেও ক্যাম্পের উইম্যান ফ্রেন্ডলি স্পেসে বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নারীরা।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল মতিন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিদিন কত শিশুর জন্ম হচ্ছে সে বিষয়ে পুরোপুরি সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে ইউএনএইচআরসি এবং ইউনিসেফের এক সার্ভেতে বলা হচ্ছে, প্রতিদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ৮০ থেকে ৮৫ জন শিশুর জন্ম হচ্ছে। সে হিসাবে এক বছরে ৩০ থেকে ৩২ হাজার আর দুই বছরে ৬০ থেকে ৬৪ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে।’
চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রতিদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ৬০ থেকে ৭০ জন শিশুর জন্ম হচ্ছে। কিছু শিশুর জন্ম হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে, কিছু সদর হাসপাতালে।’
দুই বছর আগে যখন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আসা শুরু করে, তখন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন হিসেবে কর্মরত ছিলেন ডা. আব্দুস সালাম। এখন তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক উপ-পরিচালক। ডা. আব্দুস সালাম বলেন, ‘যদি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর্তমানে ১০ লাখ রোহিঙ্গা থাকে, তাদের মধ্যে মাসে তিন শতাংশ নারী গর্ভধারণ করে।’
পরিবার পরিকল্পনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথমদিকে তাদের খাবার জন্য পিল দেওয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেটা তারা গ্রহণ করেনি, ঘরে নিয়েই ফেলে দিতো। আমরা দেখেছি, সেসব ওষুধ তাদের ঘরের চারদিকে পড়ে আছে। পরে তাদের একটা ইনজেকশন ফর্মের আওতায় আনা হলো, তাতে কিছুটা কাজ হচ্ছিলো, গ্রহণও করেছিল কিছুটা। কিন্তু সরকার থেকে সেটা পুরোটা সাপ্লাই দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ কারণে আমরা ফ্যামিলি প্লানিং কার্যক্রম ঠিকমতো জোরদার করতে পারিনি।’
জানা গেছে, বর্তমানে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদারের চেষ্টা করছে ইউএনএফপিএ। তারা ক্যাম্পে বিভিন্ন ধরনের কিটস থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রোডাক্ট দিচ্ছে, কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুরু থেকেই কাজ করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। আইইইডিসিআর-এর জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, ‘শুরু থেকেই তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছিলো। আমরা তাদের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি ইমপ্ল্যান্ট সাজেস্ট করেছিলাম। সেই দুই বছর আগে থেকেই তাদের বোঝানোর জন্য চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কাজটা খুব কঠিন। নিজ দেশে তাদের ফ্যামিলি প্ল্যানিং বলে কিছু ছিল না এবং তারা এতে অভিজ্ঞও ছিল না। যার কারণে তাদের এ পরিকল্পনার মধ্যে আনাটা খুব কঠিন।’
এদিকে জন্ম নিয়ন্ত্রণে আগ্রহী নয় বলেও ক্যাম্পের উইম্যান ফ্রেন্ডলি স্পেসে বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নারীরা।
টেকনাফ লেদা তুলা বাগানে সন্তান কোলে দাঁড়িয়ে আছেন দুই রোহিঙ্গা নারী |
No comments