পথিকের অভিমান ভাঙার গল্প by সুধাময় সরকার
২০০২
সালে ‘ইত্যাদির’ মাধ্যমে তার রাজকীয় উত্থান। টানা ৩ বছরে প্রায় ৩৫টি অডিও
অ্যালবাম! যার বেশিরভাগই হিট। ২০০৫ সালের কোনও একদিন হঠাৎ নিজেকে নিজেই
বললেন, ‘অনেক হয়েছে পথিক। এবার থাম। এভাবে আর ছুটে চলা নয়।’
যেমন সিদ্ধান্ত তেমন বাস্তবায়ন। এরপর টানা ১৪ বছর কোনও নতুন গান প্রকাশ হলো না পথিক নবীর। চোখের পলকে শুকিয়ে গেল কথা-সুর আর কণ্ঠে টইটম্বুর একটা জীবন্ত নদী! অথচ তারই অভিষেক গান ‘আমার একটা নদী ছিল’ আজও সমান জনপ্রিয়, সর্বত্র।
যেমন চলে যাওয়া, তেমন করেই হঠাৎ ফেরা হলো পথিকের। ঢাকঢোল সমৃদ্ধ এই সময়ে আওয়াজ ছাড়াই ১৪ বছর পর সম্প্রতি নতুন একটি গান কণ্ঠে তুললেন পথিক, বাণিজ্যিক বিপণনের লক্ষ্যে। নাম তার ‘জোড়া শালিক’। যদিও সেটি নিজের ভাণ্ডার থেকে নয়। গানটির কথা লিখেছেন সোমেশ্বর অলি আর সুর করেছেন লুৎফর হাসান। সংগীতায়োজন করেছেন মার্সেল। প্রযোজনায় জি সিরিজ।
কাকতাল হলেও গানটির কথাতেও রয়েছে পথিকের ফিরে আসার ছায়া- একদিন সবকিছু হয়ে যাবে ঠিক/ তুমি খুঁজে নিও সেই দিন তারিখ/ একশ বছরেও আমি দেখব না- জোড়া শালিক।
ঠিকঠিক গানে ফেরা প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে জানতে চাওয়া- গান থেকে কেন এই দীর্ঘ আড়াল? পথিকের জবাব একটু আধ্যাত্মিক, ‘কিছুটা অভিমান আর কিছুটা আত্মোপলব্ধির জন্যই আমার ফিরে যাওয়া। গানের জন্য আমি আমার কাজ করেছি, সামনেও করবো। মাঝের সময়টাতেও গানের সঙ্গেই ছিলাম, তবে সেটি শুধুই নিজের জন্য। কিন্তু পুরো বিষয়টা তো আসলে একার নয়। এ জগৎ একার বিষয় না। এখানে মিলেমিশে আন্তরিকতার আবহ জরুরি। তবেই সময়কে আমরা সান্নিধ্য দিতে পারবো। নয় তো তারছেঁড়ার মতো আঁতলামিতে সব নষ্ট হয়ে যাবে। আমি নষ্ট হতে চাইনি। মূলত এসব ভাবনা থেকেই ২০০৫ সালের কোনও এক সন্ধ্যায় নিজেকে প্রত্যাহার করে নেই, নীরবে। যেখানে মিলমিশ নেই, আন্তরিকতা নেই- সেখানে সুর-তালও থাকার কথা নয়।’
মূলত এই অভিমানে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পথিক। কিন্তু ফিরেছেন কী ভেবে! তবে কি আন্তরিকতাও ফিরেছে, এই সংগীত সংসারে?
পথিকের ভাষ্যে, ‘আন্তরিকতা তো ছিলোই। তা না হলে ফেরার প্রসঙ্গই আসে না। আমি তো শুধু মানুষের আন্তরিকতা নিয়ে ভাবিনি কখনও। আন্তরিকতা খুঁজেছি গানের কথা, সুরে, সংগীতেও। এই গানটির মাধ্যমে আমি সেই অন্তরগুলোকে খুঁজে পেয়েছি। মন টেনেছে। গেয়েছি। উৎসাহ পেয়েছি। মন বলছে, আবারও গাইবো। ১৪ বছরের অনুপস্থিতি পুষিয়ে দেবো শ্রোতাদের। অপেক্ষা শুধু জোড়া শালিকের।’
জানা গেছে, পথিক নবীর ‘জোড়া শালিক’ তৈরি হচ্ছে আসছে ঈদের অন্যতম চমক হিসেবে। ভিডিও নির্মাণ করবেন বিকাশ সাহা। আসছে সপ্তাহে এর শুটিংয়ে অংশ নেবেন পথিক নিজেই।
কথায় কথায় পথিক জানান, গত ১৪ বছরে প্রায় ৩শ গান লিখেছেন ও সুর করেছেন তিনি। এরমধ্যে রেকর্ডও করেছেন বেশ কিছু। এবার পর্যায়ক্রমে সেগুলোই প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।
১৪ বছর আগে প্রকাশিত শেষ গানটার কথা মনে আছে? ‘‘খুব মনে আছে। শওকাত ভাইয়ের সংগীতে ‘লাভ মি’ অ্যালবামে। ২০০৫ সালে প্রকাশ পেয়েছিল। গানটির কথা ও সুর ছিল আমার। কথাগুলো এমন- একবার এসেছো যখন সব দেখ মেলিয়া নয়ন, নয়নো মুদিলে নয়ন আর তো মেলবে না, চলে গেলে আর ভালোবাসা হবে না বন্ধু, চলে গেলে আর ফিরে আসা হবে না।’’ বললেন পথিক নবী।
সামনের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে এই সংগীতশিল্পীর ভাষ্য এমন, ‘শুরু যখন করেছি চলবে আবার ঝটিকা। নিজের ও অন্যদের ভালো গানগুলো মানুষের জন্য গাইতে চাই। জীবনের কী ভরসা?
আর যে ক’দিন আছি, প্রকাশ্যে গান নিয়েই থাকতে চাই। আর নয় অভিমান।’
যেমন সিদ্ধান্ত তেমন বাস্তবায়ন। এরপর টানা ১৪ বছর কোনও নতুন গান প্রকাশ হলো না পথিক নবীর। চোখের পলকে শুকিয়ে গেল কথা-সুর আর কণ্ঠে টইটম্বুর একটা জীবন্ত নদী! অথচ তারই অভিষেক গান ‘আমার একটা নদী ছিল’ আজও সমান জনপ্রিয়, সর্বত্র।
যেমন চলে যাওয়া, তেমন করেই হঠাৎ ফেরা হলো পথিকের। ঢাকঢোল সমৃদ্ধ এই সময়ে আওয়াজ ছাড়াই ১৪ বছর পর সম্প্রতি নতুন একটি গান কণ্ঠে তুললেন পথিক, বাণিজ্যিক বিপণনের লক্ষ্যে। নাম তার ‘জোড়া শালিক’। যদিও সেটি নিজের ভাণ্ডার থেকে নয়। গানটির কথা লিখেছেন সোমেশ্বর অলি আর সুর করেছেন লুৎফর হাসান। সংগীতায়োজন করেছেন মার্সেল। প্রযোজনায় জি সিরিজ।
কাকতাল হলেও গানটির কথাতেও রয়েছে পথিকের ফিরে আসার ছায়া- একদিন সবকিছু হয়ে যাবে ঠিক/ তুমি খুঁজে নিও সেই দিন তারিখ/ একশ বছরেও আমি দেখব না- জোড়া শালিক।
ঠিকঠিক গানে ফেরা প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে জানতে চাওয়া- গান থেকে কেন এই দীর্ঘ আড়াল? পথিকের জবাব একটু আধ্যাত্মিক, ‘কিছুটা অভিমান আর কিছুটা আত্মোপলব্ধির জন্যই আমার ফিরে যাওয়া। গানের জন্য আমি আমার কাজ করেছি, সামনেও করবো। মাঝের সময়টাতেও গানের সঙ্গেই ছিলাম, তবে সেটি শুধুই নিজের জন্য। কিন্তু পুরো বিষয়টা তো আসলে একার নয়। এ জগৎ একার বিষয় না। এখানে মিলেমিশে আন্তরিকতার আবহ জরুরি। তবেই সময়কে আমরা সান্নিধ্য দিতে পারবো। নয় তো তারছেঁড়ার মতো আঁতলামিতে সব নষ্ট হয়ে যাবে। আমি নষ্ট হতে চাইনি। মূলত এসব ভাবনা থেকেই ২০০৫ সালের কোনও এক সন্ধ্যায় নিজেকে প্রত্যাহার করে নেই, নীরবে। যেখানে মিলমিশ নেই, আন্তরিকতা নেই- সেখানে সুর-তালও থাকার কথা নয়।’
মূলত এই অভিমানে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পথিক। কিন্তু ফিরেছেন কী ভেবে! তবে কি আন্তরিকতাও ফিরেছে, এই সংগীত সংসারে?
পথিকের ভাষ্যে, ‘আন্তরিকতা তো ছিলোই। তা না হলে ফেরার প্রসঙ্গই আসে না। আমি তো শুধু মানুষের আন্তরিকতা নিয়ে ভাবিনি কখনও। আন্তরিকতা খুঁজেছি গানের কথা, সুরে, সংগীতেও। এই গানটির মাধ্যমে আমি সেই অন্তরগুলোকে খুঁজে পেয়েছি। মন টেনেছে। গেয়েছি। উৎসাহ পেয়েছি। মন বলছে, আবারও গাইবো। ১৪ বছরের অনুপস্থিতি পুষিয়ে দেবো শ্রোতাদের। অপেক্ষা শুধু জোড়া শালিকের।’
জানা গেছে, পথিক নবীর ‘জোড়া শালিক’ তৈরি হচ্ছে আসছে ঈদের অন্যতম চমক হিসেবে। ভিডিও নির্মাণ করবেন বিকাশ সাহা। আসছে সপ্তাহে এর শুটিংয়ে অংশ নেবেন পথিক নিজেই।
কথায় কথায় পথিক জানান, গত ১৪ বছরে প্রায় ৩শ গান লিখেছেন ও সুর করেছেন তিনি। এরমধ্যে রেকর্ডও করেছেন বেশ কিছু। এবার পর্যায়ক্রমে সেগুলোই প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।
১৪ বছর আগে প্রকাশিত শেষ গানটার কথা মনে আছে? ‘‘খুব মনে আছে। শওকাত ভাইয়ের সংগীতে ‘লাভ মি’ অ্যালবামে। ২০০৫ সালে প্রকাশ পেয়েছিল। গানটির কথা ও সুর ছিল আমার। কথাগুলো এমন- একবার এসেছো যখন সব দেখ মেলিয়া নয়ন, নয়নো মুদিলে নয়ন আর তো মেলবে না, চলে গেলে আর ভালোবাসা হবে না বন্ধু, চলে গেলে আর ফিরে আসা হবে না।’’ বললেন পথিক নবী।
সামনের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে এই সংগীতশিল্পীর ভাষ্য এমন, ‘শুরু যখন করেছি চলবে আবার ঝটিকা। নিজের ও অন্যদের ভালো গানগুলো মানুষের জন্য গাইতে চাই। জীবনের কী ভরসা?
আর যে ক’দিন আছি, প্রকাশ্যে গান নিয়েই থাকতে চাই। আর নয় অভিমান।’
No comments