বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপের উল্টো প্রতিক্রিয়া; আরও বাড়ছে খেলাপি ঋণ by অরুন দেবনাথ
খেলাপি
ঋণের অবস্থান থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সিদ্ধান্তের
পাল্টা প্রতিক্রিয়ার কারণে আগে থেকেই পঙ্গুপ্রায় বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে
খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরেক দফা বাড়তে চলেছে।
পুঁজি বৃদ্ধির হার পুণরুদ্ধারের জন্য, বাংলাদেশ ব্যাংক মে মাসে একটা সাধারণ ক্ষমা কর্মসূচি ঘোষণা করে, যেটার অধীনে খেলাপি ঋণগ্রহীতারা ঋণের সামান্য একটা অংশ পরিশোধের মাধ্যমে তাদের খেলাপি স্ট্যাটাস কাটিয়ে উঠতে পারবে। বাকি ঋণ তাদের ১০ বছরের মধ্যে সুবিধাজনক সুদের হারে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর কোম্পানিগুলোর মধ্যেও এই সিদ্ধান্তের কারণে একটা তাড়াহুড়া শুরু হয়েছে, যাদেরকে একই শর্তে ঋণের সময়সীমা পুণর্নির্ধারণ করতে হচ্ছে, যেটা এখন পুরো ব্যাংক সিস্টেমকেই বিহ্বল করে তুলেছে।
ঢাকা-ভিত্তিক মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাঙ্ক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আনিস এ খান বলেন, “খেলাপি ঋণের কারণে আমি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি”। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাতকারে খান আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত সুবিধা নেয়ার জন্য ঋণ গ্রহীতারা সব ধরণের অজুহাত নিয়ে আসছে – পরিবারে কারো মৃত্যু থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অস্থিরতা – সব কিছুকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
এই পদক্ষেপ অনুযায়ী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুবিধা পাবেন ঋণগ্রহীতারা। এইমস বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইয়াওয়ার সাইদের মতে, এই কর্মসূচির কারণে মার্চে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১১.৯% পর্যন্ত বেড়ে যাবে। ৫ বিলিয়ন টাকার সম্পদের ব্যবস্থাপনা করে আসছে এই প্রতিষ্ঠান।
পুঞ্জীভূত ঋণ
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মসূচির অধীনে প্রথমবারের খেলাপিদের জন্য অগ্রিম পরিশোধের হার ১০% থেকে কমিয়ে ২% করা হয়েছে। পরবর্তী ১০ বছরের জন্য ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুদের হার ধরা হয়েছে ৯%, যদি ঋণ গ্রহীতা আগেই ১৫% পরিশোধ করে থাকেন।
ঢাকায় কর্মরত বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, এই পদক্ষেপে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটা ধারণার জন্ম নিয়েছে যে, “ঋণ পরিশোধ না করেও একজন পার পেয়ে যেতে পারেন”। এটা সার্বিকভাবে অর্থনীতি এবং বিশেষভাবে ব্যাংকিং সিস্টেমেরজন্য একটা হুমকি তৈরি করেছে, যে সিস্টেমের আঘাত সহ্যের সক্ষমতা আগেই প্রায় শেষ হয়ে গেছে”।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এই নীতি অর্থনীতির ঋণদান প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে যে অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগের উপর নির্ভরশীল। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে, অর্থনীতি ৮% পর্যন্ত বাড়বে, যে বৃদ্ধির হারটা এ অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রিফর্ম উপদেষ্টা সীতাংশু কুমার সুর চৌধুরী বলেন, “ঋণ খেলাপিদের সুযোগ দেয়ার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেয়াটা জরুরি ছিল। আর দশটা নীতির মতোই এটা পুরো ত্রুটিমুক্ত নয়, কিন্তু এর অসুবিধার চেয়ে সুবিধাটাই বেশি”।
চৌধুরী এক সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। তিনি স্বীকার করেন যে, নতুন নীতি ঋণদাতাদের জন্য বেশি ঝামেলা তৈরি করেছে। তিনি বলেন, “সে কারণে আমরা এটাকে সীমিত একটা সময়ের জন্য সীমিত রেখেছে যাতে এই ঝঞ্ঝাট সীমিত রাখা যায়”।
পুঁজি বৃদ্ধির হার পুণরুদ্ধারের জন্য, বাংলাদেশ ব্যাংক মে মাসে একটা সাধারণ ক্ষমা কর্মসূচি ঘোষণা করে, যেটার অধীনে খেলাপি ঋণগ্রহীতারা ঋণের সামান্য একটা অংশ পরিশোধের মাধ্যমে তাদের খেলাপি স্ট্যাটাস কাটিয়ে উঠতে পারবে। বাকি ঋণ তাদের ১০ বছরের মধ্যে সুবিধাজনক সুদের হারে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর কোম্পানিগুলোর মধ্যেও এই সিদ্ধান্তের কারণে একটা তাড়াহুড়া শুরু হয়েছে, যাদেরকে একই শর্তে ঋণের সময়সীমা পুণর্নির্ধারণ করতে হচ্ছে, যেটা এখন পুরো ব্যাংক সিস্টেমকেই বিহ্বল করে তুলেছে।
ঢাকা-ভিত্তিক মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাঙ্ক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আনিস এ খান বলেন, “খেলাপি ঋণের কারণে আমি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি”। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাতকারে খান আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত সুবিধা নেয়ার জন্য ঋণ গ্রহীতারা সব ধরণের অজুহাত নিয়ে আসছে – পরিবারে কারো মৃত্যু থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অস্থিরতা – সব কিছুকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
এই পদক্ষেপ অনুযায়ী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুবিধা পাবেন ঋণগ্রহীতারা। এইমস বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইয়াওয়ার সাইদের মতে, এই কর্মসূচির কারণে মার্চে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১১.৯% পর্যন্ত বেড়ে যাবে। ৫ বিলিয়ন টাকার সম্পদের ব্যবস্থাপনা করে আসছে এই প্রতিষ্ঠান।
পুঞ্জীভূত ঋণ
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মসূচির অধীনে প্রথমবারের খেলাপিদের জন্য অগ্রিম পরিশোধের হার ১০% থেকে কমিয়ে ২% করা হয়েছে। পরবর্তী ১০ বছরের জন্য ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুদের হার ধরা হয়েছে ৯%, যদি ঋণ গ্রহীতা আগেই ১৫% পরিশোধ করে থাকেন।
ঢাকায় কর্মরত বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, এই পদক্ষেপে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটা ধারণার জন্ম নিয়েছে যে, “ঋণ পরিশোধ না করেও একজন পার পেয়ে যেতে পারেন”। এটা সার্বিকভাবে অর্থনীতি এবং বিশেষভাবে ব্যাংকিং সিস্টেমেরজন্য একটা হুমকি তৈরি করেছে, যে সিস্টেমের আঘাত সহ্যের সক্ষমতা আগেই প্রায় শেষ হয়ে গেছে”।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এই নীতি অর্থনীতির ঋণদান প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে যে অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগের উপর নির্ভরশীল। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে, অর্থনীতি ৮% পর্যন্ত বাড়বে, যে বৃদ্ধির হারটা এ অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রিফর্ম উপদেষ্টা সীতাংশু কুমার সুর চৌধুরী বলেন, “ঋণ খেলাপিদের সুযোগ দেয়ার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেয়াটা জরুরি ছিল। আর দশটা নীতির মতোই এটা পুরো ত্রুটিমুক্ত নয়, কিন্তু এর অসুবিধার চেয়ে সুবিধাটাই বেশি”।
চৌধুরী এক সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। তিনি স্বীকার করেন যে, নতুন নীতি ঋণদাতাদের জন্য বেশি ঝামেলা তৈরি করেছে। তিনি বলেন, “সে কারণে আমরা এটাকে সীমিত একটা সময়ের জন্য সীমিত রেখেছে যাতে এই ঝঞ্ঝাট সীমিত রাখা যায়”।
No comments