খনি থেকে ইউরেনিয়াম উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভারতীয় মুখ্যমন্ত্রী by সুবীর ভৌমিক
ছত্তিশগড় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল |
ভারতের
ছত্তিশগড় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল রোববার দ্ব্যর্থহীনভাবে তার
রাজ্যের খনি থেকে ইউরোনিয়াম উত্তোলনের বিরোধিতা করেছেন। তার এই বিরোধিতা
দেশের পারমাণবিক কর্মসূচিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়েও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ইউরেনিয়ামের মজুত রয়েছে। দেশের উচ্চাভিলাষী পারমাণবিক বিদ্যুৎ ও অস্ত্র কর্মসূচির জন্য এই ইউরেনিয়াম উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাত করার সুযোগ দিতে কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যটি ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে।
উত্তরপূর্বাঞ্চলের আরো কয়েকটি রাজ্যে ছত্তিশগড়ের মতো ইউরেনিয়ামের সমৃদ্ধ মজুত রয়েছে বলে মনে করা হয়।
কিন্তু এই খনিজ উত্তোলন করতে গেলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করবে বলে স্থানীয় গ্রুপগুলো এর বিরুদ্ধে। তাদের কারণে প্রায় তিন দশক ধরে মেঘালয়ে ইউরেনিয়াম উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।
মেঘালয়ের ইউরেনিয়াম-বিরোধী গ্রুপগুলোর মতো একই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাঘেল। নয়া দিল্লিতে রোববার দিল্লিভিত্তিক থিংক ট্যাংক সোসাইটি ফর পলিসি স্টাডিজ ও রায়পুরভিত্তিক গ্রুপ অব থিঙ্কার্স আয়োজিত ছত্তিশগড়ে বিনিয়োগ আকর্ষণ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যকালে তিনি ওই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সাউথ এশিয়ান মনিটর’র এক প্রশ্নের জবাবে বাঘেল বলেন, তিনি এমন কোন নতুন প্রকল্প নিতে আগ্রহী নন যাতে ইউরেনিয়ামসহ অন্যান্য খনিজের জন্য ব্যাপকভাবে খননের প্রয়োজন হবে।
খনিজ সমৃদ্ধ রাজ্যটিতে বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্র অনুসন্ধান করে দেখতে আগ্রহী অনেক বিদেশী কূটনীতিকের উপস্থিতিতে বাঘেল বলেন, ‘পুরা রাজ্যকো খোদ দিয়া হ্যায়, আওর কিতনা খোদেঙ্গে’ (তারা পুরো রাজ্যটিকেই খনন করে ফেলেছে, আর কত খনন করবে)।
তিনি কেন বিশেষ করে ইউরেনিয়াম খনিজ উত্তোলনের বিরুদ্ধে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বাঘেল বলেন: আমি আমার রাজ্যের আদিম পরিবেশ বজায় রাখতে খুবই আগ্রহী। ব্যাপকভাবে খনি কার্যক্রম বিশেষ করে ইউরেনিয়াম উত্তোলন করা হলে তা পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন যে তার সরকার স্থানীয় জনগণ, বিশেষ করে দারিদ্রপীড়িত উপজাতীয়দের কল্যাণ হয় এমন প্রকল্প গ্রহণে আগ্রহী।
বাঘেল বলেন, স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য কাঁচামালের উপর ভিত্তি করে কৃষি প্রক্রিয়াজাত এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে আমি আগ্রহী। কারণ এতে স্থানীয় জনগণের আয় বাড়বে।
‘দু:খজনক হলো, বড় আকারের খনিজ কার্যক্রম আমাদের জনগণের কোন উপকারে আসে না। এতে শুধু পরিবেশ দূষণ হয়।’
ঝাড়খণ্ডের যাদুগোদার কথা উল্লেখ না করে বাঘেল আরো বলেন যে ভারতের অন্যান্য অংশে ইউরেনিয়াম খনিগুলোর কারণে বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে তিনি অবগত। তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম বর্জে্যর কারণে যাদুগোগার গ্রামবাসীদের মারাত্মক ভুগতে হচ্ছে।
তবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ হলো কেন্দ্রের বিষয় এবং কেন্দ্র শুধু ছত্তিশগড় নয় ভারতের যেকোন রাজ্যেই ইউরেনিয়াম খনি খননের আহ্বান জানাতে পারে।
বাঘেল বলেন, তবে রাজ্য সরকার ও স্থানীয় জনগণ নিজেদের অভিমত প্রকাশের অধিকারী।
ভারত তার পারমাণবিক বিদ্যুৎ ও অস্ত্র কর্মসূচির জন্য খনি থেকে ইউরোনিয়াম উত্তোলন জোরদার করার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া থেকে এই পদার্থ আমদানির পরিকল্পনা করেছে।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন যে পারমাণবিক ওয়ারহেড তৈরির ক্ষেত্রে পাকিস্তানের চেয়ে ভারত অনেক পিছিয়ে আছে। আর এটা এমন এক সময় ঘটছে যখন পরস্পরের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হুংকার দিয়ে বেড়াচ্ছে দুই শত্রু মনোভাবাপন্ন প্রতিবেশী।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়েও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ইউরেনিয়ামের মজুত রয়েছে। দেশের উচ্চাভিলাষী পারমাণবিক বিদ্যুৎ ও অস্ত্র কর্মসূচির জন্য এই ইউরেনিয়াম উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাত করার সুযোগ দিতে কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যটি ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে।
উত্তরপূর্বাঞ্চলের আরো কয়েকটি রাজ্যে ছত্তিশগড়ের মতো ইউরেনিয়ামের সমৃদ্ধ মজুত রয়েছে বলে মনে করা হয়।
কিন্তু এই খনিজ উত্তোলন করতে গেলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করবে বলে স্থানীয় গ্রুপগুলো এর বিরুদ্ধে। তাদের কারণে প্রায় তিন দশক ধরে মেঘালয়ে ইউরেনিয়াম উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।
মেঘালয়ের ইউরেনিয়াম-বিরোধী গ্রুপগুলোর মতো একই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাঘেল। নয়া দিল্লিতে রোববার দিল্লিভিত্তিক থিংক ট্যাংক সোসাইটি ফর পলিসি স্টাডিজ ও রায়পুরভিত্তিক গ্রুপ অব থিঙ্কার্স আয়োজিত ছত্তিশগড়ে বিনিয়োগ আকর্ষণ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যকালে তিনি ওই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সাউথ এশিয়ান মনিটর’র এক প্রশ্নের জবাবে বাঘেল বলেন, তিনি এমন কোন নতুন প্রকল্প নিতে আগ্রহী নন যাতে ইউরেনিয়ামসহ অন্যান্য খনিজের জন্য ব্যাপকভাবে খননের প্রয়োজন হবে।
খনিজ সমৃদ্ধ রাজ্যটিতে বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্র অনুসন্ধান করে দেখতে আগ্রহী অনেক বিদেশী কূটনীতিকের উপস্থিতিতে বাঘেল বলেন, ‘পুরা রাজ্যকো খোদ দিয়া হ্যায়, আওর কিতনা খোদেঙ্গে’ (তারা পুরো রাজ্যটিকেই খনন করে ফেলেছে, আর কত খনন করবে)।
তিনি কেন বিশেষ করে ইউরেনিয়াম খনিজ উত্তোলনের বিরুদ্ধে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বাঘেল বলেন: আমি আমার রাজ্যের আদিম পরিবেশ বজায় রাখতে খুবই আগ্রহী। ব্যাপকভাবে খনি কার্যক্রম বিশেষ করে ইউরেনিয়াম উত্তোলন করা হলে তা পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন যে তার সরকার স্থানীয় জনগণ, বিশেষ করে দারিদ্রপীড়িত উপজাতীয়দের কল্যাণ হয় এমন প্রকল্প গ্রহণে আগ্রহী।
বাঘেল বলেন, স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য কাঁচামালের উপর ভিত্তি করে কৃষি প্রক্রিয়াজাত এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে আমি আগ্রহী। কারণ এতে স্থানীয় জনগণের আয় বাড়বে।
‘দু:খজনক হলো, বড় আকারের খনিজ কার্যক্রম আমাদের জনগণের কোন উপকারে আসে না। এতে শুধু পরিবেশ দূষণ হয়।’
ঝাড়খণ্ডের যাদুগোদার কথা উল্লেখ না করে বাঘেল আরো বলেন যে ভারতের অন্যান্য অংশে ইউরেনিয়াম খনিগুলোর কারণে বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে তিনি অবগত। তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম বর্জে্যর কারণে যাদুগোগার গ্রামবাসীদের মারাত্মক ভুগতে হচ্ছে।
তবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ হলো কেন্দ্রের বিষয় এবং কেন্দ্র শুধু ছত্তিশগড় নয় ভারতের যেকোন রাজ্যেই ইউরেনিয়াম খনি খননের আহ্বান জানাতে পারে।
বাঘেল বলেন, তবে রাজ্য সরকার ও স্থানীয় জনগণ নিজেদের অভিমত প্রকাশের অধিকারী।
ভারত তার পারমাণবিক বিদ্যুৎ ও অস্ত্র কর্মসূচির জন্য খনি থেকে ইউরোনিয়াম উত্তোলন জোরদার করার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া থেকে এই পদার্থ আমদানির পরিকল্পনা করেছে।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন যে পারমাণবিক ওয়ারহেড তৈরির ক্ষেত্রে পাকিস্তানের চেয়ে ভারত অনেক পিছিয়ে আছে। আর এটা এমন এক সময় ঘটছে যখন পরস্পরের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হুংকার দিয়ে বেড়াচ্ছে দুই শত্রু মনোভাবাপন্ন প্রতিবেশী।
No comments