বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ফ্রিল্যান্স মার্কেট, বাংলাদেশ ৮ম
বিশ্বজুড়ে
ক্রমাগত বাড়ছে ফ্রিল্যান্স মার্কেট। মানুষ অধিক হারে ঝুঁকছে অনলাইনের
মাধ্যমে আয়, উপার্জন বাড়াতে। বাড়িতে বসে এ খাতে কাজ করে অনেকেই কোটিপটি বনে
যাচ্ছেন। এ ধারা বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকে। এখন হাজার হাজার
তরুণ ফ্রিল্যান্স মার্কেট থেকে উপার্জন করছেন অর্থ। এক্ষেত্রে বিশ্বে
সবচেয়ে বেশি অর্থ আয় করে যেসব দেশ তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ম। বিষয়টি
একেবারে হেলাফেলার মতো নয়। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী অর্থ লেনদেন বিষয়ক
প্লাটফর্ম পাইওনিয়ারস গ্লোবাল গিগ ইকোনমি ইনডেস্ক প্রকাশিত হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফোরবসে।
এতে ফ্রিল্যান্স মার্কেটের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর পর্যায়ক্রমে অবস্থান বৃটেন, ব্রাজিল, পাকিস্তান, ইউক্রেন, ফিলিপাইন, ভারত, বাংলাদেশ, রাশিয়া ও সার্বিয়ার নাম। আগের বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম ৬ মাসে এসব দেশে ফ্রিল্যান্স মার্কেট থেকে কি পরিমাণ উপার্জন বৃদ্ধি পেয়েছে তাও প্রকাশ করা হয়েছে ওই সূচকে। সে অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আগের বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম ৬ মাসে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৭৮ ভাগ। বৃটেনে শতকরা ৫৯ ভাগ। ব্রাজিলে শতকরা ৪৮ ভাগ। পাকিস্তানে শতকরা ৪৭ ভাগ। ইউক্রেনে শতকরা ৩৬ ভাগ। ফিলিপাইনে শতকরা ৩৫ ভাগ। ভারতে শতকরা ২৯ ভাগ। বাংলাদেশে শতকরা ২৭ ভাগ। রাশিয়ায় শতকরা ২০ ভাগ। সার্বিয়ায় শতকরা ১৯ ভাগ।
পাইওনিয়ার নেটওয়ার্কের তিন লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সারের নমুনার ওপর ভিত্তি করে এই সূচক প্রণয়ন করা হয়েছে। কেন এসব দেশে ফ্রিল্যান্স অর্থনীতির গতি বাড়ছে? এর উত্তরে বলা হয়েছে, দেশভেদে এর কারণ ভিন্ন। পাইওনিয়ারের জেনারেল ম্যানেজার ইয়াল মলদোভান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের বাজার অনেকটা পরিণত। এমন দেশের অনেক কোম্পানি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কম ঝুঁকি নিতে চায়। তারা বেছে বেছে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে ফ্রিল্যান্সার বাছাই করে। এ কারণে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে দেশের সঙ্গে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যাও দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বহু পেশাদার তার লাইফস্টাইল পাল্টাতে চান। এ জন্য তারা স্বেচ্ছায় ফ্রিল্যান্সকে বেছে নেন। এজন্য প্লাটফরমগুলো তাদের এ কাজকে সম্ভব করে দিচ্ছে। তারা তাই বাসায় বসে কাজ করতে পারছেন এবং তাদের জন্য যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করতে পারছেন।
অন্যদিকে অনলাইন মার্কেটে বহু দেশের সরকার তার বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির জন্য আউটসোর্সিংকে বেছে নিচ্ছে। তাতে ফ্রিল্যান্সাররা অর্থ উপার্জনের উপায় খুঁজে পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে ট্যাক্সের ক্ষেত্রে তাদেরকে অনেকটা ছাড় দেয়া হয়। সরকার এ কাজকে উৎসাহিত করতে এমনটা করছে। ইউক্রেনে আইটি খাতে আউটসোর্সিং ও পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানির জন্য একটি বিশেষ ট্যাক্স নীতি প্রণয়ণ করেছে। এর ফলে তারা ভ্যাট থেকে মুক্তি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইয়াল মলদোভান। এক্ষেত্রে ওইসব প্রতিষ্ঠান সাবকন্ট্রাক্টর হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদেরকে লেবার ট্যাক্স মুক্ত করে দিয়েছে। এসব কোম্পানির জন্য বৈদেশিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণও সহজ করে দেয়া হয়েছে।
ডিজিটাইজ ইন্ডিয়া প্লাটফরম কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় মেধাবীদেরকে ফ্রিল্যান্সিং সুবিধা করে দিয়েছে ভারত সরকার। ইন্ডিয়া স্কিলস অনলাইন কর্মসূচির মাধ্যমে ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এই দেশের সরকার। যুবক, নারী ও বিভিন্ন গ্রুপের মানুষদের সমর্থন দেয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে ভারতের দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানে বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সারের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে। ইয়াল মলদোভান বলেন, অধিক পরিমাণ সুযোগ খুঁজছে পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম। পাকিস্তানের ভিতরে অভ্যন্তরীণ বাজার অতোটা বড় ও উন্নত নয়।
পাইওনিয়ারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বৈশ্বিক পর্যায়ে ভাল উপার্জন করছে ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী গ্রুপের মানুষ। যদিও এই বয়সীসীমার ফ্রিল্যান্সার মোট সংখ্যার শতকরা মাত্র ২৩ ভাগ। তবু তারা মোট উপার্জনের শতকরা ৩২ ভাগ আয় করছেন। অন্যদিকে যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে তারা মোট ফ্রিল্যান্সারের শতকরা ৬৪ ভাগ। তবে তারা মোট আয়ের মাত্র শতকরা ৫৩ ভাগ আয় করেন। ৪৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী সীমার ফ্রিল্যান্সার মোট সংখ্যার শতকরা মাত্র ৯ ভাগ। মোট আয়ের শতকরা ৯.৪ ভাগ তাদের উপার্জন। আর ৫৫ বছর ও তার বেশি বয়সী ফ্রিল্যান্সার মোট সংখ্যার শতকরা ৫ ভাগ। তারা আয় করেন মোট আয়ের শতকরা ৪.৯ ভাগ।
এতে ফ্রিল্যান্স মার্কেটের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর পর্যায়ক্রমে অবস্থান বৃটেন, ব্রাজিল, পাকিস্তান, ইউক্রেন, ফিলিপাইন, ভারত, বাংলাদেশ, রাশিয়া ও সার্বিয়ার নাম। আগের বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম ৬ মাসে এসব দেশে ফ্রিল্যান্স মার্কেট থেকে কি পরিমাণ উপার্জন বৃদ্ধি পেয়েছে তাও প্রকাশ করা হয়েছে ওই সূচকে। সে অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আগের বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম ৬ মাসে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৭৮ ভাগ। বৃটেনে শতকরা ৫৯ ভাগ। ব্রাজিলে শতকরা ৪৮ ভাগ। পাকিস্তানে শতকরা ৪৭ ভাগ। ইউক্রেনে শতকরা ৩৬ ভাগ। ফিলিপাইনে শতকরা ৩৫ ভাগ। ভারতে শতকরা ২৯ ভাগ। বাংলাদেশে শতকরা ২৭ ভাগ। রাশিয়ায় শতকরা ২০ ভাগ। সার্বিয়ায় শতকরা ১৯ ভাগ।
পাইওনিয়ার নেটওয়ার্কের তিন লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সারের নমুনার ওপর ভিত্তি করে এই সূচক প্রণয়ন করা হয়েছে। কেন এসব দেশে ফ্রিল্যান্স অর্থনীতির গতি বাড়ছে? এর উত্তরে বলা হয়েছে, দেশভেদে এর কারণ ভিন্ন। পাইওনিয়ারের জেনারেল ম্যানেজার ইয়াল মলদোভান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের বাজার অনেকটা পরিণত। এমন দেশের অনেক কোম্পানি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কম ঝুঁকি নিতে চায়। তারা বেছে বেছে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে ফ্রিল্যান্সার বাছাই করে। এ কারণে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে দেশের সঙ্গে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যাও দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বহু পেশাদার তার লাইফস্টাইল পাল্টাতে চান। এ জন্য তারা স্বেচ্ছায় ফ্রিল্যান্সকে বেছে নেন। এজন্য প্লাটফরমগুলো তাদের এ কাজকে সম্ভব করে দিচ্ছে। তারা তাই বাসায় বসে কাজ করতে পারছেন এবং তাদের জন্য যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করতে পারছেন।
অন্যদিকে অনলাইন মার্কেটে বহু দেশের সরকার তার বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির জন্য আউটসোর্সিংকে বেছে নিচ্ছে। তাতে ফ্রিল্যান্সাররা অর্থ উপার্জনের উপায় খুঁজে পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে ট্যাক্সের ক্ষেত্রে তাদেরকে অনেকটা ছাড় দেয়া হয়। সরকার এ কাজকে উৎসাহিত করতে এমনটা করছে। ইউক্রেনে আইটি খাতে আউটসোর্সিং ও পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানির জন্য একটি বিশেষ ট্যাক্স নীতি প্রণয়ণ করেছে। এর ফলে তারা ভ্যাট থেকে মুক্তি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইয়াল মলদোভান। এক্ষেত্রে ওইসব প্রতিষ্ঠান সাবকন্ট্রাক্টর হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদেরকে লেবার ট্যাক্স মুক্ত করে দিয়েছে। এসব কোম্পানির জন্য বৈদেশিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণও সহজ করে দেয়া হয়েছে।
ডিজিটাইজ ইন্ডিয়া প্লাটফরম কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় মেধাবীদেরকে ফ্রিল্যান্সিং সুবিধা করে দিয়েছে ভারত সরকার। ইন্ডিয়া স্কিলস অনলাইন কর্মসূচির মাধ্যমে ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এই দেশের সরকার। যুবক, নারী ও বিভিন্ন গ্রুপের মানুষদের সমর্থন দেয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে ভারতের দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানে বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সারের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে। ইয়াল মলদোভান বলেন, অধিক পরিমাণ সুযোগ খুঁজছে পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম। পাকিস্তানের ভিতরে অভ্যন্তরীণ বাজার অতোটা বড় ও উন্নত নয়।
পাইওনিয়ারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বৈশ্বিক পর্যায়ে ভাল উপার্জন করছে ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী গ্রুপের মানুষ। যদিও এই বয়সীসীমার ফ্রিল্যান্সার মোট সংখ্যার শতকরা মাত্র ২৩ ভাগ। তবু তারা মোট উপার্জনের শতকরা ৩২ ভাগ আয় করছেন। অন্যদিকে যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে তারা মোট ফ্রিল্যান্সারের শতকরা ৬৪ ভাগ। তবে তারা মোট আয়ের মাত্র শতকরা ৫৩ ভাগ আয় করেন। ৪৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী সীমার ফ্রিল্যান্সার মোট সংখ্যার শতকরা মাত্র ৯ ভাগ। মোট আয়ের শতকরা ৯.৪ ভাগ তাদের উপার্জন। আর ৫৫ বছর ও তার বেশি বয়সী ফ্রিল্যান্সার মোট সংখ্যার শতকরা ৫ ভাগ। তারা আয় করেন মোট আয়ের শতকরা ৪.৯ ভাগ।
No comments