মোদির গুরুতর ভুল কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের ঐতিহাসিক সুযোগ এনে দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ইমরান
পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন যে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ নরেন্দ্র মোদি
কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে এক ঐতিহাসিক ‘ব্লান্ডার’ বা গুরুতর ভুল
করেছেন।
সোমবার ইমরান খান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে কাশ্মীর সমস্যা ও অধিকৃত অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদের ভবিষ্যত কৌশল তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মোদি যে ব্লান্ডার করেছেন তা কাশ্মীর সমস্যার নিরসনের ঐতিহাসিক সুযোগ এনে দিয়েছে।
ভারত এই বিতর্কিত ভূখণ্ডটিকে তার দানবীয় শক্তি থেকে মুক্তি দেয়ার আগ পর্যন্ত ন অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের পাশে পাকিস্তা থাকবে বলে খান আবারো ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, যখন আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসে তখন আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার ছিলো এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, কর্মসংস্থান, ব্যবসা ও বাণিজ্য সুযোগ বাড়ানো এবং দেশ অন্যান্য যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে সেগুলো মোকাবেলা করা।
খান বলেন যে তিনি ভারতসহ এই অঞ্চলের সব দেশের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছেন।
“আমরা সামরিক সমাধানের পরিবর্তে আফগানিস্তানে রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলেছি। আমরা ভারতকে বলেছি তোমরা এক পা বাড়ালে আমরা দুই পা বাড়াবো, যেন আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীরসহ সব সমস্যা নিরসন করা যায়। কিন্তু সংলাপের ব্যাপারে আমাদের আন্তরিক প্রস্তাব ভারত প্রত্যাখ্যান করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী খান বলেন, এরপর তাদের নির্বাচন এলো। তা শেষ হওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করলাম। ভাবলাম নির্বাচনের পর পরিস্থিতি ভিন্ন হবে। এর মধ্যে পুলওয়ামার ঘটনা ঘটে এবং এক কাশ্মীরী জীবন দেয়।
“তারা ঘটনা খতিয়ে দেখার আগেই আমাদের দিকে আঙ্গুল তোলে। নির্বাচনের পর বুঝলাম তাদের ভিন্ন এজেন্ডা রয়েছে, তারা পাকিস্তানকে এফএটিএফের কালোতালিকাভুক্ত করতে চাচ্ছে।
খান বলেন, ৫ আগস্ট তারা কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা সদস্য পাঠিয়ে ঘোষণা করে যে এটা এখন ভারতের অংশ। এই ঘোষনা ভারতের প্রতিষ্ঠাতা পিতাদের স্বপ্ন ও জাতিসংঘ প্রস্তাবের বিপরীত।
জনগণকে পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী খান বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) আদর্শকে ভালোভাবে বুঝতে হবে। এটা ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)’র পিতৃ সংগঠন। মোদি আরএসএসের আজীবন সদস্য।
খান বলেন, আরএসএস মনে করেন হিন্দুরাই সেরা, আর অন্যরা দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক। তাদের রয়েছে ফ্যাসিবাদী আদর্শ। ভারতের অতীতের সরকারগুলো একে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কোনঠাসা করে রেখেছিলো। অন্যদিকে, যে আদর্শের ভিত্তিতে কায়দে আজম মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার ভিত্তি ছিলো পবিত্র কোরআন। আমরা সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় বিশ্বাস করি। আরএসএসের মনোভাব এর উল্টা।
খান বলেন, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে মোদি যে ঐতিহাসিক ভুল করেছেন তা কাশ্মীরের জন্য স্বাধীন হওয়ার পথ খুলে দিয়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে যে তারা বালাকোটের মতো ‘ফলস ফ্লাগ’ অপারেশন চালিয়ে অধিকৃত কাশ্মীর থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে পারে।
খান ঘোষণা করেন, প্রতি শুক্রবার কাশ্মীরী জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে পাকিস্তান। কাশ্মীরীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে সবাইকে ঘর থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার ইমরান খান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে কাশ্মীর সমস্যা ও অধিকৃত অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদের ভবিষ্যত কৌশল তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মোদি যে ব্লান্ডার করেছেন তা কাশ্মীর সমস্যার নিরসনের ঐতিহাসিক সুযোগ এনে দিয়েছে।
ভারত এই বিতর্কিত ভূখণ্ডটিকে তার দানবীয় শক্তি থেকে মুক্তি দেয়ার আগ পর্যন্ত ন অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের পাশে পাকিস্তা থাকবে বলে খান আবারো ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, যখন আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসে তখন আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার ছিলো এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, কর্মসংস্থান, ব্যবসা ও বাণিজ্য সুযোগ বাড়ানো এবং দেশ অন্যান্য যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে সেগুলো মোকাবেলা করা।
খান বলেন যে তিনি ভারতসহ এই অঞ্চলের সব দেশের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছেন।
“আমরা সামরিক সমাধানের পরিবর্তে আফগানিস্তানে রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলেছি। আমরা ভারতকে বলেছি তোমরা এক পা বাড়ালে আমরা দুই পা বাড়াবো, যেন আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীরসহ সব সমস্যা নিরসন করা যায়। কিন্তু সংলাপের ব্যাপারে আমাদের আন্তরিক প্রস্তাব ভারত প্রত্যাখ্যান করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী খান বলেন, এরপর তাদের নির্বাচন এলো। তা শেষ হওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করলাম। ভাবলাম নির্বাচনের পর পরিস্থিতি ভিন্ন হবে। এর মধ্যে পুলওয়ামার ঘটনা ঘটে এবং এক কাশ্মীরী জীবন দেয়।
“তারা ঘটনা খতিয়ে দেখার আগেই আমাদের দিকে আঙ্গুল তোলে। নির্বাচনের পর বুঝলাম তাদের ভিন্ন এজেন্ডা রয়েছে, তারা পাকিস্তানকে এফএটিএফের কালোতালিকাভুক্ত করতে চাচ্ছে।
খান বলেন, ৫ আগস্ট তারা কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা সদস্য পাঠিয়ে ঘোষণা করে যে এটা এখন ভারতের অংশ। এই ঘোষনা ভারতের প্রতিষ্ঠাতা পিতাদের স্বপ্ন ও জাতিসংঘ প্রস্তাবের বিপরীত।
জনগণকে পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী খান বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) আদর্শকে ভালোভাবে বুঝতে হবে। এটা ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)’র পিতৃ সংগঠন। মোদি আরএসএসের আজীবন সদস্য।
খান বলেন, আরএসএস মনে করেন হিন্দুরাই সেরা, আর অন্যরা দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক। তাদের রয়েছে ফ্যাসিবাদী আদর্শ। ভারতের অতীতের সরকারগুলো একে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কোনঠাসা করে রেখেছিলো। অন্যদিকে, যে আদর্শের ভিত্তিতে কায়দে আজম মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার ভিত্তি ছিলো পবিত্র কোরআন। আমরা সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় বিশ্বাস করি। আরএসএসের মনোভাব এর উল্টা।
খান বলেন, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে মোদি যে ঐতিহাসিক ভুল করেছেন তা কাশ্মীরের জন্য স্বাধীন হওয়ার পথ খুলে দিয়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে যে তারা বালাকোটের মতো ‘ফলস ফ্লাগ’ অপারেশন চালিয়ে অধিকৃত কাশ্মীর থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে পারে।
খান ঘোষণা করেন, প্রতি শুক্রবার কাশ্মীরী জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে পাকিস্তান। কাশ্মীরীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে সবাইকে ঘর থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
No comments