শ্রীলংকায় ইসলামোফোবিয়া ও ওহাবিজম দমনের উদ্যোগ
সাপ্তাহিক
হাটে মুসলিম ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার উপর স্থানীয় পরিষদের নিষেধাজ্ঞা
শ্রীলংকার এক মেজিস্ট্রেট বাতিল করে দিয়েছেন। গত ২১ এপ্রিল কলম্বোতে
সন্ত্রাসী হামলার পর এটা ইসলামোফোবিয়ার সর্বশেষ ঘটনা। বিন্নাপুয়া
প্রাদেশিয়া সভা স্থানীয় মুসলিম ব্যবসায়ীদের জন্য দানকোতুয়া ‘সাথিপোলা’
(সাপ্তাহিক হাট)-য় গিয়ে বেচাকেনা নিষিদ্ধ করেছিলো।
এতে বিস্ময়ের কিছু নেই। কারণ স্থানীয় পরিষদটি সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার দল শ্রীলংকা পদুজানা পেরামুনার (এসএলপিপি) নিয়ন্ত্রণে, যাদেরকে সিনহলা-বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী মনে করা হয়।
শক্তিশালী পুলিশি প্রহরা থাকার পরও মুসলমানদের নিষিদ্ধ করার অযুহাত হিসেবে বলা হয় যে, এরা নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং এরা থাকালে অন্য ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা ‘শান্তি মনে’ লেনদেন করতে পারবে না।
মুসলিম বণিকদের উপস্থিতিতে নিরাপদ বোধ করছে না বলে ওই এলাকার সিনহলা ব্যবসায়ীরা একটি আবেদন দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে বিন্নাপুয়া প্রাদেশিয়া সভার চেয়ারম্যান সুশান্ত পেরেরা ওই সিদ্ধান্ত নেন।
তবে মারাবিলার মেজিস্ট্রেট আদালতের রায়ে বলা হয় স্থানীয় বাজারে শ্রীলংকার সব জাতি ও সম্প্রদায়কে ব্যবসা করতে দিতে হবে। বিন্নাপুয়া প্রাদেশিয়া সভার চেয়ারম্যানসহ সভার ছয় কর্মকর্তাকে শুক্রবার আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিলো।
স্থানীয় কাউন্সিলের আগের এক নির্দেশ অনুযায়ী ওই এলাকার ধর্মীয় নেতা, ব্যবসায়ী ও পার্লামেন্ট সদস্যদের নিয়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জুলাইয়ে একটি আলোচনা সভা হওয়ার কথা ছিলো।
আরেক ঘটনায়, এক রাজনীতিকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ জুন থেকে মুসলিম দাতব্য সংস্থা ‘জনপোষা’র কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই সংগঠনটি দুটি হাসপাতালে ধর্ম, সম্প্রদায়, বর্ণ নির্বিশেষে সকল রোগীকে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করতো। রাজনীতিকের অভিযোগ জনপোষার খাবারে জন্মনিরোধক ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে।
জনপোষা জানায় যে তাদের সেবাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করায় অনেক ‘দু:খ, হতাশা ও ভারাক্রান্ত হৃদয়ে’ কর্মসূচিটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
এই সংগঠনের তরফ থেকে প্রতিদিন ২,০০০ দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হতো। কলম্বোর ক্যান্সার হাসপাতাল ও কালুবোইলা হাসপাতালে এই জাতীয় দাতব্য সংস্থাটির কার্যক্রম ছিলো।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, জনপোষা ফাউন্ডেশন বছরে ধর্ম বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহের মাধ্যমে সেবা দিতো।
বিবৃতিতে বলা হয়, বঞ্চিত মানুষের সেবায় অব্যাহতভাবে কাজ করে গেছে এই ফাউন্ডেশন এবং এসব দরিদ্র মানুষকে সেবাদানকারীদের প্রান্তিকতার দিকে ঠেলে না দেয়া নিশ্চিত করতে সংগঠনটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে দরিদ্র ও দু:স্থ মানুষকে সেবাদানের এই মহান উদ্দেশ্যটি ভুলভাবে ব্যাখা করার বিষয়টি ফাউন্ডেশনের নজরে এসেছে বলে প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করে।
কালুবোইলার টিচিং হসপিটাল ও মহারাগামার ক্যান্সার হসপিটালে আসা অনেক রোগীকে খাবারবিহীন অবস্থায় দিন কাটাতে দেখে ২০১২ সাল থেকে সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
ফলে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতিক ও বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের ইসলামবিদ্বেষী গলবাজীর কারণে মূল ইস্যু থেকে দৃষ্টি সরে যাচ্ছে। অথচ সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং চরমপন্থী হওয়া বন্ধের জন্য দেশের ১০ শতাংশ মুসলমানের সমর্থন লাভ গুরুত্বপূর্ণ।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে আতংক প্রচার ও নিরপরাধ মুসলমাদের ভিত্তিহীন কারণে গ্রেফতারের ফলে সত্যিকারের সন্ত্রাসীদের থেকে মনযোগ সরে যাচ্ছে।
ঐতিহ্যগত বিশ্বাসের অধিকারী মুসলিমরা বলছেন যে তারা মুসলিমদের বিদেশী হিসেবে জনমনে বিশ্বাস সৃষ্টির জন্য সিনহলিদের দায়ি করছেন না, দায়ি করছেন ওহাবি-সালাফি গোষ্ঠীকে।
শ্রীলংকার সুফি মুসলমানদের ঐহিত্যগত মুসলিম বলে মনে করা হয়। ওহাবিবাদ ও সালাফিবাদের আগমন সাম্প্রতিক সময়ে। এখন এসব বিশ্বাস জায়গা করে নিচ্ছে। ওহাবি ও সালাফিবাদীরা নিজেদেরকে শ্রীলংকার বাকি জনগণ থেকে দূরে সরিয়ে নেয়। যারা তাদের কথা মানে না তাদেরকে অবিশ্বাসী (কাফের) আখ্যা দেয়া হয়।
কিন্তু এখন সুফি বা ঐতিহ্যগত মুসলমানরা চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছে। তারা সবার কাছে ওহাবিবাদ ও ইসলামাদের মধ্যে পার্থক্যটি সবিস্তারে তুলে ধরছেন।
মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা বলছেন যে তারা এখন মুসলিমদের কারণে শ্রীলংকার অমুসলিমদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির পরিবেশটি অনুধাবন ও এর সমাধানের উপায় খুঁজে বেরা করার চেষ্টা করছেন। শত শত বছর ধরে দেশের পরিস্থিতি এমনটা ছিলো না। ইতিহাসজুড়ে শ্রীলংকার মুসলমানরা তাদের শান্তিপূর্ণ স্বভাব ও দেশপ্রেমিক প্রকৃতির জন্য সুপরিচিত।
২১ আগস্ট হামলার ঘটনায় গঠিত পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটি মুসলিম রাজনীতিক, সুফি ইমাম ও অন্যদের বক্তব্য শুনেছে। শিক্ষা করিকুলামে কিভাবে চরমপন্থী আদর্শ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে ভীতিকর তথ্য দিয়েছেন এরা সবাই। পিএসসি’র কার্যবিবরণীতে দেখা যায় যে, যারা ইসলাম ত্যাগ করবে তাদের হত্যা করার কথা স্কুলের বইয়ে লেখা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখন বিষয়টিতে নজর দিয়েছে।
এদিকে বাত্তিকালোয়ার কাথানকুডির সুফি সম্প্রদায় শুক্রবার জানায় যে তারা ওয়াবিবাদের পক্ষে সাবেক ইস্টার্ন প্রভিন্সের গভর্নর এম এল এ এম হিজবুল্লাহ’র বিবৃতির প্রতিবাদ করছে। কাথানকুডিতেই ইস্টার হামলার মূল হোতা জারান হাসিমের বাড়ি।
বাত্তিকালোয়ার সুফি মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি সূত্র সাউথ এশিয়ান মনিটরকে বলে, ‘আমরা চার পৃষ্ঠার একটি হ্যান্ডবিল ছাপিয়েছি। এর মাধ্যমে সত্যিকার ইসলাম সম্পর্কে জনগণকে শেখানো হবে এবং দেখানো হবে যে এটা ওহাবিবাদ নয়।’
শ্রীলংকার ঐতিহ্যগত মুসলমান ও সুফিরা এক প্রচারণায় বলছে যে ইস্টার সানডের হামলা সরাসরি ওহাবিবাদ ও সালাফিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত। এরা তরুণদের আত্মঘাতি হতে ও নিরপরাধ অমুসলিমদের হত্যা করতে উদ্বুদ্ধ করছে। অথচ ইসলাম আত্মরক্ষা ও যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া কাউকে হত্যা অনুমোদন করে না।
এতে বিস্ময়ের কিছু নেই। কারণ স্থানীয় পরিষদটি সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার দল শ্রীলংকা পদুজানা পেরামুনার (এসএলপিপি) নিয়ন্ত্রণে, যাদেরকে সিনহলা-বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী মনে করা হয়।
শক্তিশালী পুলিশি প্রহরা থাকার পরও মুসলমানদের নিষিদ্ধ করার অযুহাত হিসেবে বলা হয় যে, এরা নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং এরা থাকালে অন্য ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা ‘শান্তি মনে’ লেনদেন করতে পারবে না।
মুসলিম বণিকদের উপস্থিতিতে নিরাপদ বোধ করছে না বলে ওই এলাকার সিনহলা ব্যবসায়ীরা একটি আবেদন দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে বিন্নাপুয়া প্রাদেশিয়া সভার চেয়ারম্যান সুশান্ত পেরেরা ওই সিদ্ধান্ত নেন।
তবে মারাবিলার মেজিস্ট্রেট আদালতের রায়ে বলা হয় স্থানীয় বাজারে শ্রীলংকার সব জাতি ও সম্প্রদায়কে ব্যবসা করতে দিতে হবে। বিন্নাপুয়া প্রাদেশিয়া সভার চেয়ারম্যানসহ সভার ছয় কর্মকর্তাকে শুক্রবার আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিলো।
স্থানীয় কাউন্সিলের আগের এক নির্দেশ অনুযায়ী ওই এলাকার ধর্মীয় নেতা, ব্যবসায়ী ও পার্লামেন্ট সদস্যদের নিয়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জুলাইয়ে একটি আলোচনা সভা হওয়ার কথা ছিলো।
আরেক ঘটনায়, এক রাজনীতিকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ জুন থেকে মুসলিম দাতব্য সংস্থা ‘জনপোষা’র কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই সংগঠনটি দুটি হাসপাতালে ধর্ম, সম্প্রদায়, বর্ণ নির্বিশেষে সকল রোগীকে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করতো। রাজনীতিকের অভিযোগ জনপোষার খাবারে জন্মনিরোধক ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে।
জনপোষা জানায় যে তাদের সেবাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করায় অনেক ‘দু:খ, হতাশা ও ভারাক্রান্ত হৃদয়ে’ কর্মসূচিটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
এই সংগঠনের তরফ থেকে প্রতিদিন ২,০০০ দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হতো। কলম্বোর ক্যান্সার হাসপাতাল ও কালুবোইলা হাসপাতালে এই জাতীয় দাতব্য সংস্থাটির কার্যক্রম ছিলো।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, জনপোষা ফাউন্ডেশন বছরে ধর্ম বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহের মাধ্যমে সেবা দিতো।
বিবৃতিতে বলা হয়, বঞ্চিত মানুষের সেবায় অব্যাহতভাবে কাজ করে গেছে এই ফাউন্ডেশন এবং এসব দরিদ্র মানুষকে সেবাদানকারীদের প্রান্তিকতার দিকে ঠেলে না দেয়া নিশ্চিত করতে সংগঠনটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে দরিদ্র ও দু:স্থ মানুষকে সেবাদানের এই মহান উদ্দেশ্যটি ভুলভাবে ব্যাখা করার বিষয়টি ফাউন্ডেশনের নজরে এসেছে বলে প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করে।
কালুবোইলার টিচিং হসপিটাল ও মহারাগামার ক্যান্সার হসপিটালে আসা অনেক রোগীকে খাবারবিহীন অবস্থায় দিন কাটাতে দেখে ২০১২ সাল থেকে সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
ফলে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতিক ও বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের ইসলামবিদ্বেষী গলবাজীর কারণে মূল ইস্যু থেকে দৃষ্টি সরে যাচ্ছে। অথচ সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং চরমপন্থী হওয়া বন্ধের জন্য দেশের ১০ শতাংশ মুসলমানের সমর্থন লাভ গুরুত্বপূর্ণ।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে আতংক প্রচার ও নিরপরাধ মুসলমাদের ভিত্তিহীন কারণে গ্রেফতারের ফলে সত্যিকারের সন্ত্রাসীদের থেকে মনযোগ সরে যাচ্ছে।
ঐতিহ্যগত বিশ্বাসের অধিকারী মুসলিমরা বলছেন যে তারা মুসলিমদের বিদেশী হিসেবে জনমনে বিশ্বাস সৃষ্টির জন্য সিনহলিদের দায়ি করছেন না, দায়ি করছেন ওহাবি-সালাফি গোষ্ঠীকে।
শ্রীলংকার সুফি মুসলমানদের ঐহিত্যগত মুসলিম বলে মনে করা হয়। ওহাবিবাদ ও সালাফিবাদের আগমন সাম্প্রতিক সময়ে। এখন এসব বিশ্বাস জায়গা করে নিচ্ছে। ওহাবি ও সালাফিবাদীরা নিজেদেরকে শ্রীলংকার বাকি জনগণ থেকে দূরে সরিয়ে নেয়। যারা তাদের কথা মানে না তাদেরকে অবিশ্বাসী (কাফের) আখ্যা দেয়া হয়।
কিন্তু এখন সুফি বা ঐতিহ্যগত মুসলমানরা চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছে। তারা সবার কাছে ওহাবিবাদ ও ইসলামাদের মধ্যে পার্থক্যটি সবিস্তারে তুলে ধরছেন।
মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা বলছেন যে তারা এখন মুসলিমদের কারণে শ্রীলংকার অমুসলিমদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির পরিবেশটি অনুধাবন ও এর সমাধানের উপায় খুঁজে বেরা করার চেষ্টা করছেন। শত শত বছর ধরে দেশের পরিস্থিতি এমনটা ছিলো না। ইতিহাসজুড়ে শ্রীলংকার মুসলমানরা তাদের শান্তিপূর্ণ স্বভাব ও দেশপ্রেমিক প্রকৃতির জন্য সুপরিচিত।
২১ আগস্ট হামলার ঘটনায় গঠিত পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটি মুসলিম রাজনীতিক, সুফি ইমাম ও অন্যদের বক্তব্য শুনেছে। শিক্ষা করিকুলামে কিভাবে চরমপন্থী আদর্শ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে ভীতিকর তথ্য দিয়েছেন এরা সবাই। পিএসসি’র কার্যবিবরণীতে দেখা যায় যে, যারা ইসলাম ত্যাগ করবে তাদের হত্যা করার কথা স্কুলের বইয়ে লেখা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখন বিষয়টিতে নজর দিয়েছে।
এদিকে বাত্তিকালোয়ার কাথানকুডির সুফি সম্প্রদায় শুক্রবার জানায় যে তারা ওয়াবিবাদের পক্ষে সাবেক ইস্টার্ন প্রভিন্সের গভর্নর এম এল এ এম হিজবুল্লাহ’র বিবৃতির প্রতিবাদ করছে। কাথানকুডিতেই ইস্টার হামলার মূল হোতা জারান হাসিমের বাড়ি।
বাত্তিকালোয়ার সুফি মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি সূত্র সাউথ এশিয়ান মনিটরকে বলে, ‘আমরা চার পৃষ্ঠার একটি হ্যান্ডবিল ছাপিয়েছি। এর মাধ্যমে সত্যিকার ইসলাম সম্পর্কে জনগণকে শেখানো হবে এবং দেখানো হবে যে এটা ওহাবিবাদ নয়।’
শ্রীলংকার ঐতিহ্যগত মুসলমান ও সুফিরা এক প্রচারণায় বলছে যে ইস্টার সানডের হামলা সরাসরি ওহাবিবাদ ও সালাফিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত। এরা তরুণদের আত্মঘাতি হতে ও নিরপরাধ অমুসলিমদের হত্যা করতে উদ্বুদ্ধ করছে। অথচ ইসলাম আত্মরক্ষা ও যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া কাউকে হত্যা অনুমোদন করে না।
No comments